Fraud Case: মৌসুমি আর মানসী! দুই মহিলাই 'কাঁপাচ্ছিল' রাজ্য, পুলিশ আসতেই খোলসা হল সবটা - Bengali News | Three Woman And One Man Was Arrested For Running Fraud Call centre in Asansol - 24 Ghanta Bangla News

Fraud Case: মৌসুমি আর মানসী! দুই মহিলাই ‘কাঁপাচ্ছিল’ রাজ্য, পুলিশ আসতেই খোলসা হল সবটা – Bengali News | Three Woman And One Man Was Arrested For Running Fraud Call centre in Asansol

0

গ্রেফতার দুই মহিলাImage Credit source: Tv9 Bangla

আসানসোল: এটিএম কাউন্টার বসাবেন। সেই কারণে ফোন আসত। পরে জানা গেল আসল ঘটনা। ভুয়ো কল সেন্টার থেকে এটিএম কাউন্টার বসানোর নামে ফোন করে ১২ লক্ষ টাকা লুঠ। পুলিশের জালে প্রতারণা চক্র। গ্রেফতার হয়েছেন তিনজন। তাদের কাছ থেকে ৪০টি মোবাইল ফোন ও একটি ল্যাপটপ উদ্ধার করা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে ডিসি (ওয়েস্ট) সন্দীপ কররা, এসিপি হীরাপুর ইপ্সিতা দত্ত, বারাবনি থানার অফিসার ইনচার্জ মনোরঞ্জন মণ্ডল বৃহস্পতিবার এক সাংবাদিক সম্মেলন করেন। আধিকারিকরা জানিয়েছেন, মধ্যমগ্রামের একটি কল সেন্টারের ছদ্মবেশে এই সাইবার জালিয়াতি করা হয়েছিল। এটিএম বা মোবাইল টাওয়ার বসিয়ে দেওয়ার নামে প্রলোভন দেখিয়ে এই কল সেন্টার থেকে ফোন করা হত। এই চক্রের মূল চক্রি দুই মহিলাকে আটক করেছে পুলিশ। একজনের নাম মানসী পাল। অপরজন মৌসুমী নন্দী। এই মানসীর স্বামী  শুভঙ্কর ব্রহ্মচারীও এই ঘটনায় যুক্ত। তাদের বাড়ি কলকাতার বাঁশদ্রোণী থানা এলাকায়। অফিস ছিল মধ্যমগ্রাম এলাকায়। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে।

বস্তুত, ২০২২ সালের ৩ জুন একটি রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্কের নাম করে আসানসোলের বাসিন্দা চিন্তামনি চর নামে এক ব্যক্তির কাছে ফোন আসে। ফোনে এটিএম বসানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়। চিন্তামনি রাজি হয়ে গেলে ইনস্টলেশন চার্জ,সার্ভিস চার্জ, কোসান মানি বিভিন্ন ভাবে টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়। এই ভাবে এক বছর ধরে ১২ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়। ফোনে কথা বলার পর এক বছর কেটে যায়। তারপরেই তিনি বারাবনি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এরপরই তদন্তে নামে পুলিশ।

প্রায় এক বছর তদন্ত চলার পর অবশেষে বুধবার কলকাতার মধ্যমগ্রামে একটি কলসেন্টারের খোঁজ পায় তারা। সেখানে প্রায় পঁয়ত্রিশ – চল্লিশজন যুবক যুবতী কাজ করে বলে পুলিশ জানতে পারে। সেখান থেকেই গ্রেফতার করা হয় কলসেন্টারের মালিক শুভঙ্কর ব্রহ্মচারি, তাঁর স্ত্রী মানসী পাল ও তাদের আরও এক অংশীদার মৌসুমী নন্দীকে। ৪৪ টি মোবাইল,একটি ল্যাপটপ ও কয়েকটি ডাইরি উদ্ধার করেছে পুলিশ। ওই ডাইরিগুলিতে স্ক্রিপ্ট লেখা আছে। কোন গ্রাহককে কী বলতে হবে।

আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশের ডিসি ওয়েস্ট সন্দীপ কররা বলেন, “ওই কল সেন্টারের ৩৫ থেকে ৪০ জন বেতনভুক্ত কর্মী মাত্র। ওদের মাসোয়ারা বেতনে রাখা হয়েছিল। সঙ্গে স্ক্রিপ দেওয়া ছিল। দুই মহিলা সহ যাকে ধরা হয়েছে তারাই হচ্ছে মূল পান্ডা।” তিনি বলেন, “আমাদের ধারনা আসানসোল জুড়ে বা পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে এই প্রতারণা চক্রের হাত অনেকেই প্রতারিত হয়েছেন। এই খবর জানাজানি হওয়ার পর হয়তো আরও অনেক আমাদের কাছে অভিযোগ জমা পড়বে।”

Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *