BOA Election: ‘হিংসে হচ্ছে… ওর জন্মই হয়নি’, বিওএ নির্বাচন ঘিরে মমতার দাদা-ভাইয়ের লড়াই তুঙ্গে – Bengali News | Bengal Olympic Association Election going to more interesting as Mamata Banerjee’s Elder and Younger brother involved in battle
BOA Election: ‘হিংসে হচ্ছে… ওর জন্মই হয়নি’, বিওএ নির্বাচন ঘিরে মমতার দাদা-ভাইয়ের লড়াই তুঙ্গে
কলকাতা: এ বার প্রকাশ্যেই এসে পড়ল লড়াই। বেঙ্গল অলিম্পিক সংস্থার (Bengal Olympic Association) নির্বাচনে স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে আসরে নেমেছেন খোদ ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। শুধু তাই নয়, বিরোধীদের দলে রয়েছেন স্বপন তথা বাবুনের দাদা অজিত বন্দ্যোপাধ্যায়ও। বাবুনের হার কার্যত নিশ্চিত, এমনও বলা হচ্ছে। তারই রেশ নাকি বলা মুশকিল, তবে ক্রীড়ামন্ত্রী ও দাদার বিরুদ্ধে প্রকাশ্যেই তোপ দেগে বসলেন বাবুন। যা নিয়ে সরগরম খেলার ময়দান। আর এই সংঘাতের রেশ ছড়িয়ে পড়েছে রাজ্য রাজনীতিতেও। কাল নির্বাচন বিওএ-র। কিন্তু বাবুনের হার একপ্রকার নিশ্চিত।
নির্বাচনের আগের দিন বাবুন বলে দিয়েছেন, ‘বিজয়গড়ে বিরোধী প্যানেলের সবাইকে ডেকে গোপন বৈঠক করেছেন ক্রীড়ামন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী আমাদের অনুদান দিতে চাইলেও, ক্রীড়ামন্ত্রী তাতে বাধা দিয়েছেন।’ এতেই শেষ নয়, অজিত বন্দ্যোপাধ্যায় আর ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ জোটবদ্ধ হয়ে বিওএর কাজের অগ্রগতিতে বাধা দিয়েছেন, এমনই মন্তব্য করেছেন বাবুন। এমন মন্তব্যের পর উত্তেজনা যে প্রবল ভাবে বেড়েছে, তাতে কোনও সন্দেহ নেই। তাতেও বিওএ-তে নিজের গদি বাঁচাতে পারবেন বাবুন, এমন কেউ মনে করছেন না।
বাবুনের লক্ষ্য কিন্তু দাদা অজিত, ময়দান যাঁকে চেনে ষষ্ঠী নামে। রাখঢাক না করেই বাবুন বলেছেন, ‘২০১২ সালে আমি অজিত বন্দ্যোপাধ্যায়কে ময়দানে নিয়ে এসেছিলাম। এখন আমি এগিয়ে যাচ্ছি। তাই ওঁর হিংসা হচ্ছে। আমার বিরুদ্ধে ১০০ শতাংশ চক্রান্ত হয়েছে। আর এই চক্রান্তের পিছনে রয়েছে অজিত বন্দ্যোপাধ্যায়। রোয়িং ক্লাবে বিরোধী প্যানেলের সঙ্গে গোপন বৈঠক করেছেন অজিত।’
অজিতও কিন্তু থেমে থাকেননি। ভাইয়ের অভিযোগের জবাবে বলেছেন, ‘সব অভিযোগ মিথ্যে। আমি তো খেলার প্রশাসক। ক্রীড়ামন্ত্রীর সঙ্গে যে কোনও জায়গায় বৈঠক করতে পারি। সবসময় ওঁর কাছে যাই।’ আর ভাইয়ের ‘হিংসে’ প্রসঙ্গে ষষ্ঠীর জবাব, ‘আমি যখন থেকে মাঠে আসছি, তখন ওর জন্ম হয়নি।’
ঘটনা হল, বাবুনের আগে বিওএ-র প্রেসিডেন্ট ছিলেন অজিতই। তখন বেঙ্গল বক্সিং সহ আরও সংস্থার শীর্ষ পদে ছিলেন বাবুন। দুই ভাইয়ের তখন কোনও সঙ্ঘাত দেখা যায়নি। এ বার কিন্তু পরিস্থিতি ঘুরে গিয়েছে অন্য দিকে। অনেকেই বলছেন, তৃণমূলের পরিচালন সমিতির সম্মতি ছাড়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইয়ের বিরুদ্ধে কেউই ভোটে দাঁড়াতেন না। মমতার সঙ্গে বাবুনের সম্পর্কের অবনতি লোকসভা ভোটের সময় থেকে। তারই জের পড়েছে বিওএ-র নির্বাচনে, এমনই বলছেন অনেকেই।