Bardhman: ঝমঝমিয়ে পড়ছে বৃষ্টি, উর্দি খুলে গামছা পরে বেহুলা নদীতে দিলেন ঝাঁপ, গুবলু সোরেনদের প্রাণ বাঁচিয়ে এখন ‘হিরো’ ASI দীপক পাল – Bengali News | Bardhaman: MeMari Police STation ASI Jump Into River And Save 3 people

গামছা পরে বেহুলা নদীতে ঝাঁপ এএসআই
Image Credit source: Tv9 Bangla
বর্ধমান: তুমুল বৃষ্টি শুরু হয়েছে বৃহস্পতিবার থেকে। জল বেড়েছে নদীগুলিতে। আর সেই জল ছাপিয়ে ঢুকে পড়েছিল গ্রামে। নদীর স্রোতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কোনও মতে অন্য পরিবারগুলি বের হয়ে এলেও, আটকে পড়েছিল একটি পরিবার। বৃষ্টিতে একদম ভিজে-চুপসে একশা হওয়ার জোগাড়। বেরতে পারচ্ছিলেন না কোনও ভাবেই। সেই সময় যেন ‘দূত’ হয়ে এলেন এএসআই দীপক পাল। পোশাক খুলে ঝাঁপ দেন বেহুলা নদীতে। স্রোতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে পৌঁছন ওপারে। উদ্ধার করে প্রাণ বাঁচায় ওই পরিবারের।
পূর্ব বর্ধমানের মেমারি থানা এলাকার ঘটনা। টানা বৃষ্টির জেরে জলে ভাসছে পূর্ব বর্ধমান জেলার বিভিন্ন ব্লক। এক রাতের টানা বৃষ্টিতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। কোথাও মানুষজনকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে নিরাপদ জায়গায়,আবার কোথাও ঘরের মধ্যে জল ঢুকে ঘরের মধ্যেই বন্দি হয়ে রয়েছেন মানুষজন। ডুবেছে বিভিন্ন ব্লকের রাস্তা। যানবাহন চলাচলে ঘটছে বিঘ্ন।
বৃহস্পতিবার একটানা বৃষ্টির জেরে বিভিন্ন নদীর পাশাপাশি বেড়েছে বেহুলা নদীর জলও।বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে পড়ে নদীর তীরবর্তী এলাকাও। এরপর রাত বারোটা নাগাদ মেমারি থানায় খবর আসে মগরা খাসপাড়া এলাকায় একই পরিবারের তিনজন বেহুলা নদীর জল বাড়ার ফলে আটকে পড়েছেন।
খবর দেওয়া হয় বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরে। দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছান মেমারি থানার এএসআই দীপক পাল, উপস্থিত হন ওসি দেবাশিস নাগও। রাত বাড়ার কারণে সিভিল ডিফেন্সের অপেক্ষা না করে এএসআই দীপক পাল উর্দি খুলে সাধারণ গামছা পরে ঝাঁপ দেন বেহুলা নদীতে। সাঁতরে পার হয়ে আটকে থাকা একটি পরিবারের তিনজনকে উদ্ধার করেন। তাদের পাঠানো হয়েছে রেসকিউ সেন্টারে।
এই পুলিশ অফিসারের মানবিক ভূমিকার প্রশংসা করেছেন এলাকার বাসিন্দারা। মহকুমা পুলিশ অফিসার অভিষেক মণ্ডল জানান, “বাকি পরিবারগুলি পেরিয়ে গেলেও একটি পরিবার আটকে পড়ে। এদের দুজন মহিলা,একজন পুরুষ। রাত হচ্ছে বলে ঝুঁকি নিয়েই দীপক পাল তাঁদের উদ্ধার করে আনেন। উদ্ধার হওয়া সকলেই সুস্থ আছেন।”