প্যারিসে চলছে অলিম্পিক। টেনিসে হতাশাই জুটেছে। তবে পদকের তালিকায় রয়েছে ভারত। ইতিমধ্যেই প্যারিসে তিনটি পদক ভারতের। তিনটিই এসেছে শুটিংয়ে। মনু ভাকের ১০ মিটার এয়ার পিস্তলের ব্যক্তিগত ইভেন্টে ব্রোঞ্জ এনেছেন। তেমনই ১০ মিটার এয়ার পিস্তল মিক্সড টিম ইভেন্টে সরবজ্যোতকে সঙ্গে নিয়ে ব্রোঞ্জ। হ্যাটট্রিকেরও সম্ভাবনা ছিল মনু ভাকেরের। ২৫ মিটার এয়ার পিস্তল ইভেন্টের ফাইনালে উঠেছিলেন। শুরু থেকে পদকের দৌড়ে থাকলেও চতুর্থ স্থানে শেষ করেন। শুটিংয়ে আরও একটি পদক এসেছে স্বপ্নিল কুসালের সৌজন্যে। কাল ব্রোঞ্জের ম্যাচে নামবেন লক্ষ্য সেন। ভারতীয় হকি দলেরও পদকের সম্ভাবনা উজ্জ্বল। তবে অলিম্পিকের সময় একজনের কথা মনে পড়বেন। লেডি মেহেরবাই টাটা। অলিম্পিক টেনিসে ভারতের প্রথম মহিলা প্রতিনিধি।
মেহেরবাই টাটার জন্ম ১৮৭৯ সালের ১০ অক্টোবর মুম্বইতে। টাটা পরিবারের সঙ্গে কী সম্পর্ক তাঁর? ১৮৯০ সালে টাটা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা জামেশেদজী টাটা বেঙ্গালুরুতে গিয়েছিলেন। সেখানেই মেহেরবাইয়ের পরিবারের সঙ্গে দেখা হয়। মেহেরবাইকে পছন্দ হয়। পুত্রবধূ বানানোর ইচ্ছে হয়। ছেলে দোরাবজীকে বলেন তাঁর মনের কথা। বাবার পরামর্শেই মাইসোরে মেহেরবাইয়ের সঙ্গে দেখা করেন দোরাবজী। এরপর আর কী! তাঁদের বিয়েও হয়।
লেডি মেহেরবাই যেমন টেনিস খেলাটা খুব পছন্দ করতেন, তেমনই দোরাবজীও। স্বামীরও এই খেলার প্রতি আগ্রহ থাকায় বাড়তি উৎসাহ পেয়েছিলেন লেডি মেহেরবাই। সর্বভারতীয় স্তরে প্রচুর টুর্নামেন্ট খেলেছেন। ৬০টিরও বেশি পুরস্কারও জিতেছেন। ১৯২৪ সালে প্যারিস অলিম্পিকে খেলেছিলেন লেডি মেহেরবাই। ভারতীয় সংস্কৃতিকে ভোলেননি। শাড়ি পরেই নেমেছিলেন টেনিস কোর্টে। এ বারও প্যারিসেই অলিম্পিক। স্বাভাবিক ভাবেই তাঁকে নিয়ে চর্চাও প্রচুর।