Rain Forecast: ঘূর্ণিঝড়ের হাত থেকে রেহাই মিললেও ৪ জেলায় বৃষ্টির পূর্বাভাস, কপালে চিন্তার ভাঁজ চওড়া হচ্ছে আলু চাষিদের – Bengali News | Despite relief from the cyclone, rain is forecast in 4 districts, know what weather office saying
কী বলছে আবহাওয়া দফতর? Image Credit source: Getty Images
কলকাতা: ঘূর্ণিঝড়ের ঝাপটা সরাসরি না খেলেও শনিবার দিনভর মুখভার ছিল বাংলার আকাশের। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত দেখা মিলেছে ঝিরিঝিরি বৃষ্টির। তবে তাপমাত্রার গ্রাফ ছিল উর্ধ্বমুখীই। হাওয়া অফিস বলছে, রবিবারও উপকূল সংলগ্ন চার জেলায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে। মেঘলা আকাশের কারণে রাতের তাপমাত্রা অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। অন্যদিকে স্থলভাগে ঢুকে শক্তি হারিয়েছে ঘূর্ণিঝড় ফেইঞ্জল। বর্তমানে তা উত্তর তামিলনাড়ু এবং পন্ডিচেরি উপকূল থেকে অতি গভীর নিম্নচাপের রূপ নিয়ে পশ্চিম দিকে এগোচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে।
রবিবার হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। এখনও স্বাভাবিকের উপরেই রয়েছে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। আগামী ৪ থেকে ৫ দিনের মধ্যে তা ধীরে ধীরে নিম্নমুখী হতে পারে বলে মনে করছেন আলিপুরের কর্তারা। সকালের দিকে বেশ ভালই কুয়াশার দাপট দেখা গিয়েছে পশ্চিম বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া ও বীরভূমে। এদিন কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৯.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শনিবার দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ঘোরাফেরা করছে ৬৮ থেকে ৯১ শতাংশের মধ্যে।
এদিকে বৃষ্টির জেরে চিন্তা বেড়েছে আলু চাষিদের। জমির মাটি ভিজে গিয়ে কাদা হয়ে গিয়েছে। যদি আবারও বৃষ্টি হয় তাহলে জমি জল জমে যাওয়ার উপক্রম সব জায়গাতেই। তাই জমিতে জল নিকাশির জন্য নালা তৈরিতে ব্যস্ত কৃষকরা। মরসুমের শুরুতেই এই বৃষ্টিতে আলু-র পাশাপাশি অন্যান্য রবি ফসলের ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। অন্যদিকে জমি তৈরির পরেও ফসল চাষ পিছিয়ে যাওয়ায় লোকসানের আশঙ্কা করছেন চাষীরা। গতবছর রবি মরসুমের শুরুতেই নিম্নচাপের বৃষ্টিতে জমিতে বোনা আলু বীজ পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যাওয়ায় বহু ক্ষেত্রেই দ্বিতীয়বার জমিতে আলু বীজ বপন করতে হয়েছিল। এবারও মরসুমের শুরুতে নিম্নচাপের বৃষ্টি শুরু হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই সিঁদূরে মেঘ দেখতে শুরু করেছেন চাষিরা।