ICDS: এঁদো ডোবার পাশে শিশু, গর্ভবতীদের রান্না! এ কেমন ICDS কেন্দ্র? – Bengali News | The ICDS center in is in a deplorable condition at chandrakona kitchen is unhygienic

মেদিনীপুর: আইসিডিএস কেন্দ্রের ভগ্নপ্রায় দশা। যে ঘরে ক্লাস হয়, উপরে তাকালে আকাশ দেখা যায়। একটু হাওয়া দিলে মনে হয় দরজা জানলা বুঝি ঘাড়ের উপর এসে ভেঙে পড়বে। উড়ে যাবে মাথার টিন। রান্নাঘরের অবস্থাও তথৈব চ। শিশুদের পুষ্টিকর খাবার তৈরি হচ্ছে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের মধ্যে। বন্ধ পড়াশোনা। ক্ষোভে ফুঁসছেন অভিভাবক থেকে গ্রামের পঞ্চায়েত সদস্য। এ ছবি চন্দ্রকোনা-১ ব্লকের মনোহরপুর-১ গ্রামপঞ্চায়েতের কামারগেড়িয়া গ্রামের।
কামারগেড়িয়ায় ৮৪ নম্বর আইসিডিএস কেন্দ্রে অবস্থা খুবই খারাপ। প্রায় ১০ বছর হতে চলল এমন ভগ্নপ্রায় দশা। টিনের ছাউনি। গ্রীষ্মে পুড়তে হয়, বর্ষায় বরাতে লেখা থাকে ভেজা। পাশেই ডোবা। জল উপচে ওঠে রান্নাঘরে। প্লাস্টিকের ছাউনি ঘেরা জায়গায় রান্না হয়। ফলে ন্যূনতম ‘হাইজিন’ মানা হয় না। অথচ রোজ ৮০ থেকে ৯০ জনের রান্না হয় এখানে। শিশুর পাশাপাশি গর্ভবর্তী মায়েরাও আসেন পুষ্টিকর খাবার নিতে।
সেন্টারের কর্মী হামিদা বিবির কথায়, “খুবই পরিস্থিতি খারাপ। বাচ্চারা আসতে পারে না বর্ষায়। আমরা রান্নার জিনিস রাখতে পারি না। অন্যের বাড়িতে চাল ডাল রাখতে হয়। না হলে ইঁদুর খেয়ে নেয়। রান্নার জায়গাটাও খুব খারাপ। মাঝেমধ্যে আবার সাপখোপও বেরিয়ে আসে।”
রাঁধুনি লীলাবতী ভুঁইয়্যাও বলেন, “জল ঝড় হলে ছাতা মাথায় বসে রান্না করি। এখানে পানীয় জল পর্যন্ত নেই। পঞ্চায়েত থেকে ক্ষীরপাই বিডিও অফিস সকলকে জানিয়েও লাভ হয়নি।” একই কথা শিক্ষিকা অর্চনা পাড়ুইয়েরও। তিনি বলেন, “ক্লাসের দেওয়াল হেলে গিয়েছে। বিডিও এসে বলে গেলেন এখানে আপনিও বসবেন না, বাচ্চাদেরও বসাবেন না। কিন্তু পরের ব্য়বস্থা নিয়ে উনি কিছুই বললেন না। বৃষ্টি হলে তো আমি নিজেই বলি বাচ্চাদের আসতে না।”
গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য শেখ নুরুল হাসানের কথায়, “সত্যি খুব খারাপ পরিস্থিতি। বৃষ্টি এলে জল ঢোকে, ঝড় হলে মনে হয় ভেঙে পড়বে। আইসিডিএসের ভিতরে বাচ্চা বসানো খুবই ঝুঁকির। রান্নার জায়গার অবস্থাও খুব খারাপ। সব জায়গায় আমি জানিয়েছি। সকলেই আট বছর ধরে আশ্বাস দিচ্ছেন। কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। জেলা শাসকের দফতর গুরুত্ব দিক।” স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শম্পা মণ্ডলের কথায়, তিনি সবই জানেন। দেখেও এসেছেন। বিডিওকে জানিয়েছেন। জেলা প্রশাসনকেও জানিয়েছেন। কিন্তু সকলেই যদিও ‘জানিয়েছি’ বলে দায় সারেন, ভুগতে তো হবে ছোট ছোট পড়ুয়াদের।