কোথায় পিছিয়ে যাচ্ছে বলিউড? আকাশ ছোঁয়া পারিশ্রমিকই কাল…
২০২৩, বলিউড বক্স অফিসের কাছে স্বপ্ন। করোনার পর প্রথম সিনেমামুখো হতে দেখা গিয়েছিল বিপুল সংখ্যক দর্শককে। ১০০০, ১০০০ কোটি টাকার ব্যবসা এনে দিয়েছে ছবি। তবে ওই একবারই। বছর ঘুরতেই ছবিটা গেল পাল্টে। বলিউড বক্স অফিসে লক্ষ্মীলাভে ভাটা পড়তে দেখা গেল। পাল্টে গেল চেনা সমীকরণ। স্ত্রী ২, মুঞ্ঝা, শয়তান দর্শকদের সন্তুষ্ট করতে পারলেও মোটের ওপর বক্স অফিসের ফলাফল ভাল ছিল না। এর দায় ঠিক কার ওপর বর্তায়?
প্রাথমিকভাবে বলাই যায় যে, চলতি বছরে যে যে বলিউডের ছবি মুক্তি পেয়েছে তার মধ্যে অধিকাংশের চিত্রনাট্যে প্রাণ ছিল না। অনেক কারণেই এবছরের বলিউডের ছবিটা পাল্টে গিয়েছে। হিন্দি সিনেপাড়ার সবথেকে বড় সমস্যা হল তারকাদের অত্যাধিক পারিশ্রমিক। এতে কেবল প্রযোজক সংস্থার ওপর চাপ সৃষ্টি হয় এমনটা নয়, পাশাপাশি ছবি তৈরির ক্ষেত্রেও তা এক বড় প্রভাব ফেলে। ছবির বাজেট যখন সঠিক খাতে ব্যয় হয় না, তখনই সমস্যা দেখা যায় নির্মাণে।
আলি আব্বাস জাফারের ছবি বড়ে মিঞা ছোটে মিঞা যার অন্যতম উদাহরণ। যেখানে অক্ষয় কুমার কেবল নিজের চরিত্রের জন্য পারিশ্রমিক নিয়েছিলেন ১৬৫ কোটি টাকা। অথচ ছবি ঘরে তুলতে সক্ষম হয়েছে মাত্র ১১৯.৪৯ কোটি। পাশাপাশি ওটিটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে বর্তমানে। যেখানে দর্শক গুণগত মান দেখেই প্রেক্ষাগৃহে যায়। নয়তো ওটিটি-তেই ছবি দেখে নেয়। পাশাপাশি আরও এক ছবি নিয়ে কথা বলা যেতে পারে, তা হল খেল খেল মেয়। যেখানে অক্ষয় কুমার পারিশ্রমিক নিয়েছিলেন ৫৬ কোটি টাকা। ছবির বাজেট ছিল ১০০ কোটি। যা ৫৫ কোটি টাকা ঘরে তুলতে সক্ষম হয়েছিল।