Taro: কেন ওল বা কচু খেলে গলা চুলকায়? ঘরোয়া উপায়ে এই সমস্যা থেকে পান মুক্তি - Bengali News | Why does anyone's throat itch after eating taro, How can anyone get rid of the feeling by using home remedies - 24 Ghanta Bangla News
Home

Taro: কেন ওল বা কচু খেলে গলা চুলকায়? ঘরোয়া উপায়ে এই সমস্যা থেকে পান মুক্তি – Bengali News | Why does anyone’s throat itch after eating taro, How can anyone get rid of the feeling by using home remedies

Taro: কেন ওল বা কচু খেলে গলা চুলকায়? ঘরোয়া উপায়ে এই সমস্যা থেকে পান মুক্তি Image Credit: Canva

ওল বা কচুর মধ্যে থাকে ক্যালসিয়াম অক্সালেট ক্রিস্টাল (Calcium Oxalate Crystals), যাকে অনেক সময় “রাফাইডস” (Raphides) বলা হয়। এই সূঁচের মতো ক্ষুদ্র কণাগুলো মুখ, জিভ ও গলার মিউকাস মেমব্রেনে আটকে গিয়ে জ্বালা, খুসখুসে ব্যথা বা চুলকানির মতো অস্বস্তি তৈরি করে। অনেক সময় ওল বা কচু রান্না ঠিকমতো না করলে রাফাইডস বেশি মাত্রায় থেকে যায়, যার ফলে চুলকানি বাড়ে। চলুন জেনে নেওয়া যাক ওল না কচু খেয়ে গলা চুলকালে কোন ঘরোয়া উপায়ে তা সারাবেন।

ঘরোয়া উপায়ে গলা চুলকানি কমানোর উপায় –

  • যদি ওল বা কচু খাওয়ার পর গলায় চুলকায়, তখন গরম দুধ বা মধু খেতে পারেন। হাফ কাপ গরম দুধে ১ চামচ মধু মিশিয়ে খেলে গলার জ্বালা দ্রুত কমে আসে।
  • এ ছাড়া লবণ মেশানো হালকা গরম জল দিয়ে কুলকুচি করে দেখতে পারেন। এতে গলার জ্বালা অনেকটা আরাম দেয়।
  • গুড় খাওয়া যেতে পারে। কাঁচা গুড় মুখে রাখলে অনেক সময় চুলকানি কমে যায়।
  • লেবু-জল বা লেবুর রস খেলেও উপশম মেলে। লেবুর টক রস ক্যালসিয়াম অক্সালেটের প্রভাব কিছুটা কমায়, যার ফলে গলা আরাম পায়।
  • নারকেলের দুধ খেলেও অনেক সময় চুলকানি কমে যায়। ওল/কচু খাওয়ার পর যদি গলা চুলকায়, তা হলে অল্প নারকেলের দুধ খেয়ে দেখতে পারেন।

রান্নার সময় যা মাথায় রাখলে চুলকানির সমস্যা এড়ানো সম্ভব —

  • লেবু / তেঁতুল / দইয়ের ব্যবহার – কাটা ওল বা কচুতে লেবুর রস মাখাতে পারেন। দই বা তেঁতুলের জলে ১৫-২০ মিনিট ভিজিয়ে রাখতে পারেন। এতে ক্যালসিয়াম অক্সালেট ক্রিস্টাল ভেঙে যায়। যার ফলে আর গলা চুলকায় না।
  • ওল বা কচুতে সরষের তেল ও নুন মাখাতে পারেন। প্রথমে টুকরো করে কেটে ভাল করে ধুয়ে নিন। তারপর সর্ষের তেল, নুন ও সামান্য হলুদ গুঁড়ো মাখিয়ে ১০ মিনিট রাখুন। এরপর রান্না করলে গলা চুলকাবে না।
  • ভাল করে সেদ্ধ করতে হবে। কাটা ওল/কচুতে সামান্য নুন দিয়ে ফুটন্ত জলে সেদ্ধ করে সেই জল ফেলে দিয়ে তারপর রান্না করুন। এতে চুলকানি সৃষ্টিকারী উপাদান বেরিয়ে যায়।
  • ভাল ভাবে ভাজতে হবে। রান্নার শুরুতেই টুকরোগুলো ভাল করে ভেজে নিলে আর খাওয়ার পর গলায় চুলকানি হয় না।
  • পরিমাণমতো মশলার ব্যবহার করতে হবে। যেমন রান্নায় সর্ষে বাটা, রসুন, জিরে, কাঁচালঙ্কা ব্যবহার করলে চুলকানি অনেকটা কমে যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *