জিওর সিম ব্যবহার করেন না শ্রীলেখা, কারণ জানলে ভাবতে বাধ্য হবেন – Bengali News | Actress sreelekha mitra has taken a stance not to use a jio sim
বেজায় চটেছেন বাঙালি অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র। তিনি যে কারণে বিরক্ত, তা হল এক বিয়েবাড়ি। যে বিয়েবাড়ির ভিডিয়ো এবং ছবি এই মুহূর্তে সোশাল মিডিয়ার টাইমলাইনে ছয়লাপ। ধনবান আম্বানি পরিবারের ছোট ছেলে অনন্ত আম্বানি এবং আর এক ব্যবসায়ী পরিবারের কন্যা রাধিকা মার্চেন্টের বিয়েকে কেন্দ্র করে যা-যা ঘটছে এ যাবৎ, তা নিয়ে ভীষণ বিরক্ত শ্রীলেখা। মঙ্গলবার (১৬.০৭.২০২৪) একটি দীর্ঘ পোস্ট করেছেন ফেসবুকে। বিস্তারিতভাবে কথা বলেছেন টিভি নাইন বাংলা ডিজিটালের সঙ্গেও। আলোকপাত করেছেন কিছু ‘ভেবে দেখার মতো’ বিষয়ের দিকে।
“বাড়িতে টাওয়ারের সমস্যা থাকা সত্ত্বেও আমি জিও সিম ব্যবহার করি না এই কারণে”, সাফ জানিয়ে দিলেন শ্রীলেখা। তিনি তখন রাগে ফুসছেন। এমনিতেই ‘নো-ননসেন্স’ পার্সন তিনি। কোনও অন্যায় দেখলে ‘রিয়্যাক্ট’ করে ফেলেন তৎক্ষণাৎ। আম্বানিদের বিয়েকে কেন্দ্র করে যা-যা ঘটছে, তা দেখে ভীষণই বিরক্ত হয়েছেন বলাই বাহুল্য। নিজের পোস্টে শ্রীলেখা তুলোধনা করেছেন বাংলার সেলেবদের। ভাড়া করা পোশাক এবং গয়না পরে যাঁরা-যাঁরা বাংলা থেকে আম্বানিদের বিয়েতে গিয়েছেন, তাঁদের একহাত নিয়ে বলেছেন, “আমাদের এখানকার সেলেব্রিটি ভাড়া করা জামা আর গয়না পরে গিয়ে ছবি তুলে বোঝাচ্ছে তাঁরা ভিভিআইপি (VVIP) আর কিছু মানুষ তাঁদের দেখে বলছে বাঙালি হিসেবে ‘গব্বো’ (গর্বকে ব্যঙ্গ করে ‘গব্বো’ বলেছেন শ্রীলেখা) বোধ হচ্ছে।” গোটা বিষয়টাকেই নোংরা প্রদর্শনীর নাম দিয়েছেন অভিনেত্রী। রেগেমেগে জানিয়েছেন, এ সব দেখে তাঁর এবার ‘স্বর্গে’ যাওয়ার সময় হয়ে গিয়েছে।
টিভি নাইন বাংলা ডিজিটালের সঙ্গে কথা বলতে-বলতে শ্রীলেখা বলেছেন, “আমাদের দেশে এই সব সমস্ত বৈভব মানায় না। এই দেশের লোকজন খেতে পরতে পারেন না ঠিক মতো। ইন্দিরা গান্ধী বলেছিলেন ‘রোটি, কাপড়া, মাকান’… সত্যি বলুন তো আমাদের দেশে সব মানুষের সেটা আছে। সকলে স্বচ্ছল? যে দেশে সকালে খেলে বহু মানুষকে রাতের খাবার জুটবে কি না সেই চিন্তা করতে হয়, সেই দেশে হাজার-কোটি টাকার বিয়ে প্রদর্শন কেমন দেখায়? লজ্জা লাগছে। আর বলিহারি, কলকাতার সেলেব্রিটিরা আবার সেই সমস্ত নোংরামির অংশ হচ্ছেন। ধিক্কার!”
এই খবরটিও পড়ুন
তারপরই আম্বানিদের রিলায়েন্স জিও সিম নিয়ে একটা কথা বললেন শ্রীলেখা। তিনি জানালেন, তাঁর বাড়িতে এয়ারটেল কিংবা ভোডাফোনের কানেকশন আসে না ঠিক মতো। কিন্তু তাও তিনি আম্বানিদের জিও মোবাইল কানেশন নেন না। বলেন, “আমি জিওর কানেকশন নিই না এই কারণেই। এই ধরনের বৈভব প্রদর্শনী দেখে আমার সত্যি আর বাঁচতে ইচ্ছা করছে না এই দেশে।”
শ্রীলেখা আর্জি জানিয়েছেন সকলকে। এক ১৮ বছর বয়সি ছেলের পাশে এসে দাঁড়াতে বলেছেন তিনি। ছেলেটির লিভার এক্কেবারে অকেজো হয়ে গিয়েছে। তাঁকে আর্থিক সাহায্য করার আর্জি জানিয়েছেন শ্রীলেখা।