Meenakshi Mukherjee: মীনাক্ষী কেন ক্যাপ্টেন? এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে অকপট বিমান – Bengali News | What Left Front Chairman Biman Basu saying about DYFI Meenakshi Mukherjee’s cutout campaign
মীনাক্ষীর কাটআউট প্রচার কী কমিউনিস্ট সুলভ? ‘ক্যাপ্টেনের প্রচার তো হবেই’, বলছেন ‘চেয়ারম্যান’
Image Credit source: TV-9 Bangla
কলকাতা: হাতে আর মাত্র ক’টা দিন। যে ব্রিগ্রেডে কয়েকদিন আগেই লক্ষ কণ্ঠে গীতপাঠ হয়ে গেল, সেই ব্রিগেড ভাসতে চলেছে লাল ঢেউয়ে। শাসকের বিরোধিতায় সুর চড়াতে চলেছে কাস্তে-হাতুড়ি-তারারা। ভিড় হবেই, ফিরবে জ্যোতি-বুদ্ধ জমানার চেনা ছবিটা। ‘কনফিডেন্ট’ বামেদের প্রবীণ থেকে নবীন, সকলেই। ডিওয়াইএফআইয়ের (DYFI) ৪৪তম প্রতিষ্ঠা দিবস ছিল ৩ নভেম্বর। সেদিনই শুরু হয়েছিল নয়া অভিযানের। তারপর কেটেছে ২ মাস। সকলের জন্য কাজের দাবি, রাজ্যে শিল্পায়ন, দুর্নীতির মতো বিষয় নিয়ে জোরালো আওয়াজ তুলে গোটা রাজ্য ঘুরে হাঁটতে হাঁটতে বাম যুবকর্মীরা আগামী ৭ জানুয়ারি পৌঁছবেন কলকাতার ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে। সোজা কথায় ইনসাফ যাত্রা থেকেই লোকসভা ভোটের আগে নতুন করে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন যেন আরও বেশি করে দেখতে চাইছে আলিমুদ্দিন। যৌবনের ডাকে সাড়া দিয়েই ব্রিগেড ভরাবে মানুষ। এমনই বলছেন সেলিম থেকে বিমানরা। মুখ একটাই, ক্যাপ্টেনও একজনই, মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। শেষ বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রামে খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, দাপুটে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে দাঁড়িছিলেন এই মীনাক্ষীই। যদিও মাত্র ৬ হাজারের কিছু ভোট পেয়ে ক্ষান্ত থাকতে হয় তাঁকে। কণ্ঠে মেঠো টান, উঠে আসা খুবই সাধারণ পরিবার থেকে। সর্বদাই আদ্যন্ত সাধারণ, ছিমছাম পোশাকেই ঘুরে বেড়ান এই জেলা থেকে সেই জেলা, তাঁকেই আগামীর মুখ করে ঘুরে দাঁড়াতে চাইছে বঙ্গ সিপিএম। জেলা থেকে কলকাতা, ব্রিগেড চলোর পোস্টারে, বিশাল বিশাল সব কাটআউটে এখন একটাই মুখ, মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। যা দেখে অনেক ‘বামমনস্ক’ মানুষই খোঁচা দিয়ে বলছেন সিপিএম আবার ‘ব্যক্তিপুজো’ শুরু করল কবে? যদিও সেসবে পাত্তা দিতে নারাজ বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। তাঁর সাফ দাবি, প্রজেক্ট মীনাক্ষী নয়, ক্যাপ্টেন মীনাক্ষী। ওই তো আসল ক্য়াপ্টেন এখন। প্রচার তো হবেই।
টিভি-৯ বাংলার ম্যানেজিং এডিটর অমৃতাংশু ভট্টাচার্যকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিমান বলেন, “একজন ইয়ং লেডি সে ডিওয়াইএফআইয়ের সেক্রেটারি হয়েছে। পুরুষদের মতোই সে এগিয়ে যাচ্ছে। সমস্ত শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে এগিয়ে যাচ্ছে। আগেকার দিনে স্বাধীনতার সময়ে একটু ডাকাবুকোদের তো ক্যাপ্টেন বলে সম্বোধন করত মানুষ। তাই তো ক্যাপ্টেনের প্রচার হচ্ছে। আগে তো ডিওয়াইএফআইয়ের কোনও মহিলা সেক্রেটারি ছিল না। সে কারণেই হয়তো এখন প্রচার বেশি হচ্ছে।”
এই খবরটিও পড়ুন
কিন্তু, তাই বলে কাটআউট নির্ভর রাজনীতি? কমিউনিস্ট পার্টিতে এটা হয়? তবে কি তবে কি প্রচারের চিন্তাভাবনাতেও এবার বদল আনছে সিপিএম? এই প্রশ্নও উঠছে রাজনীতির পাড়ায়। এ প্রসঙ্গে টিভি-৯ বাংলার ম্যানেজিং এডিটর অমৃতাংশু ভট্টাচার্যকে অশীতিপর বিমান বলেন, “ইলা মিত্র যখন আক্রান্ত হয়েছিল। তখন ইলা মিত্রকে নিয়েই ব্যাপারটা হয়েছে। সেটা দেশভাগ হওয়ার পর। যে কারণে গোলাম কুদ্দুসকে লিখতে হয়েছিল স্তালিন নন্দিনী ফুচিকের বোন ইলা মিত্র। কাজেও এটা একটু আলাদ হয়ে গেল। আগামীদিনে মীনাক্ষী সামগ্রিক লড়াই সংগ্রামের মুখ তো বটেই।” যদিও শেষবেলায় যৌবনের ব্রিগেড হলেও শ্রমজীবী মানুষ, কৃষিজীবী মানুষ, অংসগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিক সকলেরই ন্যায় বিচারের স্বার্থে ইনসাফ যাত্রার শেষে ইনসাফ চাইতে ব্রিগেডে যাওয়া উচিত বলেই মনে করছেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান।