Jogeshchandra Law College: কুণাল বলেছিলেন ‘নাটক করেছে…’, শুনেই যোগেশচন্দ্র কলেজের সেই ছাত্রী বললেন, ‘হয়তো উনি জানেন না….’ – Bengali News | Jogeshchandra law college Kunal said ‘Drama has done…’, the student of Jogeshchandra College said, ‘Maybe he doesn’t know…’

কুণালের উদ্দেশে কী বললেন ছাত্রী? Image Credit source: TV9 Bangla
কলকাতা: ধর্ষণ, খুন, বাঁশ দিয়ে পেটানোর হুমকি দিচ্ছে সাব্বির-বাহিনী। রবিবারই শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সামনে কান্নায় ভেঙে পড়ে এই অভিযোগ করেন যোগেশচন্দ্র ল’ কলেজের ছাত্রী। পুলিশি পাহারায় পুজো হলেও, এখনও আতঙ্কে ছাত্রীরা। কিন্তু পুজো শেষে পুলিশি নিরাপত্তা উঠে গেলে কী হবে, তা নিয়ে আতঙ্কিত পড়ুয়ারা।
রবিবারের পর সোমবার TV9 বাংলায় ওই ছাত্রী বলেন, “বিসর্জন পর্যন্ত আমরা পুলিশি প্রহরা পাব। বাইরে তো দেখাই যাচ্ছে। বিভিন্ন ধরনের হুমকি এখনও চলছে। নিরাপত্তা কতটা আছে, সে নিয়ে প্রশ্ন এখনও রয়েছে। এটার পর পুলিশ প্রোটেকশন পাব না। কী হবে, আমরাও জানি না।”
শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সামনে কান্নায় ভেঙে পড়ায় ছাত্রীকে কটাক্ষ করেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। কুণাল ঘোষ বলেন, “কলেজ নিয়ে যা দেখানো হচ্ছে, তা ডাঁহা মিথ্যা। এক বিল্ডিং-এ একাধিক কলেজ আছে। রেষারেষি হতেই পারে।” তিনি আরও বলেন, “খোঁজ নিলে দেখবেন, যিনি কান্নাকাটি করেছেন, তিনি হয়ত কলেজের নাটকেও কান্নার পাঠ করেন। যে কোনও কারণে কেঁদে ফেললেই হল! এতগুলো ক্যামেরা দেখেছে। জানে কোনটা বললে, আর কী করলে চারটে ব্রেকিং নিউজ হবে। কারও পরামর্শে সেটা করেছে। পরেরবার নাটকে দেখবেন কান্নার রোল করবে।”
সে প্রসঙ্গেও প্রশ্ন করা হয় ওই ছাত্রীকে। তিনি বলেন, “হয়তো উনি জানেন না, একজন মেয়েকে রেপ থ্রেট দিলে, সেই মেয়েটার মনের অবস্থা ঠিক কী রকম হয়। একদিন নয়, দিনের পর দিন। শিক্ষা প্রাঙ্গনের পরিবেশ এরকম হওয়া উচিত নয়।”
যোগেশচন্দ্র ল’ কলেজের এই ঘটনা নিয়ে সরব বিরোধীরাও। সিপিএম নেতা বিকাশরঞ্জন চৌধুরী বলেন, “শিক্ষামন্ত্রী তো শিক্ষা নিয়ে কাজ করেন না। করলে হয়তো ছাত্রছাত্রীদের মনে ভয় ভাঙতেই ব্রাত্যবাবুদের মনে নতু করে ভয় সৃষ্টি হচ্ছে।” যদিও শাসকমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, “যদিও এই ধরনের ঘটনা সেপিফিক হয়। তাহলে তো সিরিয়াস ইস্যু। এফআইআর করে গ্রেফতারির ব্যবস্থা করতে হবে। আমি দেখছি থ্রেট এখন ফ্যাশন হয়ে গিয়েছে। এই ধরনের মনোবৃত্তিইবা আসবে কেন?”