একটাই মন্দির, কালো রঙ, দেহ ছোট, মাথা বড়; এটা আবার কোন দেবতা? - Bengali News | Tamil Nadu man constructs temple for 'Alien God', claims he spoke to aliens who will save world - 24 Ghanta Bangla News

একটাই মন্দির, কালো রঙ, দেহ ছোট, মাথা বড়; এটা আবার কোন দেবতা? – Bengali News | Tamil Nadu man constructs temple for ‘Alien God’, claims he spoke to aliens who will save world

0

ভিনগ্রহী দেবতার মন্দির তৈরি করলেন লোগানাথনImage Credit source: Twitter

চেন্নাই: কুচকুচে কালো রঙ। দেহটা ছোটখাট, সেই তুলনায় পেল্লায় আকার মাথার। বিশেষ করে, মাথার উপরিভাগটি অনেকটাই স্ফিত। নীচের চোয়ালের অংশটি সরু হয়ে এসেছে। মুখের দিকে তাকালে প্রথমেই চোখে পড়ে বিশালাকৃতির দুটি চোখ। মানুষের মতো নাক, মুখও রয়েছে। রয়েছে হাত-পাও। অনেকটাই মানুষের মতো দেখতে, কিন্তু পুরোপুরি মানুষও নয়। গলায় ঝুলছে মালা। মন্দিরে ঢুকে বিগ্রহটা দেখে চোখ কপালে উঠতে পারে। এ আবার কোন দেবতা? এ মন্দির কার? প্রশ্ন জাগতে পারে ভক্তদের মধ্যে। হিন্দু ধর্মের পরিচিত-স্বল্প পরিচিত কোনও দেবতার সঙ্গেই যে এই বিগ্রহের মিল নেই। আসলে এটা ভারতের প্রথম ‘ভিনগ্রহী দেবতা’র মন্দির। অতি সম্প্রতি এক পুরোহিত এই মন্দিরটি তৈরি করেছেন।

কোথায় তৈরি হয়েছে এই মন্দির? তামিলনাড়ু রাজ্যের সালেম জেলার মল্লমুপট্টি গ্রামে রয়েছে কালিয়া শিব মন্দির। ওই মন্দিরের চত্বরেই এই অদ্ভূত দেবতার ভূগর্ভস্থ মন্দির তৈরি করা হয়েছে। তৈরি করেছেন, পুরোহিত লোগানাথন। তিনি সিদ্ধর ভাকিয়া নামেই বেশি পরিচিত। তিনিই এই মন্দিরে বিশেষ পূজার শুরু করেছেন। কিন্তু এত দেবতা থাকতে কেন হঠাৎ ভিনগ্রহী দেবতার মন্দির? কোথা থেকে এই ভাবনা এল তাঁর মাথায়? স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে সিদ্ধর ভাকিয়া জানিয়েছেন, ভগবান শিব যে দেবতাদের সৃষ্টি করেছেন, তার মধ্যে ভিনগ্রহীরাই ছিল প্রথম। শুধু তাই নয়, তাঁর মতে, ভিনগ্রহীরাই হল একমাত্র দেবতা যারা বিশ্বকে বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা করতে পারে। কারণ তাদের ক্ষমতা সীমাহীন।

ওই পুরোহিত আরও দাবি করেছেন, তাঁর সঙ্গে ভিনগ্রহীদের কথা হয়েছে। তাদের অনুমতি পাওয়ার পরই তিনি এই মন্দিরটি তৈরি করেছেন। লোগানাথন বলেছেন, “ভিনগ্রহীরা পৃথিবীর কোনও ক্ষতি করবে না। তারা মানুষের কোনও ক্ষতি করবে না। তারা শুধু ভালো করার জন্যই আমাদের খোঁজ করে। এই জন্যই আমি এই মন্দিরটি তৈরি করেছি।” তাঁর আরও দাবি, এখন থেকে পৃথিবীতে আরও ঘন ঘন আগমন হবে ভিনগ্রহীদের । কারণ, সারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ভিনগ্রহীদের খোঁজ করছে। কিন্তু তারা তাদের অনুসন্ধানের ফলাফলগুলি গোপন রাখে বলে দাবি লোগানাথনের। তিনি বলেছেন, “ভিনগ্রহীরা কিন্তু, ব্যক্তিগতভাবে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করবে। তারা ইতিমধ্যেই পৃথিবী ঘুরে গিয়েছে।”

ভিনগ্রহী দেবতাই রক্ষা করবে পৃথিবীকে, দাবি লোগানাথনের

তবে, পুরোহিত লোগানাথনের দাবি, সিনেমায় যেভাবে ভিনগ্রহীদের দেখানো হয়, বাস্তবে তারা সেই রকম দেখতে হয় না। সিনেমায় ভিনগ্রহীদের শিং দেখানো হয়, কিন্তু তাদের মাথায় শিং থাকে না বলেই দাবি করেছেন ওই পুরোহিত। তিনি বলেছেন, “তাদের চেহারা মানুষের মতোই স্বাভাবিক। মানুষের মতো তাদের মধ্যেও নারী ও পুরুষ ভেদ আছে।” তাঁর দাবি, তিনি ভিনগ্রহীদের সঙ্গে দেখাও করেছেন এবং তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, “ভিনগ্রহীরা দুবার এসে আমার সঙ্গে কথা বলে গিয়েছে। আমি ভিনগ্রহীদের সঙ্গে কথা বলেছি বলে, কেউ আমায় পাগল ভাববেন না। অনেকেই ভিনগ্রহীদের নিয়ে গবেষণা করছেন। তারাও এই সম্পর্কে অনেক কথা বলে। কিন্তু কেউ তা বিশ্বাস করে না।”

Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You may have missed

x