‘রেপ থ্রেট দিচ্ছে’, সরস্বতী পুজোর মধ্যেই অভিযোগ যোগেশচন্দ্রের ছাত্রীর, ব্রাত্যের সামনে সাব্বিরদের নিয়ে ক্ষোভ

যোগেশচন্দ্র ল’ কলেজে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়লেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। পড়ুয়াদের দাবি, কলেজে বহিরাগত প্রবেশের উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। তারপরও অবাধে কলেজের ক্যাম্পাসে বহিরাগতরা প্রবেশ করে যাচ্ছেন। ছাত্রীদের দেওয়া হচ্ছে ধর্ষণের হুমকি। অশালীন কথা বলা হচ্ছে। আর সেই বিষয়টি নিয়েই শিক্ষামন্ত্রীর সামনে ক্ষোভ উগরে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছেন পড়ুয়ারা। ব্রাত্যকে দেখে ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ স্লোগান তোলা হয়। সেই আবহেই প্রিন্সিপালের ঘরে চার পড়ুয়ার সঙ্গে কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী। করেন বৈঠক। তারপর প্রতিমা দর্শন করেন। চলে যান কলেজ থেকে।
হাইকোর্টের নির্দেশে মোতায়েন পুলিশ
আর ব্রাত্য যখন যোগেশচন্দ্র কলেজে আসেন, তখনও বাইবে বন্দুক হাতে কলকাতা পুলিশের বাহিনী মোতায়েন ছিল। পুলিশ মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। যোগেশচন্দ্র আইন কলেজের পড়ুয়ারা দাবি করেন, তাঁরা যেখানে সরস্বতী পুজো করেন, সেখানে বেআইনি নির্মাণ তৈরি করেছেন যোগেশচন্দ্র কলেজেরই ডে বিভাগের প্রাক্তনীরা। দখল করে নেওয়া হয়েছে পুজো জায়গা। আদালতের নির্দেশ অমান্য করেই কলেজে বহিরাগতরা অবাধে ঢুকে পড়ছেন।
আরও পড়ুন: Saraswati Puja 2025: মা সরস্বতীর পুষ্পাঞ্জলী মন্ত্রে কেন থাকেন ভদ্রকালী? কালী কি বিদ্যার আরেক রূপ
আইন কলেজের পড়ুয়াদের সেই দাবির প্রেক্ষিতে হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত নির্দেশ দেন, কলকাতা পুলিশের সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন করে সরস্বতী পুজো করতে হবে। যোগেশচন্দ্র আইন কলেজ এবং ডে কলেজের সরস্বতী পুজোর নজরদারির দায়িত্বে থাকতে হবে উচ্চপদস্থ কর্তাদের। কোনওভাবেই বহিরাগতদের ঢুকতে দেওয়া যাবে না।
আরও পড়ুন: Saraswati Puja 2025: কীভাবে বাঙালির এত আপন হয়ে উঠল সরস্বতী পুজো? কী বলছে বাগদেবী আরাধনার ইতিহাস
‘রেপ থ্রেট দিচ্ছে’, অভিযোগ ছাত্রীর
সেইমতো আজ যোগেশচন্দ্র কলেজের বাইরে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। বন্দুক হাতে কলেজের গেটের সামনে আসেন পুলিশ অফিসাররা। তারইমধ্যে ব্রাত্য কলেজে যেতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন পড়ুয়ারা। এক ছাত্রী বলেন, ‘কোনওদিন ভাবতে পারিনি যে কলেজে এরকমভাবে বহিরাগতদের অবাধ যাতায়াত চলবে। নিজেদের কলেজে যে আমাদের ধর্ষণের হুমকি (রেপ থ্রেট) দেওয়া হবে, সেটাও কোনওদিন ভাবতে পারিনি। নিজেদের কলেজ ক্যাম্পাসেই আমরা সুরক্ষিত বোধ করছি না। কলেজে তো আসতেই হবে আমাদের।’
‘কাল থেকে তো পুলিশ থাকবে না’, ক্ষোভ এক ছাত্রীর
একইসুরে অপর এক ছাত্রী বলেন, ‘হাইকোর্টের নির্দেশে পুলিশ মোতায়েন থাকলেও ঠিকমতো কাজ করতে পারছে না। বহিরাগতরা ভিতরে ঢুকে (হুমকি দিচ্ছে)। আর আজ সরস্বতী পুজো বলে এত পুলিশ রয়েছে। কিন্তু আগামিকাল থেকে তো পুলিশ থাকবে না। আমাদের তো কলেজে আসতে হবে।’ সেইসঙ্গে তিনি অভিযোগ করেন, তৃণমূল কংগ্রেসের ছাত্রনেতা সাব্বির আলি ও তাঁর তোলাবাজের দলবল পুরো ঘটনার পিছনে আছেন।