TMC: অপসারিত হতেই ‘হামলা’, পাথরপ্রতিমার দ্বীপাঞ্চল তপ্ত তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলে – Bengali News | Tmc inner clash in Patharpratima, South 24 Parganas
পাথরপ্রতিমায় তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলImage Credit source: TV9 Bangla
দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ভাঙড়ের পর এবার পাথরপ্রতিমা। লোকসভা ভোট মেটার পরেই তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল প্রকাশ্যে চলে এল। পাথরপ্রতিমা ব্লকের জি-প্লটের অঞ্চল ও বুথ সভাপতিকে দল থেকে সাসপেন্ড করার পরেই তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্য সংঘর্ষ। একে অপরের ওপর বাঁশ, লাঠি, লোহার রড নিয়ে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। কাঠগড়ায় সাসপেন্ডেড অঞ্চল সভাপতি নুর ইসলাম ও বুথ সভাপতি দীপঙ্কর প্রধানের দলবল।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার দলের বর্তমান কনভেনর কার্তিক মাইতি-সহ কয়েকজন আক্রান্ত হন। তাঁদের ওপর হামলার অভিযোগ ওঠে নুর ইসলাম ও দীপঙ্কর প্রধানের অনুগামীদের বিরুদ্ধে। আক্রান্তরা বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি।
এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ২ তৃণমূল কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গোবর্ধনপুর থানায় আক্রান্ত তৃণমূল নেতার পক্ষ থেকে সাসপেন্ড তৃণমূল নেতা নুর ইসলাম সহ দশ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আর এরই পাল্টা সাসপেন্ড নেতা নুর ইসলামের নেতৃত্বে তৃণমূলের পতাকা নিয়ে বর্তমান বিধায়ক সমীর জানার বিরুদ্ধে মিছিল করে কয়েকশো অনুগামী।
এই খবরটিও পড়ুন
সব মিলিয়ে গত কয়েকদিন ধরে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলে উত্তপ্ত দীপাঞ্চল জি-প্লট। সাসপেন্ড নেতা নুর ইসলামের বক্তব্য, “স্থানীয় তৃণমূল নেতা কার্তিক মাইতি ব্লক নেতৃত্বকে ভুল বুঝিয়ে আমাকে সাসপেন্ড করিয়েছে। আমি তৃণমূলের অনুগত সৈনিক। আগামী দিনে লড়াইয়ের ময়দানে দেখা হবে।”
অন্যদিকে পাথরপ্রতিমার বিধায়ক সমীর জানার বক্তব্য, “ওই এলাকা থেকে ওই নেতার বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠে এসেছিল। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে সাংসদ বাপি হালদারের নেতৃত্বে সাপপেন্ডের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”