শুটিংয়ের মধ্যেই নীল হয়ে ওঠে মাধুরির ঠোঁট, কী ঘটেছিল? - Bengali News | What difficulties Madhuri Dixit faced during shooting - 24 Ghanta Bangla News

শুটিংয়ের মধ্যেই নীল হয়ে ওঠে মাধুরির ঠোঁট, কী ঘটেছিল? – Bengali News | What difficulties Madhuri Dixit faced during shooting

0

বাণিজ্যিক ছবির একটি নির্দিষ্ট ছক ছিল, যা বেশ কিছু সময় ধরে সিনেমার ট্রেন্ড হয়ে দাঁড়িয়েছিল। ৯০ দশকে এই ধরনের প্লট ও দৃশ্যগুলো এতটাই জনপ্রিয় ছিল যে, ছবির গল্পের মধ্যে কিছু নির্দিষ্ট উপাদান থাকা চাই-ই চাই। নায়ক-নায়িকার প্রেম, তাদের মাঝে সমস্যা, ভিলেনের উপস্থিতি, বিদেশে শুটিং হওয়া গান, পাহাড়ের কোলে নায়িকার রোম্যান্স, আইটেম সং— এগুলো ছিল সেদিনের সেলুলয়েডের নিয়মিত উপাদান। তবে, সেসময়ের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দিক ছিল অভিনেত্রীদের পোশাক। যেখানে নায়করা সাধারণত মোটা জ্যাকেট ও বুট পরে থাকতেন, সেখানে অভিনেত্রীদের দেখা যেত স্লিভলেস ব্লাউজ, পাতলা শিফন শাড়িতে, যা কখন ও কখনও তাঁদের এক্সপোজারকে আরও বাড়িয়ে তুলত।

এই ধরনের ছবিতে রীতিমতো অভিনেত্রীদের সমস্যার সম্মুখীন হতে হতো। তাঁদের পোশাক ও উপস্থিতি অনেক সময় সেসব ছবির অন্যতম প্রধান চর্চার বিষয় হয়ে উঠত, যা কখনো কখনো বিতর্কের সৃষ্টি করত। তবে, তখনকার বাণিজ্যিক সিনেমার দর্শকরা এসব দৃশ্যকে আনন্দের সঙ্গে গ্রহণ করতেন। আজকাল যদিও ছবির ধরণ অনেকটা বদলেছে, তবে সেই সময়ের সুনির্দিষ্ট ট্রেন্ডগুলো এখনও দর্শকদের মনে স্পষ্ট।

মাইনাস ডিগ্রী তাপমাত্রায় হাসিমুখে সেই গানগুলোও শুটিং করতে ঠিক কতটা কষ্ট হত তাঁদের নানান সাক্ষাৎকারে বিভিন্ন অভিনেত্রীরা শেয়ার করেছে। একই পরিস্থিতিতে পড়তে হয়েছিল মাধুরী দীক্ষিতকে। অনিল কাপুরের সঙ্গে পুকার ছবির শুটিংয়ে একটি গানের দৃশ্যের জন্য তারা গিয়েছিলেন আলাস্কা। আর সেখানে এতটাই ঠান্ডা ছিল, যে প্রথম দিন রীতিমতো শুটিং করতে পারেননি মাধুরী দীক্ষিত। তাঁর কথায় প্রথম দিন যখন আমি ওখানে যাই কোনওভাবেই নিজেকে ওই পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারছিলাম না ঠান্ডায় রীতিমতো জমে যাচ্ছিলেন।

যদিও আমাদের কোরিওগ্রাফার ফারাহ খান বারবার সবাইকে বলেছিলেন একসঙ্গে গান গাইতে, আমাকে অনুপ্রাণিত করছিলেন কিন্তু কোনওভাবেই ওই ঠাণ্ডা আমি সহ্য করতে পারছিলাম না। এমন সময় এক মেকআপ ম্যান আমার কাছে আসতেই তিনি চিৎকার করে বলেন প্যাকআপ। দ্রুত শুটিং বন্ধ করতে হবে ঠান্ডায় জমে গিয়ে নাকি আমার ঠোঁট নীল হয়ে গিয়েছিল। যদিও সেখানে উপস্থিত ছিলেন ডাক্তার। তড়িঘড়ি আমাকে নিয়ে যাওয়া হয় এবং সেদিন আর শুটিং হয় না। পরের দিন অনেকটাই ধাতস্থ হওয়ার চেষ্টা করি সকলে এসে আমাকে চাদর দিয়ে দিয়ে ঢেকে দিয়েছিলেন বারবার আর খুব ছোট ছোট অংশের শুটিং করা হচ্ছিল।

Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

x