খাস কলকাতায় আদালত চত্বর থেকে উদ্ধার পুলিশের গুলিবিদ্ধ দেহ, তদন্তে লালবাজার, বাংলার মুখ - 24 Ghanta Bangla News

খাস কলকাতায় আদালত চত্বর থেকে উদ্ধার পুলিশের গুলিবিদ্ধ দেহ, তদন্তে লালবাজার, বাংলার মুখ

0

খাস কলকাতায় আদালত চত্বর থেকে পুলিশ কর্মীর গুলিবিদ্ধ দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল। বিবাদী বাগে অবস্থিত নগর দায়রা আদালতের একতলা থেকে ওই পুলিশ কর্মী দেহ উদ্ধার হয়। তিনি আদালতের ৮ নম্বর এজলাসের বিচারকের দেহরক্ষী ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, ওই পুলিশ কর্মী আত্মঘাতী হয়েছেন। নিজের সার্ভিস রিভলভার দিয়েই গুলি চালিয়ে আত্মহত্যা করেছেন তিনি। মৃত পুলিশ কর্মীর নাম গোপাল নাথ। যদিও এর পিছনে অন্য কোনও রহস্য রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়ে যায় আদালত চত্বরে।

আরও পড়ুন: ভাইয়ের সঙ্গে বিবাদের জেরে মৃত বাবার দেহের অর্ধেক দাবি করল ব্যক্তি, আলোড়ন MP-তে

জানা যায়, আজ বুধবার সকাল সাতটা নাগাদ আদালতের একতলা থেকে গুলির বিকট আওয়াজ শুনতে পাওয়া যায়। এরপর সেখানে ছুটে যান আদালতের অন্যান্য কর্মী এবং পুলিশ কর্মীরা। সেখানে গিয়ে তারা দেখতে পান গোপালের কপালে গুলির ক্ষতচিহ্ন রয়েছে। চেয়ারে বসে রয়েছেন তিনি। এরপর দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছয় বিশাল সংখ্যক পুলিশ। কার্যত আদালত চত্বর ঘিরে ফেলে পুলিশের বিশাল বাহিনী। কলকাতা পুলিশের ডিসি সেন্ট্রালও সেখানে পৌঁছন। এছাড়াও পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের আধিকারিকরা সেখানে পৌঁছন। ঘটনায় স্নিফার ডগ নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। 

জানা গিয়েছে, বিচারকের ওই দেহরক্ষীর কাছে ৯ এমএম সার্ভিস রিভলভার ছিল। সেই রিভলবার থেকেই গুলিবিদ্ধ হয়েছেন তিনি। চেয়ারে তাঁর নিথর দেহ পড়েছিল। ফলে এই ঘটনায় প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যার তত্ত্বই উঠে আসছে। যদিও কী কারণে তিনি চরম পদক্ষেপ করলেন তা এখনও জানা যায়নি। তাঁর রহস্য মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখতে সব দিক থেকে তদন্ত করছে পুলিশ। তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলছেন লালবাজারের গোয়ন্দারা। তিনি পারিবারিক বা ব্যক্তিগত কোনও সমস্যায় ভুগছিলেন কি না তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। কর্মক্ষেত্রে কোনও সমস্যা ছিল কি না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। 

Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You may have missed

x