‘শ্রাবন্তী, কোয়েল তো আর জুটবে না’, খলনায়ক সুমিতের এ কেমন আক্ষেপ! – Bengali News | Tollywood villain Sumit Ganguly expresses his regret for not having koel srabanti as heroine
নীলচে কটা চোখ। বিদঘুটে হাসি। তাঁকে দেখলে ভয় পাওয়াটাই স্বাভাবিক। কথা হচ্ছে দুঁদে অভিনেতা সুমিত গঙ্গোপাধ্যায়। এখনও পর্যন্ত তাঁকে ইতিবাচক চরিত্রে দেখেননি দর্শক। সুমিত বললেই তাই খলনায়ক, ভিলেন এসব কথাই মনে আসে। বহু বহু সিনেমায় দেখা গিয়েছে নায়িকাদের নয় জঘন্য ব্যবহার করছেন তিনি। না হলে সুন্দরী নায়িকার উপর অত্যাচার করছেন। এই পরিস্থিতিতে খলনায়কের জীবনে নায়িকা পাওয়া তো সত্যিই কঠিন বিষয়। তাঁর ওই কটা চোখ দেখলেই তো কোনও নায়িকা তাঁর ধারে কাছে আসতেন না। সেই আক্ষেপই সমাজমাধ্যমের পাতায় প্রকাশ করে ফেললেন অভিনেতা সুমিত। অভিনেত্রী কমলিকা বন্দোপাধ্যায়ের সঙ্গে একটি ছবি পোস্ট করেছেন অভিনেতা। ছবিটি পোস্ট করে সুমিত লেখেন, “শ্রাবন্তী, কোয়েল, রচনা আর এই জীবনে জুটল না। জুটবেও না। চলো কমলিকাই সই। যা জোটে কপালে।” নিজের ছবিরই কোনও এক দৃশ্য ফেসবুক ওয়ালে পোস্ট করেছেন সুমিত।
উল্লেখ্য, একসময় প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্য়ায়, চিরঞ্জিত চক্রবর্তী, তাপস পাল, অভিষেক চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে সিনেমায় অভিনয় করেছেন সুমিত। তাঁকে নির্মাতা চেয়েছিলেন ভিলেন হিসেবেই। এখন এই অভিনয়গুলো সুমিতের কাছে অতীত। বাংলাদেশের ‘সময় টিভি’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সুমিত বলেছেন, “একটা সময় আমাকে দেখিয়ে বাচ্চাদের ভয় দেখাতেন তাদের বাবা-মায়েরা। আমাকে প্রচণ্ড ভয় পেত ছোট ছেলেমেয়েরা। ‘কেঁচো খুড়তে কেউটে’ ছবিতে ভিলেন করার পর লাগাতার ভিলেনের রোলই করেছিলাম। ‘যুদ্ধ’, ‘ঘাতক’, ‘এমএলএ ফাটাকেষ্ট’-এর মতো ছবিতে ভয়ানক-ভয়ানক সব ভিলেন করেছি। হাড় হিম হওয়ার মতো। সেগুলো সেই সময়কার বাচ্চারা দেখে ভয় পেয়ে ঘুমিয়ে পড়েছে, ঠিক সময় খেয়ে নিয়েছে, পড়তে বসেছে, স্কুলে গিয়েছে। তাই আমার এটাই গর্ব যে, আমি এভাবেই ভয় দেখিয়ে অন্তত ৮ থেকে ৯ কোটি বাচ্চাকে মানুষ করেছি, যারা এখন অনেক বড়-বড় হয়ে গিয়েছেন। হয়তো চাকরি-বাকরি করছে।” যাঁর নাম করে ভয় দেখিয়ে বাবা-মায়েরা বাচ্চা মানুষ করে ফেলেছেন, সেই সুমিতের মেয়েই তাঁকে বিন্দুমাত্র ভয় করে না। উল্টে সুমিতই তাঁর মেয়ের ভয়ে কাঁটা হয়ে থাকেন সারাটাক্ষণ।