Bardhaman: হেড দিদিমণির হাত ‘মার’ খেয়ে হাসপাতালে ‘প্রিয়’ শিক্ষক, প্রতিবাদে রাস্তা অবরোধ করে ক্ষোভে ফেটে পড়ল পড়ুয়ার দল – Bengali News | Students blocked the road to protest the beating of the teacher in Bardhaman

কালনা: সহ-শিক্ষককে হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। তাতেই ক্ষোভে ফেটে পড়ল স্কুলের পড়ুয়ারা। চলল পথ অবরোধ। শিকেয় উঠল স্কুলের পঠনপাঠন। স্তব্ধ হয়ে গেল কালনা-বর্ধমান রোড। শেষে মাঠে নামতে হল পুলিশকে। পুলিশই শেষ পর্যন্ত পড়ুয়াদের বুঝিয়ে স্কুলে পাঠাল। স্থানীয় সূত্রে খবর, গত বুধবার ধাত্রীগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা কাবেরী সরকার স্কুলে আসতে দেরি করেন। তা নিয়ে স্কুলের সহ-শিক্ষক সুদর্শন নাথের সঙ্গে তার ঝামেলা হয়। কেন দেরি হয়েছে এই প্রশ্ন করতেই সুদর্শন নাথকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। তারপর পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হলেও চাপা উত্তেজনা ছিল পড়ুয়াদের মধ্যে।
শনিবার প্রধান শিক্ষিকা আসতেই তাঁকে ঘিরে ধরে পড়ুয়ার দল। কেন সুদর্শনবাবুকে হেনস্থা করা হয়েছিল সেই প্রশ্ন তুলতে থাকে পড়ুয়ারা। সূত্রের খবর, তাতেই রেগে স্কুস থেকে চলে যান প্রধান শিক্ষিকা। তারপরই একযোগে পথ অবরোধের সিদ্ধান্ত নেয় পড়ুয়ারা। বেশ কিছুক্ষণের জন্য অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে কালনা-বর্ধমান রোড। এলাকায় ব্যাপক যানজটেরও সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে ছুটে আসে পুলিশ।
এই খবরটিও পড়ুন
যদিও প্রধান শিক্ষিকার দাবি, তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ মিথ্যা। তিনি বলছেন, সিসিটিভি চেক করলেই সবটা পরিষ্কার হবে। যদিও স্কুলের একাদশ শ্রেণির এক পড়ুয়া বলছে, “প্রধান শিক্ষিকা প্রায়শই দেরি করে আসেন। এটা নিয়ে প্রশ্ন করতেই আমাদের আর এক শিক্ষকে তিনি হেনস্থা করেন। মারধর করেন। ওই শিক্ষককে হাসপাতালেও ভর্তি করতে হয়। আমরা এ নিয়ে প্রধান শিক্ষিকার কাছে প্রশ্ন করি আজ। কারণ এই ক’দিন উনি স্কুলে আসেননি, তাই আগে জিজ্ঞেস করতে পারিনি। আজ জানতে চেয়েছিলাম কেন আমাদের প্রিয় শিক্ষককে মারা হয়েছে। তারপরই আমরা রাস্তা অবরোধের সিদ্ধান্ত নিই। তারপরেও তিনি স্কুলে আসেননি।”