Super League Kerala: ভারতীয় ফুটবলে নতুন অধ্যায়, মহাধূমধামে শুরু সুপার লিগ কেরালা – Bengali News | Indian Football News: Spectacular Inauguration of Super League Kerala, A Triumph of Football in India

অপেক্ষা ছিল, দীর্ঘ দিনের উদ্যোগও। অবশেষে ভারতীয় ফুটবলে নতুন শুরু। মহাধূমধামে শুরু হয়েছে সুপার লিগ কেরালা। প্রতিযোগিতার প্রথম সংস্করণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান এবং ম্যাচ ঘিরে বাড়তি উন্মাদনা। কোচির আইকনিক জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামে শুরু হল ফ্র্যাঞ্চাইজি ফুটবল লিগ। গত শনিবার উদ্বোধনী ম্যাচে মুখোমুখি হয় ফোর্সা কোচি এফসি ও মলপ্পুরম এফসি। টুর্নামেন্ট শুরুর আগে ট্রফি উন্মোচন হয়। ভারতীয় ফুটবলের দুর্দান্ত একটা মুহূর্তের সাক্ষী থাকতে উপস্থিত ছিলেন রুপোলি পর্দার নায়ক তথা টিমের কর্ণধার পৃথ্বীরাজ এবং আসিফ আলি। এ ছা়ড়াও বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরা ছিলেন।
রুদ্ধশ্বাস উদ্বোধনী ম্যাচে ফোর্সা কোচি এফসিকে ২-০ ব্য়বধানে হারায় মলপ্পুরম এফসি। কেরলে ফুটবলের জনপ্রিয়তা নতুন নয়। সুপার লিগ কেরালার উদ্বোধনী ম্যাচেও কোচি এবং মলপ্পুরম, দু-দলের সমর্থকদের ঢেউ আছড়ে পড়ে স্টেডিয়ামে। সঙ্গে নিজের দলের সমর্থনে ব্যানার, টিফো এবং উদ্ভাবনী স্লোগান তো ছিলই। আর তাদের উন্মাদনা বাড়ে তারকাদের উপস্থিতিতে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ছিলেন বলিউড তারকা জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ, সঙ্গীত জগতের জনপ্রিয় মুখ স্টিফেন দেবাসি, শিবমণি, দাবেজ, ডিজে স্যাভিও এবং ডিজে শেখর।
সুপার লিগ কেরালা ছয় দলের ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট। রাজ্যের বিভিন্ন অংশ থেকে দল রয়েছে। ফুটবলের জনপ্রিয়তা ছড়িয়ে দেওয়াই লক্ষ্য। শুধু তাই নয়, স্থানীয় প্রতিভাও তুলে আনার সিঁড়ি হিসেবেও দেখা হচ্ছে এই টুর্নামেন্টকে। কোচির পাশাপাশি, কোঝিকোড়, মলপ্পুরম, তিরুবনন্তপুরমকে ভেনু হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে। স্পনসরশিপের জন্য টুর্নামেন্টের সরকারি নাম মহিন্দ্রা সুপার লিগ কেরালা। ছয় দলের টুর্নামেন্টে সব মিলিয়ে সুযোগ পেয়েছেন ১০০-র বেশি ফুটবলার সুযোগ পেয়েছেন।
এই খবরটিও পড়ুন
আপাতত রেলিগেশন কিংবা প্রোমোশনের বিষয় না থাকায় খোলা মনে খেলার সুযোগ পাবেন উঠতি ফুটবলাররা। অভিজ্ঞদের পাশাপাশি খেলে অনেক কিছু শেখার সুযোগ পাবেন। জাতীয় স্তরে এবং পরবর্তীতে নিজেদের আন্তর্জাতিক স্তরে খেলার জন্যও প্রস্তুত করার মঞ্চ তৈরি। এই টুর্নামেন্টের ফলে ফুটবলের পাশাপাশি কেরলের ইকো-সিস্টেমেও বড় পরিবর্তন আসবে। সুপার লিগ কেরালার মিশন- এই রাজ্যের ফুটবল পরিকাঠামোকে সংস্কার করা। যাতে উঠতি প্রতিভারা সর্বভারতীয় এবং আন্তর্জাতিক স্তরে পৌঁছতে পারেন।