কলকাতা: আরজি করের ঘটনার তদন্তে কোনও ফাঁক রাখতে চাইছে না সিবিআই। কেন্দ্রীয় এই সংস্থা ইতিমধ্যেই জেরা করেছে, আরজি কর হাসপাতালে আধুনিক যন্ত্র ব্যবহার করে থ্রিডি ম্যাপিং করেছে, সূক্ষতর প্রমাণও যাতে চোখ না এড়ায় তার জন্য সবরকম ব্যবস্থা করা হয়েছে। আর এবার অভিযুক্তের মুখ থেকে সত্য তথ্য সামনে আনতে পলিগ্রাফ টেস্ট করতে চলেছে সিবিআই। বগটুই মামলার পর এবার আরও একটি মামলায় এই বিশেষ পরীক্ষা করা হবে।
আজ, সোমবার সিবিআই-কে সেই পলিগ্রাফ টেস্টের অনুমতি দিল শিয়ালদা কোর্ট। কবে সেই টেস্ট হবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে এদিন আদালতে তদন্তের অগ্রগতির বিষয়ে তথ্য তুলে ধরেছে সিবিআই। এটি মূলত একটি মানসিক পরীক্ষা। হার্ট রেট, রক্তচাপ পরীক্ষার মাধ্যমে অভিযুক্ত সত্যি বলছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হয়।
আরও খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Tv9 বাংলা অ্যাপ (Android/ iOs)
এই খবরটিও পড়ুন
এই পলিগ্রাফ টেস্টের ঠিক কী নিয়ম?
অভিযুক্তকে এই পরীক্ষায় মত দিতে হয়।
অভিযুক্ত মত দিলে তদন্তকারী সংস্থা আদালতকে জানাবে।
আদালত অনুমতি দিলে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে হবে পলিগ্রাফি টেস্ট।
অভিযুক্তর সামনে টেস্ট করার আগে সমস্ত আইনগত দিক ব্যাখ্যা করা হবে।
পলিগ্রাফ টেস্টেরই একটি প্রকারভেদ হল লাই ডিটেকশন (মিথ্যা কথা ধরার উপায়) বা ব্রেন ম্যাপিং টেস্ট।
মূলত পলিগ্রাফ টেস্টের সময়, অভিযুক্তর রক্তচাপের পরিবর্তন, পালস রেটের পরিবর্তন, ত্বকের উপরিভাগে কোনও পরিবর্তন হচ্ছে কি না, এইসব সূক্ষ্ম বিষয়ের ওপর নির্ভর করে বুঝতে হয় যেয় অভিযুক্ত সঠিক বলছে কি না।
তবে, এই পরীক্ষায় আসল সত্যি বেরিয়ে আসে কি? বিশেষজ্ঞরা বলেন, অনেক ক্ষেত্রে অভিযুক্ত যদি মানসিকভাবে শক্তিশালী হন, তাহলে টেস্টে মিথ্যাটা ধরা পড়ে না। পলিগ্রাফ টেস্ট যে তদন্তে একেবারে শেষ কথা, এমন প্রমাণও নেই। এই পরীক্ষার রিপোর্ট আদালতে প্রমাণ হিসেবে গণ্য করা হয় না।