Suvendu Adhikari: ‘আমি বিরোধী দলনেতা’, কৌশলে হারের দায় ঝেড়ে ফেললেন শুভেন্দু – Bengali News | Suvendu adhikari: “I am the leader of the opposition, not the responsibility of the organization.”
সায়েন্স সিটিতে শুভেন্দু অধিকারীImage Credit source: TV9 Bangla
কলকাতা: “আমি বিরোধী দলনেতা, সংগঠনের দায়িত্ব আমার নয়।” লোকসভা নির্বাচন ও চার বিধানসভা উপ নির্বাচনে আশানুরূপ ফল হয়নি বিজেপির। তবে কি তার দায় সংগঠনের ওপরেই চাপালেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী? প্রশ্ন উঠছে রাজনৈতিক মহলে। বুধবার সায়েন্স সিটিতে বিজেপির রাজ্য কমিটির বৈঠকে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “সামনে থেকে এখানে চুলচেরা বিশ্লেষণ হবে না। চুলচেরা বিশ্লেষণ হবে, কিন্তু তার জায়গা আলাদা। আমি বিরোধী দলনেতা, আমি অর্গানাইজেশনের দায়িত্বে নেই।”
প্রসঙ্গত, লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় ৩০-৩৫টি আসন টার্গেট নিয়েছিল বিজেপি। এক্সিট পোলের হিসাবও খানিকটা তাই বলেছিল। কিন্তু ৪ জুনের রেজাল্ট পুরো উল্টে গেল। মাত্র ১২টি আসন পেয়েছে পদ্ম শিবির। বিজেপির ফল, দিলীপ ঘোষের পরাজয়ের কারণ নিয়ে বিজেপি অন্দরেই দ্বন্দ্ব তৈরি হয়। দলের মধ্যে কাঠিবাজির অভিযোগ তুলেছিলেন খোদ দিলীপ। ভোটের ঠিক প্রাক লগ্নেই আসন বদলই হারের মুখ্য কারণ হিসাবে বিজেপি অন্দরে একটি তত্ত্ব খাঁড়া করা হয়েছিল। দিলীপের পক্ষে সওয়াল করে ‘কাঠিবাজি’র তত্ত্ব খাঁড়া করেছিলেন সুকান্ত মজুমদারও। কিন্তু ‘কাঠি’ করলেন কে? তা নিয়েই দল অন্দরে তৈরি হয়েছিল চরম জল্পনা।
শুভেন্দু অধিকারী রাজ্য কমিটির বৈঠকে যখন আরও একবার নিজের পদকে স্মরণ করালেন, তাহলে সংগঠনের দায়িত্ব নিয়ে কি ঘুরিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতির কাঁধেই দায় ঠেললেন শুভেন্দু? প্রশ্ন চলছেই। শুভেন্দু তিনি আরও বলেন, “আমি সংবাদমাধ্যমের সামনে এমন কোনও মন্তব্য করি না, যাতে আমাদের বুথের কর্মী, আমাদের ভোটার হতাশ হন। ”
সংগঠন প্রশ্নে এদিন শুভেন্দুর মুখে উঠে আসে মুকুল রায় প্রসঙ্গও। শুভেন্দু বলেন, “মুকুল রায়ের মতো সব কেড়ে নেওয়ার পর আমি বিজেপিতে আসেনি। আমি সব ছেড়ে বিজেপিতে এসেছি। এখানেই আমার অবসর হবে, এটুকু শুধু আপনাদের কাছে বলতে চাই।” উল্লেখ্য, মুকুল রায় প্রসঙ্গে উঠেই আসে ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের কথা। কারণ সেবার মুকুল-দিলীপ রণনীতিতে বাংলায় ১৮ টা আসন পেয়েছিল বিজেপি। সেক্ষেত্রে শুভেন্দু-সুকান্ত নীতিতে বাংলায় ১২টা আসন পেয়েছে বিজেপি। আর সেক্ষেত্রে দায় বিরোধী দলনেতার নয় বলেই দায় সারলেন শুভেন্দু অধিকারী।