CJI Chandrachud: ‘ইয়া… ইয়া আবার কী কথা!’ আইনজীবীর ভাষা শুনে ক্ষুব্ধ প্রধান বিচারপতি, মাঝপথেই থামিয়ে দিলেন – Bengali News | CJI D Y Chandrachud scolded a lawyer for using informal language in the court room at Supreme Court
সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়।Image Credit source: Twitter
নয়া দিল্লি: সুপ্রিম কোর্টের শুনানিতে ভাষা নিয়ে আইনজীবীকে কড়া বার্তা দিলেন প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। তাঁর প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে আইনজীবী যে ভাষায় উত্তর দেন, তাতে কার্যত বিরক্ত হন প্রধান বিচারপতি। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, এই ধরনের শব্দ ব্যবহার মোটেই পছন্দ করেন না তিনি। আইনজীবীকে মনে করিয়ে দেন, ‘এটা কোনও কফিশপ নয়।’
২০১৮ সালের একটি মামলার শুনানি চলছিল শীর্ষ আদালতে। সেই মামলায় প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ-কে রেসপন্ডেন্ট হিসেবে যুক্ত করেন আইনজীবী। সেই আবেদন দেখেই প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় প্রশ্ন করেন, ‘এই আবেদন আর্টিকল ৩২ সংক্রান্ত। কীভাবে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করে একজন বিচারপতিকে রেসপন্ডেন্ট হিসেবে যুক্ত করা যায়?’ প্রধান বিচারপতি আরও উল্লেখ করেন, সংবিধানের ৩২ নম্বর অনুচ্ছেদ বলছে, সাধারণ মানুষ মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হলে সংবিধানে প্রতিকার চাওয়ার অধিকার আছে।
প্রধান বিচারপতির এই বক্তব্যে জবাব দিতে গিয়ে ওই আইনজীবী বলে ওঠেন, ‘Yeah, yeah the then CJI Ranjan Gogoi…’। এ কথা শুনেই আইনজীবীকে থামিয়ে দেন প্রধান বিচারপতি। ইয়া… ইয়া (Yeah) শব্দ দুটো শুনেই ক্ষুব্ধ হন তিনি। প্রধান বিচারপতি বলে ওঠেন, “এটা কোনও কফি শপ নয়। ইয়া… ইয়া আবার কী কথা! আমি এই ইয়া শব্দটা একেবারে পছন্দ করি না। এই ধরনের ভাষা ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হবে না।”
এই খবরটিও পড়ুন
একইসঙ্গে প্রধান বিচারপতি আইনজীবীকে মনে করিয়ে দেন, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি রঞ্জন গগৈ সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ছিলেন। প্রধান বিচারপতি বলেন, “আপনি একজন বিচারপতির বিরুদ্ধে এভাবে মামলা দায়ের করতে পারেন না।”
আইনজীবী উত্তরে বলেন, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি রঞ্জন গগৈ আমার আবেদন খারিজ করে দিয়েছিলেন। আমার কোনও দোষ নেই। আমি অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি টি এস ঠাকুরকেও বলেছিলাম শ্রম আইন সংক্রান্ত এই আবেদন শোনা হোক। কিন্তু সেটাও খারিজ হয়ে যায়।
আইনজীবীর এই বক্তব্য শুনে প্রধান বিচারপতি বলেন, “হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করার সময় কোনও বিচারপতির বিরোধিতা করা যায় না।” প্রধান বিচারপতি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, আবেদনকারীকে বিচারপতি গগৈ-এর নাম বাদ দিতে হবে।