Calcutta High Court: ‘বেশি স্মার্ট ভেবেছেন নিজেকে… বাড়ি যেতে হবে না, সোজা জেলে পাঠাব’, প্রবল বিরক্ত হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি – Bengali News | Calcutta High Court chief justice expresses anger as no step taken for illegal construction

কলকাতা: বেআইনি বাড়ি ভাঙা নিয়ে পুরসভার ইঞ্জিনিয়ারের উপর ক্ষুব্ধ আদালত। কাকে সাহায্য করছেন অফিসার? এমনই প্রশ্ন করলেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম। কিছুদিন আগেই কলকাতায় একের পর এক হেলে পড়া বাড়ি সামনে আসে। হুড়মুড়িয়ে বাড়ি ভেঙে পড়েছিল বাঘাযতীনে। তারপরও বেআইনি বাড়ি নিয়ে কোনও তৎপরতা নেই বলেই অভিযোগ।
বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি চৈতালি চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে ছিল শুনানি। প্রধান বিচারপতি বিরক্তি প্রকাশ করে বলেন, “পুরসভার এক্সিকিউটিভ অফিসারকে আজই সাসপেন্ড করব? অবসরের সময় হয়ে গিয়েছে, তার আগেই এখনই সাসপেন্ড করে দিচ্ছি।”
ওয়াটগঞ্জের একটি বাড়ির ৩ থেকে ৫ তলা বেআইনি বলে অভিযোগ এলেও বাড়ি পরীক্ষা করেননি ইঞ্জিনিয়াররা। এদিন সেই হলফনামা দেখেই ক্ষুব্ধ আদালত। বরো ৯-এর ইঞ্জিনিয়ার রঞ্জন দাসের উপর ক্ষুব্ধ প্রধান বিচারপতি। তিনি বলেন, ‘এস এন ব্যানার্জিতে ওঁর অফিস থেকে বাড়ি যেতে হবে না। সোজা জেলে পাঠাব। হলফনামা দিয়ে আদালতকে ভুল বোঝাচ্ছেন।’ হলফনামা খতিয়ে দেখে প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, “বেআইনি বাড়ির অভিযোগে অন্তত একবার খতিয়ে দেখতে যেতে হবে। কিছুই করেননি। উলটে যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁদের সঙ্গে মিলে কাজ করেছেন। বেশি স্মার্ট ভেবেছেন নিজেকে।”
রাজ্যের উপরেও ক্ষুব্ধ আদালত। রাজ্যের আইনজীবীকে প্রধান বিচারপতি বলেন, “ওয়াটগঞ্জ থানার বিরুদ্ধেও অভিযোগ এসেছে। মিথ্যে মামলা দেওয়া হয়েছে মামলাকারীর বিরুদ্ধে। দুর্নীতি দেখলে অন্তত কিছু কড়া পদক্ষেপ করুন, তাহলে পরবর্তী সময়ে বাকিরা ভয় পাবেন।” ওয়াটগঞ্জের ওই বেআইনি নির্মাণ ভাঙতে কলকাতা পুলিশ কমিশনারকে পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিলেন প্রধান বিচারপতির।
আগামী ১৬ মে-র মধ্যে পুলিশ দিয়ে বাড়ি খালি করানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বাড়ি ভাঙা হয়েছে কি না, ছবি দিয়ে সেই রিপোর্ট দিতে হবে আদালতকে, নির্দেশ প্রধান বিচারপতির।