আরজি কর কাণ্ডে 'সুপ্রিম নির্দেশিকা' অমান্য করছে CBI? বিস্ফোরক নির্যাতিতার মা, বাংলার মুখ - 24 Ghanta Bangla News

আরজি কর কাণ্ডে ‘সুপ্রিম নির্দেশিকা’ অমান্য করছে CBI? বিস্ফোরক নির্যাতিতার মা, বাংলার মুখ

0

৯ অগস্ট… ১৮ জানুয়ারি… আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎস ধর্ষণ ও খুনের দীর্ঘ ১৬২ দিন পর এই মামলার রায় বেরিয়েছে। এতে বিচারপ্রক্রিয়াও চলেছে প্রায় ২ মাস ধরে। আর রায় দেওয়ার সময় শিয়ালদা আদালতের বিচারক অনির্বণ দাস জানান, সিবিআইয়ের পেশ করা প্রমাণে তিনি সন্তুষ্ট হয়েই ধৃত সঞ্জয় রায়কে দোষী সাব্যস্ত করেছেন। রায়দানের পর আদালতেই বিচারককে ধন্যবাদ জানিয়ে কেঁদে ফেলেন নির্যাতিতার বাবা। তবে সন্ধ্যায় এক টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নির্যাতিতার মা-বাবা স্পষ্ট করে দেন যে সিবিআই তদন্তে তাঁরা মোটেও সস্তুষ্ট নন। এরই মাঝে সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অমান্য করার অভিযোগও তুলেছেন নির্যাতিতার মা।

এর আগে সুপ্রিম কোর্টের তরফ থেকে নির্দেশ দেওয় হয়েছিল, আরজি কর কাণ্ডের তদন্তের গতিপ্রকৃতি যেন পরিবারকে জানানো হয়। তবে নির্যাতিতার মায়ের অভিযোগ, সিবিআই কোনও কিছুই জানাচ্ছে না তাঁদের। টিভি৯ বাংলাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নির্যতিতার মা বলেন, ‘আগে আমরা ফোন করলে সিবিআই ধরত, এখন তাও ধরে না। এই কারণে আমাদের বিশ্বাস উঠে গিয়েছে।’ এদিকে এই বিষয়ে নির্যাতিতার বাবা বলেন, ‘শিয়ালদা কোর্টে যখন চার্জশিট জমা পড়েছে, তখনও সেই বিষয়ে জানানো বয়নি আমাদের। তদন্তের গতি প্রকৃতি জানায়নি আমাদের। খালি বলছে – আগে বাড়ছে। কী আগে বাড়ছে, আমরা তা দেখতে পাইনি।’

এদিকে আজ আরজি করের নির্যাতিতার মা-বাবা বলেন, তাঁরা সিবিআই চাননি। বরং তাঁরা নাকি চেয়েছিলেন যাঁতে হাই কোর্টের নজরদারিতে বিশেষ অফিসারকে দিয়ে এই ঘটনার তদন্ত করা হয়। নির্যাতিতার কথায়, ‘হাই কোর্ট তো প্রথমে শুনেই সিবিআইকে দেয়। কিন্তু সত্যি বলতে আমরা সিবিআই চাইনি। আমরা চেয়েছিলাম হাই কোর্টের নজরদারিতে স্পেশাল অফিসার দিয়ে তদন্ত করাতে। হাই কোর্ট সিবিআইকে ভালো মনে করে তদন্ত করতে দেয়।’ এরপর সিবিআইয়ে তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলে নির্যাতিতার মা বলেন, ‘সিবিআই এখনও ক্রাইম সিনই বুঝতে উঠতে পারল না। সিএফএসএল রিপোর্ট বলছে, সেমিনার হল ঘটনার অকুস্থল নয়। পুলিশ পাঁচদিনে যা করছে, সিবিআইও তাই করছে। অথচ সন্দীপ ঘোষ, টালা থানার ওসি-র বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দিতে পারল না।’

উল্লেখ্য, গত ৯ অগস্ট আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ইমারজেন্সি ভবনের সেমিনার হল থেকে উদ্ধার হয়েছিল এক তরুণী চিকিৎসকের মৃতদেহ। জানা যায়, ধর্ষণ ও খুন করা হয়েছে সেই তরুণী চিকিৎসককে। আর ২০২৫ সালের ১৮ জানুয়ারি সেই মামলায় রায়দান করল শিয়ালদা আদালত। তাতে দোষী সাব্যস্ত করা হল সঞ্জয় রায়কে। এর আগে গত ৪ নভেম্বর এই মামলায় আদালতে চার্জ গঠন করেছিল সিবিআই। ১১ নভেম্বর মামলার বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হয়। আর গত ৯ জানুয়ারি তা শেষ হয়েছিল।

Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You may have missed

x