Jagannath Ratna Bhandar: পুরীর রত্নভান্ডারে গোপন সূড়ঙ্গ? বাড়ছে রহস্য, তদন্তে ASI - Bengali News | Secret tunnel inside Jagannath Temple? ASI to laser scan Ratna Bhandar - 24 Ghanta Bangla News

Jagannath Ratna Bhandar: পুরীর রত্নভান্ডারে গোপন সূড়ঙ্গ? বাড়ছে রহস্য, তদন্তে ASI – Bengali News | Secret tunnel inside Jagannath Temple? ASI to laser scan Ratna Bhandar

0

জগন্নাথ মন্দিরের রত্নভান্ডারে সত্যিই রয়েছে গোপন সূড়ঙ্গImage Credit source: Twitter and Meta AI

পুরী: গত রবিবার (১৯ জুলাই), ৪৬ বছর পর খোলা হয়েছিল পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের রত্নভান্ডার। তারপর থেকেই জনমানসে অসীম কৌতূহল, কী রয়েছে রত্ন ভান্ডারে? জল্পনা ছিল এই রত্নভান্ডার পাহারা দেয় সাপ। কিন্তু, রত্নভান্ডার খোলার পর, একটিও সাপ পাওয়া যায়নি। পাওয়া গিয়েছে সোনার গয়না, মুকুট, জগন্নাথের হাত-পায়ের মতো সম্পদ। তবে, যে পরিমাণ বহুমূল্য সম্পত্তি থাকবে বলে আশা করা হয়েছিল, ততটাও পাওয়া যায়নি। অনেকেই মনে করেছিলেন, একটি রুপোর সিংহাসন থাকতে পারে, কিন্তু, তা পাওয়া যায়নি। বাইরের কক্ষটি ৪৬ বছর আগে একবার খোলা হয়েছিল। ভিতরের কক্ষটি তারও আগে থেকে বন্ধ ছিল। এবার দুটিই খোলা হয়েছে। তবে, তাতেও কি রহস্যের ইতি টানা গিয়েছে? না। ভক্তদের দাবি, ভিতরের কক্ষের সঙ্গে যুক্ত এক গোপন সুড়ঙ্গ আছে। এবার সেই সুড়ঙ্গের খোঁজ করবে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া।

এর জন্য রত্ন ভান্ডারের ভিতরের কক্ষটিতে লেজার স্ক্যান করতে চলেছে এএসআই। পুরো রত্নভান্ডারটির সংস্কার করবে এএসআই। তার জন্য, বৃহস্পতিবারই রত্নভান্ডারের বাইরের ও ভিতরের কক্ষে থাকা সমস্ত সম্পদ একটি অস্থায়ী স্ট্রংরুমে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কক্ষগুলি পুরোপুরি খালি করার পরই সেখানে সংস্কারের কাজ শুরু করা হবে। পুরীর রাজ পরিবারের সদস্য তথা জগননাথ মন্দিরের পরিচালন পর্ষদের চেয়ারম্যান দিব্যসিংহ দেব জানিয়েছেন, রত্নভান্ডারের ভিতরের কক্ষে গোপন সুড়ঙ্গ থাকা নিয়ে জল্পনা দূর করতে উন্নতমানের যন্ত্রপাতি দিয়ে লেজার স্ক্যানিং করবে। তার আগে, মন্দির কর্তৃপক্ষ রত্নভান্ডারের ভিতরের ও বাইরের কক্ষ পরীক্ষা করবে। তারপর, এই দুই কক্ষেরই দখল নেবে এএসআই।

বেশ কয়েকজন সেবাইত দাবি করছেন পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের রত্নভান্ডারের ভিতরের কক্ষে একটি গোপন সুড়ঙ্গ আছে। সেখানেই নাকি জগন্নাথ মন্দিরের আসল ধন-সম্পদ লুকোনো আছে। সুপারভাইজারি প্যানেলের চেয়ারম্যান, বিচারপতি বিশ্বনাথ রথ জানিয়েছেন, এই দরনের কোনও সূড়ঙ্গের ঐতিহাসিক প্রমাণ নেই। তিনি আরও জানিয়েছেন, রত্নভান্ডার থেকে অস্থায়ী স্ট্রংরুমে ধন-সম্পদ নিয়ে যেতে সাড়ে সাত ঘণ্টা সময় লেগেছে। তিনি বলেছেন, “আমরা কখনই সূড়ঙ্গ তত্ত্ব বিশ্বাস করিনি। এই নিয়ে কোনও ঐতিহাসিক প্রমাণ নেই। আমরা সব ধন-সম্পদ সরিয়ে ভিচরের কক্ষের দেওয়ালগুলি পরীক্ষা করে দেখেছি। কোথাও কোনও সূড়ঙ্গ পাইনি।”

Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

x