Murshidabad: ‘উলঙ্গ করে মলদ্বারে লঙ্কার গুঁড়ো ছেটায়…’, সেলুনের লাইনের ঝামেলা নিয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে উঠল ভয়ঙ্কর অভিযোগ – Bengali News | Murshidabad ‘Cherish powder is sprinkled in the anus…’, a terrible complaint was made against the police
মুর্শিদাবাদ: সেলুনে লাইন দেওয়াকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের গন্ডগোল। আর তার থেকেই এক যুবককে থানায় এনে ব্যাপক মারধর ও মানসিকভাবে হেনস্থার অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে। উলঙ্গ করে যুবকের মলদ্বারে লঙ্কার গুঁড়ো দেওয়ার অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের জলঙ্গিতে। মূলত জলঙ্গি থানার ওসি কৌশিক পালের বিরুদ্ধে অভিযোগ। পুলিশ সুপারের কাছে মেইল অভিযোগ জানালেন নিগৃহীত।
জানা গিয়েছে, দুদিন আগে গ্রামের সেলুনের বাইরে লাইনে দাঁড়ানোকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের মধ্যে বচসা হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। অভিযোগ, পুলিশ গিয়ে এক যুবককে থানায় তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁকে ব্যাপক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। সঙ্গে মানসিকভাবে হেনস্থাও করা হয়।
জানা যাচ্ছে, অসুস্থ হয়ে ওই যুবক প্রথমে ভর্তি হন সাদিখাঁরদেয়াড় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে ডোমকল মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে এসে নিজের ওপর অত্যাচারের কথা সংবাদমাধ্য়মের কাছে বলেন ওই যুবক। সঠিক বিচারের দাবিতে ইতিমধ্যেই জেলা পুলিশ সুপারের কাছে মেইল করে অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি। প্রয়োজনে নবান্ন পর্যন্তও যেতে প্রস্তুত ওই যুবক ও তাঁর পরিবার।
নিগৃহীতের বাবার অভিযোগ, “আমার ছেলের কোনও দোষই নেই। সেলুনের দোকানে অল্প ঝামেলা হয়েছিল। আমার ছেলেকে তুলে নিয়ে গিয়ে উলঙ্গ করে লঙ্কার গুঁড়ো দেওয়া হয়েছে। এটা কোথাকার আইন? আমি ওই ওসির শেষ দেখে ছাড়ব।”
নিগৃহীতের বক্তব্য, “আমার সঙ্গে সেলুনে অল্প ঝামেলা হচ্ছিল, সেরকম কোনও বিষয়ই নয়। সেখানে হঠাৎ চলে আসেন ওসি-র গাড়ির ড্রাইভার। তিনিই হঠাৎ বলেন আমি নাকি ওসির বিরুদ্ধে ভুলভাল কথা বলছি। সেই কথা গিয়ে থানায় বড়বাবুকে বলেন। আর তারপরই এরকম অত্যাচার।” যদিও থানার তরফ থেকে জানানো হয়েছে, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে এর আগেও একাধিক অভিযোগ রয়েছে। সেলুনেও অশান্তি পাকাচ্ছিলেন। ‘পুলিশকে কীভাবে দেখে নিতে হয়, আমি জানি’ বলে হুমকিও দিচ্ছিলেন বলে যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ। থানায় তাঁকে ধরে আনা হয়েছে, সেটা পুলিশ স্বীকার করেছে। কিন্তু উলঙ্গ করে মারধরের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে জানানো হয়েছে থানার তরফে।