কীভাবে সরকার বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিকার হলেন আমজনতা? কতটা অনিশ্চিত বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ? – Bengali News | How uncertain is the future of bangladesh

0
WhatsApp-Image-2024-08-11-at-11.15.34-PM.jpeg

১৬ জুলাই। ২০২৪। বছর পঁচিশের একটা ছেলে বুক পেতে দাঁড়িয়ে। সামনে শয়ে শয়ে বন্দুকের নলের। বুক আর দুহাত বাড়িয়ে সেই তরুণ ছাত্রনেতা বললেন, ‘আমাকে গুলি করুন’। তখনও হয়তো বাস্তবটা বোঝেননি আবু সায়েদ। আবু সায়েদের মত আরও শয়ে শয়ে ছাত্র। যাঁরা আওয়াজ তুলেছিলেন কোটা থেকে মুক্তির দাবি নিয়ে, মুক্তিযুদ্ধের হ্যাংওভার থেকে মুক্তির দাবি নিয়ে। কিন্তু তাঁরা পরিণতিটা বোঝেননি। রাষ্ট্র যে কতটা নিষ্ঠুর হতে পারে তা তাঁরা বোঝেননি। কিন্তু তাঁদের জ্বালানো আগুনেই যেন পুড়ে গেল শাসকের হাত। তাঁদের করা শপথেই যেন কদিনের মধ্যেই অনেকটা বদলে গেল বাংলাদেশ। ঙ্গবন্ধুর মেয়ে কি বাংলাদেশকে বধ্যভূমিতে পরিণত করেছিলেন? তাই কি আন্দোলন ছড়িয়ে পড়তেই প্রাণ বাঁচিয়ে পালতে হল শেখ হাসিনাকে? হাসিনার স্বৈরাচারের ফল হিসেবেই মাটিতে লুটিয়ে পড়তে হল বঙ্গবন্ধুর মূর্তিকে? আগুনে ঝলসে গেল বঙ্গবন্ধুর বাড়িও। এখনও জ্বলছে আওয়ামী লীগের নেতা মন্ত্রীদের বাড়ি। খুন হচ্ছেন আওয়ামী লীগের সমর্থকরা। উঠছে ভারত বিরোধী স্লোগান। কিন্তু কেন এই ছবি বাংলাদেশ জুড়ে? কীভাবে সরকার বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিকার হলেন আমজনতা? কতটা অনিশ্চিত বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ? দেখাবো আজকের নিউজ সিরিজে। আজকের নিউজ সিরিজ ‘বিদ্বেষের বাংলাদেশ’।

আজকের নিউজ সিরিজে চারটি পর্ব রয়েছে। ফিরে এল পঁচাত্তর!, মৌলবাদের উত্থান?, আন্দোলনের ইতিবৃত্ত, নয়াদিল্লির উদ্বেগ। আজকের প্রথম পর্ব ফিরে এল পঁচাত্তর!

ফিরে এল পঁচাত্তর!

পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট নিজের বাসভবনেই খুন হয়েছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান। অর্ধশতক পর আবারও এক অগাস্ট। মুজিবকন্যার বাসভবনের দখল নিল একদল জনতা। উল্লাস আর উন্মত্ততায় ফের একবার চর্চিত হল বাংলাদেশের বিস্মৃত সেই শব্দটা। অভ্যুত্থান। শুরুটা হয়েছিল কোটা সংস্কার আন্দোলন দিয়ে। পথে নেমেছিল ছাত্ররা। আন্দোলন থামাতে যা যা করার করেছিল বাংলাদেশের সরকার। কিন্তু তারপরের পরিস্থিতি আয়ত্ত্বের বাইরেই চলে গেল। লাঠি গুলি আর মৃত্যু। ছাত্রদের কোটা আন্দোলন শেষ কয়েকদিনে হাসিনা সরকারের পতনের লক্ষ্যেই এগোতে থাকে। আওয়ামী লীগ অভিযোগ করে ছাত্র আন্দোলনকে সামনে রেখে বিএনপি, কট্টরপন্থী সংগঠন জামাতের নেতারা রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্র করছে। তবে হাসিনা সরকার যখন এটা বলছিলো ততক্ষনে পরিস্থিতি হাতের নাগালের বাইরে চলে যায়। হাসিনাই শেষমেশ দেশ ছেড়েছেন। প্রথমে হেলিকপ্টারে চেপে ঢাকার বায়ুসেনা ঘাঁটি। তারপর বাংলাদেশ বায়ুসেনার বিমানে সোজা ভারতে। দিল্লির কাছে হিন্ডন বায়ুসেনা ঘাঁটিতে। খবর জানাজানি হতেই বাংলাদেশ জুড়ে উচ্ছাস। প্রধানমন্ত্রী বাসভবন, গণভবন দখল।

মৌলবাদের উত্থান?

হাসিনা দেশ ছেড়ে পালাতেই আন্দোলনকারীদের একাংশ হামলা চালিয়েছে নরসিংড়ি থেকে কাশিমপুর জেলে। গরাদ ভেঙে বার করে আনা হয়েছে হাজারেরও বেশি কয়েদি। তাদের মধ্যে রয়েছে জামাতি জঙ্গি থেকে শুরু করে যুদ্ধাপরাধীরাও। বাংলাদেশে কি যত্ন করে মাথা চাড়া দিচ্ছে কট্টরবাদী সাম্প্ৰদায়িক শক্তি? ছাত্র আন্দোলনে মিশে গিয়ে আন্দোলনের মুখ ঘুরিয়ে দিচ্ছে তারা? কোন দিকে গড়াবে জল? কোন দিকে কার মদতে চলল দেশজুড়ে লুটপাট? বইলো রক্তগঙ্গা? দেখাব, আজকের দ্বিতীয় পর্বে।

আন্দোলনের ইতিবৃত্ত

কলেজে , বিশ্ববিদ্যালয়ে , শাহবাগ থেকে ঢাকার রাজপথে বারবার গর্জে ওঠে হাজার হাজার বরকত – রফিকউদ্দিন । মাতৃভাষার লড়াই থেকে কোটার বিরুদ্ধে লড়াই। পাকিস্তানের স্বৈরাচার থেকে স্বাধীন রাষ্ট্রের দমননীতি। কীভাবে বারবার ব্যারিকেড গড়ে তুলেছে ছাত্ররাই? বাংলা মায়ের জন্য বুক পেতে গুলি খেয়েছে? দেখাব আজকের তৃতীয় পর্বে।

 নয়াদিল্লির উদ্বেগ

সাতচল্লিশ-একাত্তরে বার বার শরণার্থী স্রোত ওপর বাংলা থেকে বয়ে এসেছে কাঁটা তারের এপারে। ভিটে মাটি হারিয়ে এপার বাংলায় পাড়ি দিয়েছেন লাখ লাখ মানুষ। ওপর বাংলা আবার অশান্ত। উঠছে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের কথাও। আবার নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হচ্ছে কীভাবে সংখ্যাগুরুরা ঢাল হয়ে দাঁড়াচ্ছেন সংখ্যালঘুদের। কিন্তু এই সমস্যা মিটবে কবে? কপালে ভাঁজ ভারত সরকারের। উদ্বেগ প্রকাশ করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। হাই এলার্ট বর্ডারেও। এই পরিস্থিতিতে কী পদক্ষেপ করবে দিল্লি? দেখাব আজকের চতুর্থ অর্থাৎ শেষ পর্বে।

Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You may have missed