আরজি করে ভাঙাভাঙি আসলে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা, মনে করছে মহিলা কমিশন, রিপোর্ট যেতে পারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে – Bengali News | Vandalism at RG Kar is actually an attempt to destroy evidence, feels that the Women’s Commission
নয়া দিল্লি: হঠাৎ পরিকাঠামো উন্নয়নের নামে আরজিকর হাসপাতালে বিভিন্ন জায়গায় ভাঙাভাঙিতে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা চলছে বলে তদন্ত রিপোর্টে দাবি করল জাতীয় মহিলা কমিশন। পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলল কমিশন। ঘটনাস্থল অবিলম্বে সিল করা উচিত ছিল পুলিশের। মনে করছে কমিশন। আরজিকর হাসপাতালের প্রাক্তন প্রিন্সিপালের ভূমিকা নিয়েও তদন্ত রিপোর্টে প্রশ্ন তুলেছে জাতীয় মহিলা কমিশন। প্রাক্তন প্রিন্সিপালকে দ্রুত ধারাবাহিক জিজ্ঞাসাবাদের দাবি জানানো হয়েছে।
জাতীয় মহিলা কমিশনের ২ সদস্যের তদন্ত কমিটির রিপোর্টে স্পষ্ট দাবি, হাসপাতালে কর্তব্যরত মহিলা চিকিৎসক নার্স ইন্টার্নদের জন্য যথাযথ নিরাপত্তার ব্যবস্থা ছিল না আরজিকর হাসপাতালে। এমনকী ন্যূনতম পরিকাঠামোর ব্যবস্থাও নেই বলে তদন্ত রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।
সূত্রের খবর, জাতীয় মহিলা কমিশনের আরজিকর সংক্রান্ত তদন্ত রিপোর্ট জমা পড়তে পারে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে। তারপর সেখান থেকে নতুন কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয় কিনা এখন সেটাই দেখার। এদিকে এদিনই আবার তিলোত্তমা তদন্তে সিকিউরিটি সুপারভাইজার-সহ ১০ জনকে তলব করেছে সিবিআইয়। একদিন আগেই তুলে আনা হয় সদ্য প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে। চলে ম্যারাথন জেরা। এবার নতুন তলবে নতুন করে বাড়ছে চাপানউতোর। ঘটনার রাতে কোন কোন রক্ষী কর্মরত ছিলেন। কার কোন কোন ফ্লোরে ডিউটি ছিল তা জানতে ডিউটি রোস্টার নিয়ে সুপারভাইজারকে তলব করেছে সিবিআই।
এই খবরটিও পড়ুন
যে দুই অস্থায়ী নিরাপত্তারক্ষীকে আগেই হাসপাতালের তরফে সাসপেন্ড করা হয়েছিল, তাদেরকেও ডেকে পাঠানো হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। অন্যদিকে আরজি কর হাসপাতালের ভাঙচুরের ঘটনায় গ্রেফতারের সংখ্যা বেড়ে হয়ে গিয়েছে ৩০ জন৷ শুক্রবার পর্যন্ত ২৪ জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। এরইমধ্যে আরও ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়।