Big News: '...এটা মান-সম্মানের লড়াই চলছে', টলিপাড়ার অচলাবস্থা নিয়ে সরব প্রসেনজিৎ - Bengali News | Prosenjit chatterjee reaction on tollywood industry shooting suspended to protest - 24 Ghanta Bangla News

Big News: ‘…এটা মান-সম্মানের লড়াই চলছে’, টলিপাড়ার অচলাবস্থা নিয়ে সরব প্রসেনজিৎ – Bengali News | Prosenjit chatterjee reaction on tollywood industry shooting suspended to protest

0

সোমবার থেকে শুটিং বন্ধের ডাক দিয়েছিলেন টলিপাড়ার সিনেমা ও সিরিয়াল পরিচালকেরা। ফলে শুটিং ফ্লোর এদিন সকাল থেকেই ফাঁকা। শোনা যাচ্ছে রবিবার রাতেই তড়িঘড়ি সব সিরিয়ালের শুটিং যথাসম্ভব ব্যাঙ্কিং করে নেওয়া হয়েছে। ২৭ জুলাই থেকে শুরু জলঘোলা। প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের একটি ছবিকে কেন্দ্র করে শুরু হয় সমস্যা। না জানিয়ে বাংলাদেশে শুট করেছেন সেই ছবির পরিচালক রাহুল মুখোপাধ্যায়। তারপরই তাঁকে সাময়িক কর্মবিরতিতে যেতে বলে টেকনিশিয়ান গিল। পরবর্তীতে যদিও তা শিথিল হলেও মাঝখান থেকে বেঁকে বসেন টেকনিশিয়ানরা। তারপরই এই অচলবস্থা। শোনা যাচ্ছে পরিচালক ও টেকনিশিয়ানদের মতপার্থক্যের জেরেই জটিল হচ্ছে পরিস্থিতি।

এই পরিস্থিতির সমাধান খুঁজতেই সোমবার প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের বালিগঞ্জের বাড়িতে সকাল সকাল বসে বৈঠক। যেখানে উপস্থিত থাকেন টলিপাড়ার প্রথম সারির একগুচ্ছ পরিচালকেরা। রাজ চক্রবর্তী থেকে শুরু করে হরনাথ চক্রবর্তী, অনির্বাণ ভট্টাচার্য, সৃজিত মুখোপাধ্যায়, শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, অরিন্দম শীল প্রমুখেরা। দ্রুত সমাধানসূত্র খুঁজতে বৈঠকের পর সাংবাদিক সম্মেলনে করজোড়ে পরিচালকেরা অনুরোধ করলেন, যে অচলবস্থা কাটিয়ে সকলে একযোগে যেন সকলে কাজে ফেরেন। নয়তো আদপে ইন্ডাস্ট্রির ক্ষতি।

বৈঠক শেষে এই প্রসঙ্গে মুখ খোলেন প্রজেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, ক্যামেরার সামনে তিনিও হাত জোড় করে বললেন, ”নমস্কার, এটা আমার বাড়ি। এখানে কোনও সাংবাদিক সম্মেলন হচ্ছে না। এটা একটা আলোচনা। আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে রয়েছেন ২০০ জন পরিচালক, সঙ্গে আমাদের কলাকুশলিরা, টেকনিশিয়ান বন্ধুরা রয়েছেন, সর্বপরী আমাদের শিল্পীরা। দেব আমাদের সঙ্গেই রয়েছে সব সময়। ঘাটাল থেকে ভিডিয়ো কলে যোগাযোগ রাখছে সকাল থেকে। আমরা চেষ্টা করছি, এখানে আমাদের ভূমিকাটা কী? ইন্ডাস্ট্রিতে ৩০-৪০ বছর কাজ করে একটা পরিবারে পরিণত হয়েছি। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বেশ কিছু নিয়ম আছে, নীতি আছে, যেগুলোকে পাল্টানো প্রয়োজন। আমরা সারাজীবন লড়াই করেছি টেকনিশিয়ানদের জন্য। টেকনিশিয়ানদের সঙ্গে থাকাটা আমাদের এক বড় ধর্ম। পাশাপাশি শিল্পীদের আর্টিস্ট ফোরাম, যেখান প্রচুর শিল্পী রয়েছেন। তবে আমার মনে হয়, এখন যে জায়গাটায় আমরা দাঁড়িয়ে রয়েছি, সেটা কোনও লড়াই নয়, এটা মানসম্মানের লড়াই চলছে। একটা পরিবারে যদি আমরা সবাই বাস করি, সেখানে মান-সম্মান সবই থাকবে। তার জন্য পরিবারটা তো ভেঙে যায় না। আমরা চাই উন্নয়ন।”

এদিন তিনি আরও বলেন,  ”আমরা বলছি প্যান ইন্ডিয়ান ফিল্ম, তবে প্যান ইন্ডিয়া ছবি বানাতে গেলে বাইরের লোকেদের এখানে আনতে হবে। কাজ কখনও বন্ধ হওয়া উচিত নয়। আমার ছবি বলে বলছি না, আমি এখানে অভিনেতা নই। সমস্যা থাকলে আলোচনা হোক, তবে কাজটা চলুক। বুঝতে হবে এই কাজটার পেছনে শুধু কোনও প্রযোজক নেই, প্রচুর মাথা কাজ করে। সব পরিশ্রমটা বন্ধ হয়ে গেল, আরা বানাচ্ছি কাদের জন্যে? দর্শকদের ভাল কিছু দেওয়ার জন্য। আমি বুঝতেই পারছি না বিরোধিতাটা কোথায়? আজ বাইরের লোকেরা এখানে এসে কাজ করলে উপকারটা কারা পাবে? আমি একদিনে অনেকটা খেয়ে পেটটা খারাপ করব না একটু একটু করে রোজ খাব? এটা ভাবার সময় এসে গিয়েছে। কারণ সত্যি অনেকে কাজ করতে চাইছে এখানে। হয়তো সমস্যা হচ্ছে, কিন্তু এই সমস্যাগুলোকে কি মেটানো যায় না? এটা অনেক বছর আগেই বসা উচিত ছিল, কিছু জিনিস সকে মিলে আলোচনা করে, মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর তরফ থেকে কেউ থাকলেন, যাঁরা সাহায্য করলেন, এগুলো মিলিয়ে একটা সুস্থ পরিবেশে আসা উচিত।”

Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You may have missed

x