মমতার চরম অর্থকষ্ট! আখড়া থেকে বহিষ্কার হয়ে ভেঙে পড়লেন কান্নায় - Bengali News | Mamta kulkarni expelled from kinnar akhara says i have no money - 24 Ghanta Bangla News

মমতার চরম অর্থকষ্ট! আখড়া থেকে বহিষ্কার হয়ে ভেঙে পড়লেন কান্নায় – Bengali News | Mamta kulkarni expelled from kinnar akhara says i have no money

0

সিনেমাপাড়া ছেড়েছেন বহু বছর আগে। তারপর থেকে বিদেশেই থাকতেন তিনি। তবে সদ্য মুম্বইয়ে পা দিয়েই ছুটেছিলেন মহাকুম্ভে। উদ্দেশ্য ছিল মহাকুম্ভে ডুব দিয়েই সন্ন্যাস গ্রহণ করবেন। সেই অনুযায়ী, নিয়ম কানুনও মেনেছিলেন মমতা। কিন্নড় আখড়ায় নিয়েছিলেন মহামণ্ডলেশ্বর নাম। তবে হঠাৎই বাধল গোল, মমতার বিরুদ্ধে অভিযোগ, কিন্নড় আখড়ার নিয়ম মানেননি তিনি! তাই মমতা হলেন বহিষ্কার!

এই নিয়ে নানা খবর রটে গেলেও, মমতা কিন্তু এতদিন চুপ করেই ছিলেন, তবে এবার মুখ খুললেন। শোনালেন, তাঁর দুঃখের কাহিনি।

এক টিভি শোয়ে মমতা জানান, ”আমার কাছে ১০ কোটি তো অনেক বড় অঙ্ক। এক কোটি টাকাও নেই। আমার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বাজেয়াপ্ত করেছে সরকার। অনেক কষ্টে একজনের থেকে ২ লাখ টাকা ধার করে গুরুদক্ষিণা দিয়েছিলাম। কীভাবে দিন যাপন করছিস সেটা আমিই জানি। কাউকে তো মনের কথা বলতেই পারছি না। আর আমার এই অবস্থার মধ্যেও আমাকে আখড়া থেকে বহিষ্কার করা হল। জানি না এখন কী করব। ”

এই খবরটিও পড়ুন

মাত্র ৭ দিনেই কিন্নড় আখড়ার মহামণ্ডলেশ্বর পদ হারালেন মমতা কুলাকার্নি। তাঁর বিরুদ্ধে বিশ্বাসঘাতকার অভিযোগ তুলেছেন কিন্নড় আখড়ার প্রতিষ্ঠাতা ঋষি অজয় দাস। সম্প্রতি এক বিবৃতি পেশ করে একথা জানিয়েছেন ঋষি অজয়। তবে শুধুই মমতা কুলকার্নি নয়, বহিষ্কার করা হয়েছে লক্ষ্মী নারায়ণ ত্রিপাঠীকেও।

ঋষি অজয় দাসের অভিযোগ, তাঁকে না জানিয়েই মমতাকে আখড়ায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এমনকী, তাঁর অজান্তেই মমতা মহামণ্ডলেশ্বর হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে। এক্ষেত্রে আখড়ার নিয়মভঙ্গ করা হয়েছে।

আর কী কী কারণে আখড়া থেকে বহিষ্কৃত হলেন মমতা?

মমতা কুলকার্নি একসময় বলিউডে কাজ করতেন। শুধু তাই নয়, বলিউড সিনেমায় তাঁর বোল্ড অবতার বরাবরই বলিউডের চর্চায় ছিল। নয়ের দশকে তাঁর টপলেস ফটোশুট হইচই ফেলে দিয়েছিল। মমতার এই ধরনের আচরণকে মোটেই ভাল চোখে দেখছেন না আখড়ার অন্যান্য সদস্যরা।

মমতা কুলকার্নির সঙ্গে অন্ধকার জগতের যোগাযোগ রয়েছে। মমতার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, বলিপাড়া ছেড়ে মাদকচক্রে অভিযুক্ত ভিকি গোস্বামীকে বিয়ে করেন মমতা। বিয়ের পর দুবাইয়েই থাকতেন তিনি। এমনকী, মাদককাণ্ডে যুক্ত থাকায় মমতার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোওয়ানাও জারি হয়েছিল। এমন এক মানুষ আখড়ার সদস্য হতে পারে না।

আখড়ার নিয়ম অনুযায়ী, প্রত্যেক সন্ন্যাসীকে মাথা নেঁড়া করতে হয়। কিন্তু মমতা কুলকার্নি মাথা নেঁড়া করতে রাজি নন। সুতরাং সন্ন্যাসিনী হওয়ার প্রাথমিক শর্তই পালন করতে চাননি মমতা।

এখানেই শেষ নয়। কিন্নড় আখড়ার নিয়ম অনুযায়ী, মমতাকে বৈজয়ন্তী মালা পরতে হত গলায়। কিন্তু মমতা রুদ্রাক্ষের মালা গলায় পরবেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। সুতরাং কিন্নড় আখড়ার প্রাথমিক শর্তগুলোই পূরণ করেননি মমতা। এই কারণেই আখড়া থেকে তাঁকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You may have missed

x