Shantanu Naidu: যেন এই দিনটারই অপেক্ষা ছিল রতন টাটার! TATA-র বড় পদে শান্তনু নাইডু, আবেগঘন হয়ে লিখলেন… – Bengali News | Ratan Tata’s Close Aide Friend Shantanu Naidu Gets Tata Motors General Manager Post, Says Circle Completed in Emotional Note

রতন টাটার সঙ্গে শান্তনু নাইডু। ফাইল চিত্র।Image Credit source: X
মুম্বই: রতন টাটার ছায়াসঙ্গী ছিলেন তিনি। গত বছর রতন টাটার প্রয়াণের পর যেভাবে ভেঙে পড়েছিলেন তাঁর ‘ইয়ং ফ্রেন্ড’ শান্তনু নাইডু, তা দেখে মনে হয়েছিল স্বজন হারালে হয়তো এতটাই কষ্ট হয়। বছর ঘুরতে না ঘুরতেই সেই শান্তনু নাইডু আবার টাটার সান্নিধ্যে। টাটা মোটরসের জেনারেল ম্যানেজার করা হল তাঁকে। একইসঙ্গে স্ট্র্যাটেজিক ইনিশিয়েটিভের প্রধান করা হয়েছে তাঁকে।
টাটা মোটরসে শীর্ষ পদ পেতেই আবেগঘন এক পোস্ট করেছেন শান্তনু। লিঙ্কডইনে তিনি লিখেছেন, “আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি টাটা মোটরসের জেনারেল ম্যানেজার ও স্ট্র্যাটেজিক ইনিশিয়েটিভ হেড পদে কাজ শুরু করতে চলেছি। আমার মনে আছে, আমার বাবা যখন সাদা শার্ট ও নীল রঙের প্যান্ট পরে টাটা মোটরস প্ল্যান্ট থেকে হেঁটে বাড়ি ফিরতেন, আমি জানালায় বসে তাঁর অপেক্ষা করতাম। বৃত্ত সম্পূর্ণ হল।”
২০১৪ সালে সাবিত্রীবাই ফুলে পুণে ইউনিভার্সিটি থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি অর্জন করেন শান্তনু নাইডু। এরপরে ২০১৬ সালে কর্নেল ইউনিভার্সিটি থেকে এমবিএ করেন। এই সময়ই তাঁর আলাপ হয়েছিল রতন টাটার সঙ্গে। ২০১৪ সালে শান্তনু পথকুকুরদের দুর্ঘটনা থেকে বাঁচাতে এক বিশেষ কলার তৈরি করেছিলেন, যা নজর কেড়েছিল রতন টাটার। প্রথম সাক্ষাতেই দুজনের মধ্যে গড়ে উঠেছিল বন্ধুত্ব। শান্তনু যেমন রতন টাটার কথাবার্তা, ব্যবহারে মুগ্ধ হয়েছিলেন, রতন টাটারও শান্তনুকে ভাল লেগেছিল তাঁর চিন্তাভাবনা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার জন্য। দুজনেরই আবার কুকুরদের প্রতি অগাধ ভালবাসা। এভাবেই শান্তনুর মেন্টর হয়ে ওঠেন রতন টাটা। ২০১৮ সালে রতন টাটার অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসাবে কাজ শুরু করেন শান্তনু নাইডু।
রতন টাটাকে ভালবেসে লাইট হাউস বলে ডাকতেন শান্তনু। নিজের বই “আই কেম আপন অ্যা লাইটহাউস”- এ তাঁদের বন্ধুত্ব, একসঙ্গে করা নানা অ্যাডভেঞ্চারের কথাই লিখেছেন। তুলে ধরেছেন ব্যক্তিগত জীবনে রতন টাটা কেমন ছিলেন।
২০২৪ সালের ৯ অক্টোবর ৮৬ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন রতন টাটা। তিনি নিজের উইলেও শান্তনুর জন্য বিশেষ উপহার দিয়ে গিয়েছিলেন। ২০২১ সালে রতন টাটা ও শান্তনুর যৌথ উদ্যোগে তৈরি গুডফেলোজের মালিকানা থেকে নিজের স্বত্ব তুলে নেন তিনি। শান্তনুর পড়াশোনার জন্য যে ঋণ ছিল, তাও মকুব করে দেন।