Wheat-Flour Adulteration: আটা-ময়দায় ভর্তি ভেজাল! কোনটা ভাল কোনটা খারাপ, বুঝবেন কী ভাবে?
আজকাল সবেতেই ভেজাল। কোনটা আসল আর কোনটা নকল তা বোঝা সহজ কাজ নয়। এবার ধরুন বাজার থেকে বেশি দাম দিয়ে আটা বা ময়দা কিনে আনলেন। কিন্তু যেটা আনলেন তা বিশুদ্ধ আটাই নয়। অথচ আপনি বুঝতেও পারবেন না তা ভাল না খারাপ, তার গুণগত মান ঠিক কতটা খাবার যোগ্য।
সুতরাং কেউ ভেজাল মেশানো আটা দিয়ে দিলেও আপনার কিছু করার নেই। দিনের পর দিন সেই ভেজাল, অস্বাস্থ্যকর, বিষ খাবার খেয়ে যেতে হবে আপনাকে। অজান্তেই যে তা আপনার শরীরের কত ক্ষতি করছে তাও জানেন না আপনি।
আজকাল আটা বা ময়দায় পাথরের গুঁড়ো থেকে বোরিক অ্যাসিড নানা ধরনের ভেজাল মেশানো হচ্ছে। যা একবার পেটের গেলে পেটের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে এমনকি পেটের গোলমাল হতে পারে। দিনের পর দিন এই পাথর চূর্ণ বা বোরিক অ্যাসিড মেশানো আটার-ময়দার খেলে লিভার ও কিডনির ক্ষতিও অবধারিত।
তাই ফুড সেফটি অ্যাণ্ড স্ট্যান্ডার্ডস অথরিটি অফ ইন্ডিয়া বা এফএসএসএআই একটি সহজ উপায় বাতলে দিয়েছে আটা বা ময়দায় ভেজাল আছে কিনা তা জানার।
বাজার থেকে কিনে আনা আটার এক চামচ এক গ্লাস পরিষ্কার জলে ঢালুন। দেখবেন যদি আটায় পাথরের গুঁড়ো মেশানো থাকে, তা হলে সেগুলি জলের উপরে ভেসে উঠবে। আবার আটায় যদি ভেজাল থাকে তবে সব আটা জলে গুলবে না। আটা বিশুদ্ধ হলে তা জলে মিশতে শুরু করবে।
ময়দায় ভেজাল ধরারও একটি বিশেষ পরীক্ষা আছে। প্রথমে একটি টেস্ট টিউব নিয়ে নিন। এবার সেই টিউবে ১ গ্রাম ময়দা নিন। সেই ময়দার মধ্যে ৫ মিলিগ্রাম জল দিয়ে ভাল করে ঝাঁকিয়ে নিন।
এবার এতে কয়েক ফোঁটা কনসেন্ট্রেটেড হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড মেশান। এবার এই মিশ্রণে একটি টার্মারিক পেপার স্ট্রিপ ডুবিয়ে দেখুন। টার্মারিক পেপার স্ট্রিপটির রং যদি একটুও না বদলায়, তাহলে বুঝবেন ময়দায় কোনও ভেজাল নেই।
আর যদি টার্মারিক পেপার স্ট্রিপটির রং লাল হয়ে যায়, তাহলে বুঝতে হবে ময়দাতে ভেজাল আছে। সেক্ষেত্রে সতর্ক হয়ে যান। প্রয়োজনে যেখান থেকে সেই দোকান সম্পর্কে অভিযোগ দায়ের করুন। মনে রাখবেন শরীর আপনার তাই তাকে ভাল রাখার দায়িত্বও আপনার।