তৃণমূলেরই একাংশ চাইছেন সাবিত্রী মিত্রকে সরাতে? বিস্ফোরক ইঙ্গিত মানিকচকের বিধায়কের, বাংলার মুখ

গত ১ ফেব্রুয়ারি রাতে তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক সাবিত্রী মিত্র দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিলেন। এই আবহে তিনি অভিযোগ করলেন, তাঁর নিজের দলেরই একাংশ চাইছেন তাঁকে ‘সরিয়ে দিতে’। তিনি দাবি করলেন, লোকসভা ভোটের পর থেকেই কিছু সন্দেহজনক ব্যক্তিদের তাঁকে অনুসরণ করছে। শুধু তাই নয়, এর মধ্যে নাকি তাঁকে মাঝে মাঝে পরোক্ষ ভাবে হুমকিও দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, ক’দিন আগেই তৃণমূল কাউন্সিলর দুলাল সরকার খুন হয়েছিলেন দুষ্কৃতীদের গুলিতে। এই আবহে সাবিত্রীদেবীর এই অভিযোগ নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে মালদার রাজনৈতিক মহলে। (আরও পড়ুন: ইউনুসেরই বিরুদ্ধে এবার পথে ‘জুলাই বিপ্লবে’র আন্দোলনকারীরা, কী হচ্ছে বাংলাদেশে?)
আরও পড়ুন: ১, ২ কোটি নয়, নির্বাচনের আগে ৩৮ কোটি নগদ টাকা বাজেয়াপ্ত দিল্লিতে
এই আবহে টিভি৯ বাংলাকে তিনি বলেছেন, ‘বেশ কয়েকদিন ধরে আমি দেখতে পাচ্ছি যে অচেনা লোকজন মানিকচকের রাস্তায় ঘুরছে। দুলাল সরকারের ঘটনার পর থেকে মনে হয় এরা বেশি করে ঘুরছে এখানে। ওদের গোটা মুখ ঢাকা থাকে। আমি এর আগে ববিদাকেও (ফিরহাদ হাকিম) বিষয়টিও জানিয়েছিলাম। আমি নিরাপত্তাহীনতা অনুভব করছি না। আমার সিকিউরিটি ছিল। আর আমি নিজের মতো কাজ করছি। তবে আমি বলতে পারি ব্যক্তিগত কারণে কেউ এটা করছে না।’
উল্লেখ্য, গত ১ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ নিজের বিধানসভা কেন্দ্রের কাজ সেরে বাড়ি ফিরছিলেন সাবিত্রী মিত্র। জানা গিয়েছে, মানিকচকে এমএলএ কাপের ফাইনাল ম্যাচের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখে শনিবার রাতে এনায়েতপুর আসেন বিধায়ক। আয়োজকদের সঙ্গে বৈঠক সেরে মালদা শহরের সদরঘাটের বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় মালদার মানিকচক রাজ্য সড়কে ধরমপুরের কাছে সাবিত্রী মিত্রের গাড়িকে সামনে থেকে সজোরে ধাক্কা মেরে একটি গাড়ি পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ ওঠে। সেই সময় নাকি পর পর বিধায়কের গাড়িতে ধাক্কা মারার চেষ্টা করা হয়েছিল। বিধায়ক কোনওমতে সেখান থেকে সরে গিয়ে সেই ‘হামলাকারী’ গাড়ি এগিয়ে যেতে সক্ষম হন। সাবিত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে মালদা পুলিশ। ঘাতক গাড়িটির খোঁজ রাতেই শুরু করে পুলিশ। ধরমপুরে দুর্ঘটনাটি ঘটে। বিধায়কের অভিযোগ, তাঁর গাড়িতে একবার ধাক্কা মারা হয়। তার পর ঘাতক ট্রাকটি আবার ঘুরে এসে তাঁর গাড়ি ফলো করতে থাকে। সন্দেহ হওয়ায় গাড়ি নিয়ে বিধায়ক সোজা চলে যান মানিকচক থানায়। পরে এই নিয়ে তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সীর কাছে অভিযোগ জানান সাবিত্রী।