Karate: মুর্শিদাবাদের ‘ক্যারাটে কুইন’ ফাহমিদা নাসরিন, আন্তর্জাতিক ক্যারাটে চ্যাম্পিয়নশিপে জিতলেন জোড়া সোনা – Bengali News | Murshidabad’s Fahmida Nasrin won two gold medal in International karate Championship
মুর্শিদাবাদের ‘ক্যারাটে কুইন’ ফাহমিদা নাসরিন, আন্তর্জাতিক ক্যারাটে চ্যাম্পিয়নশিপে জিতলেন জোড়া সোনা
মুর্শিদাবাদ: স্বপ্ন আইপিএস অফিসার হওয়া। প্রস্তুতি চলছে ইউপিএসিরও। তারসঙ্গেই রয়েছে ক্যারাটের প্রতি ভালোবাসা। গত বছরের ৩০ ও ৩১ ডিসেম্বর মুর্শিদাবাদের জলঙ্গির ফাহমিদা আহমেদের জন্য বিশেষ। কারণ, নতুন বছর শুরু হওয়ার আগেই সোনার হাসি ফুটেছে মুর্শিদাবাদের মেয়ে ফাহমিদা নাসরিনের মুখে। শ্রীলঙ্কা ও ভুটানকে হারিয়ে জোড়া সোনা জিতেছেন ফাহমিদা। ১৩তম আন্তর্জাতিক ক্যারাটে চ্যাম্পিয়নশিপে জোড়া সোনা জিতে জেলার পাশাপাশি দেশের মুখ উজ্জ্বল করলেন মুর্শিদাবাদের জলঙ্গির দক্ষিণ ঘোষপাড়া অর্থাৎ সীমান্তের মেয়ে ফাহমিদা নাসরিন।
পূর্ব মেদিনীপুরের হলদিয়ার দুর্গাচক স্টেডিয়াম ময়দানে আন্তর্জাতিক ক্যারাটে চ্যাম্পিয়নশিপে অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০২১ সালের ৩০ ও ৩১ ডিসেম্বর। নেপাল, ভুটান, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ এবং ভারতের থেকে প্রতিযোগিতারা এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন। সেখানে কাতা বিভাগে শ্রীলঙ্কা এবং কুমি বিভাগে ভুটানকে হারিয়ে জোড়া সোনা জিতেছেন ভারতের ফাহমিদা। মুর্শিদাবাদের নাসরিন জোড়া সোনা জিতে জানিয়েছেন, এই জয়ের ফলে তিনি খুশি। তিনি জানান, ৭ মাস অনুশীলন না করেই খেলতে গিয়েছিলেন। তাতে জেতায় সবচেয়ে খুশি তিনি নিজে এবং তাঁর মা।
মেয়ের সাফল্যে বিরাট খুশি মা সেলিনা পারভিন। তিনিই ফাহমিদা নাসরিনের কোচও। তাঁর কথায়, ‘মেয়ের উন্নতির চেষ্টা রয়েছে। আমিও চাই মেয়ে সমাজে চলতে শিখুক। আমাকে যেমন অনেক হেনস্থা সহ্য করতে হয়েছে। আগে কেউ ওড়না ধরে টেনেছে তো কেউ সাইকেল কেড়ে নিত। আমি জবাব দিতে পারতাম না। মেয়ের সঙ্গে তা যেমন কখনও না হয়, তাই ওকে ক্যারাটে শিখিয়েছি। মাথা উঁচু করে চলতে শিখিয়েছি।’
ফাহমিদার মা জানান, তাঁর মেয়ে যখন ক্যারাটে শুরু করে তখন তাঁকে এবং তাঁর মেয়েকে অনেক কথা শুনতে হয়েছে। তাঁর কথায়, ‘আমার মেয়ের জন্মর পর আমাকে ও ওকে অনেক কষ্ট পেতে হয়েছে। তখন থেকেই একটা জেদ ছিল। মেয়েকে বড় হতে সহযোগিতা করি। আগে গ্রামের মানুষ উল্টোপাল্টা কথা বলত। মেয়ের সুনাম হচ্ছে দেখে এখন আমার গ্রামবাসীরাও গর্বিত।’
আন্তর্জাতিক স্তরে আগেও সাফল্য পেয়েছেন ফাহমিদা। তাঁর কথায়, ‘কোচ হিসেবে আমার মা-ই প্রথমে থাকবে। মাহতাব শেখ স্যারকেও ধন্যবাদ জানাই। পরিবারের সকলে আমাকে খুব সাপোর্ট করে। আমার যখন যা প্রয়োজন হয়, সেটাই এনে দেয়। খেলতে গিয়ে সমস্যা হয় যখন ফাইনাল পরীক্ষা থাকে। পড়াশুনা ও খেলা একসঙ্গে যখন চলে একটু মানিয়ে তো চলতেই হয়। সামনে ঊচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা আছে। আমি ডোমকল সায়েন্স অ্যাকাডেমিতে পড়ি। আমি যখন খেলতে যাই, আমার ক্লাস মিস হয়। আমার স্কুসের স্যাররা পরে আমাকে এক্সট্রা ক্লাস করিয়ে দেন।’