India: পিছনে জাপান, এশিয়ার তৃতীয় শক্তি এখন ভারত, বিশ্ব বাজারে কড়া টক্কর চিন-আমেরিকাকেও – Bengali News | Japan Behind, India is now the third power in Asia, China America is also a tough competitor in the world market
কলকাতা: জাপানকে পিছনে ফেলে এশিয়ার তৃতীয় সেরা শক্তির তালিকায় ৩ নম্বরে উঠে এল ভারত। অস্ট্রেলিয়ার লোয়ি ইনস্টিটিউটের এশিয়া পাওয়ার ইনডেক্সে এই প্রথমবার তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে। কীসের প্রেক্ষিতে ভারতের এই উত্থান? প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর লোয়ি ইনস্টিটিউট এশিয়া পাওয়ার ইনডেক্স প্রকাশ করেছিল। তাতে ভারত ছিল ৫ নম্বরে। সমীক্ষা রিপোর্টে ওই গবেষণা সংস্থা বলেছিল, প্রয়োজনীয় সংস্কার করতে পারলে ২০২৮ সাল নাগাদ এশিয়ায় তৃতীয় শক্তিধর দেশ হয়ে উঠতে পারে ভারত। দেশের তত্কালীন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি সেই রিপোর্ট কিছুটা তাচ্ছিল্য করেই উড়িয়ে দিয়েছিলেন। শোনা যায় ঘনিষ্ঠ মহলে তিনি বলেছিলেন, অত সময় লাগবেই না। অনেক আগেই আমরা তিনে পৌঁছে যাব। সেই কথাটা আজ অনেকেরই যেন খুব বেশি করে মনে পড়ছে।
লোয়ি ইনস্টিটিউটের তালিকায় শক্তিধর দেশের তালিকায় একে আমেরিকা, দুইয়ে চিন ও তিনে ভারত। নামে এশিয়া ইনডেক্স হলেও আদতে একটা ইউরেশিয়ার দেশগুলিকে নিয়ে তৈরি। এদের পাওয়ার ইনডেক্সে দু’টি ভাগ। প্রথমে ভাগে দুই সুপারপাওয়ার। আমেরিকা ও চিন। ৮১.৭ নম্বর নিয়ে আমেরিকা একে। ৭২.৭ নম্বর নিয়ে দুই নম্বরে চিন। মিডল পাওয়ারের তালিকায় একে ভারত। ভারতের স্কোর ৩৯.১। ভারত যাকে পিছনে ফেলে তিন নম্বরে উঠে এল, সেই জাপানের পয়েন্ট ৩৮. ০৯। অস্ট্রেলিয়া, রাশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুর যথাক্রমে পাঁচ, ছয়, সাত ও আট নম্বরে। একটি দেশের আর্থিক বৃদ্ধি, আর্থিক বিকাশ, তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহার, সামরিক শক্তি, কূটনৈতিক প্রভাব, আন্তর্জাতিক দুনিয়ায় গ্রহণযোগ্যতা, সরকারের নীতি ও গণতন্ত্র – মোট ১২টি সূচক বিচার করে এই তালিকা তৈরি হয়।
সদ্য প্রকাশিত তালিকা বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে, মূলত চারটি ক্ষেত্রে জাপানকে পিছনে ফেলেছে ভারত। আর্থিক বৃদ্ধি, সামরিক শক্তি, কূটনৈতিক প্রভাব ও বাকি দুনিয়ার কাছে গ্রহণযোগ্যতায় সবচেয়ে বেশি পয়েন্ট কুড়িয়েছে ভারত। অদ্ভুত বিষয় হল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে জাপানের থেকে অনেক পিছিয়ে থাকলেও সমীক্ষায় কড়া টক্কর দিয়েছে ভারত। আর সেটা সম্ভব হয়েছে মূলত মহাকাশবিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তিতে সাফল্য আসায়। তবে সমীক্ষায় আরও একটা বিষয় স্পষ্ট হয়েছে। সমীক্ষকরা দেখিয়েছেন, কিছু ক্ষেত্রে শহুরে পরিকাঠামোর কাজ হলেও ভারতে বড় শহরগুলির হাল বেশ খারাপ। বিশেষত গণ-পরিবহণ আর নাগরিক পরিষেবা। আর এটা যে কতটা সত্যি, সেটা তো আমরা হাড়ে হাড়েই বুঝি তাই না! সমীক্ষায় প্রকাশ, শহুরে পরিকাঠামো মোটামুটি ঢেলে সাজানো হলেও মানুষের জীবনযাত্রার মান অনেকটা বাড়বে। তাতে জিডিপি আরও লম্বা লাফ দিতে পারে। মানুষের হাতে বাড়তি টাকা আসবে। কেন্দ্রকে এই জায়গায় নজর দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে অজি থিঙ্ক ট্যাঙ্ক সংস্থাটি।