Bankura: দীর্ঘক্ষণ উপোস করে থেকেও স্কুলে অঞ্জলি দিতে পারল না পড়ুয়ারা! কারণ জানলে অবাক হবেন – Bengali News | Bankura Even after fasting for a long time, the students could not pay Anjali at school! demonstration

বাঁকুড়ার স্কুলে বিক্ষোভImage Credit source: TV9 Bangla
বাঁকুড়া: চলতি বছর স্কুলে সরস্বতী পুজো হয়নি। অগত্যা দীর্ঘক্ষণ উপোস করে থেকে পাশের ক্লাবের পুজোতে পুষ্পাঞ্জলি দিয়ে স্কুল চত্বরে প্রবল বিক্ষোভে ফেটে পড়ল খুদে পড়ুয়া ও অভিভাবকরা। ঘটনা বাঁকুড়ার বেলিয়াতোড় চক্রের শিরষা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের। স্কুলের প্রধান শিক্ষকের দাবি, স্কুলে বর্তমানে একজন মাত্র শিক্ষক থাকায় পুজোর আয়োজন সম্ভব হয়নি।
বাঁকুড়ার বেলিয়াতোড় চক্রের শিরষা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সবমিলিয়ে পড়ুয়ার সংখ্যা ৬০ থেকে ৭০ জন। আজ সরস্বতী পুজোতে যখন বিভিন্ন স্কুলে পড়ুয়ারা পুজোর আয়োজনে ব্যস্ত সেই সময় স্কুল খোলাই হয়নি শিরষা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। স্কুল প্রতিষ্ঠার পর থেকে এই প্রথম ওই স্কুলে সরস্বতী পুজোর আয়োজন করা হয়নি বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, স্কুলে পুজো হবে এই আশায় পড়ুয়ারা অনেক বেলা পর্যন্ত উপোস দিয়ে অপেক্ষা করার পর শেষমেশ স্থানীয় একটি ক্লাবের পুজোয় পুষ্পাঞ্জলি দেয়। এরপরই স্কুলে কেন পুজোর আয়োজন হল না, তার জবাবদিহি দাবি করে স্কুল চত্বরে ক্ষোভ দেখাতে থাকে পড়ুয়ারা। বিক্ষোভে যোগ দেন অভিভাবকেরা। বিষয়টি জানানো হয় স্কুল শিক্ষা দফতরেও।
অভিভাবকদের দাবি, স্কুলের শিক্ষক পুজোর আয়োজনে অসমর্থ জানালে তাঁরাই সব আয়োজন করে দিতেন। কিন্তু শিক্ষক কিছু না জানিয়ে এভাবে পুজো বন্ধ করে দেওয়ায় পড়ুয়াদের শিশুমনে আঘাত লেগেছে। ঘটনার কড়া নিন্দা করেছেন স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানও। এদিন স্কুলমুখী হননি স্কুলের একমাত্র শিক্ষক। টেলিফোনে তাঁকে যোগাযোগ করা হলে তাঁর যুক্তি তিনি ছাড়াও স্কুলে আরও একজন শিক্ষিকা ছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি তিনি ২ মাসের জন্য ছুটি নেন। তাঁর একার পক্ষে পুজোর আয়োজন সম্ভব নয় তা আগেই অভিভাবকদের জানানো হয়েছিল। অভিভাবকেরা সেই সময় তাতে আপত্তি জানালে পুজোর আয়োজন করতেই হত।