জগন্নাথের সম্পত্তির দিকে তাকালেই নাকি অন্ধ হয়ে যায়! পুরীর রত্ন ভাণ্ডারে আসলে কী কী আছে? – Bengali News | Puri Jagannath Temple Ratna Bhandar: Ratna Bhandar of Jagannath Temple to be Opened on Sunday, How Much Gold, Silver have stored inside?

পুরীর জগন্নাথ মন্দির।Image Credit source: Twitter
ভুবনেশ্বর: দরজা খোলেনি বহু বছর। পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের রত্ন ভাণ্ডারের ভিতরে কী রয়েছে, তা নিয়ে দিন দিন বেড়েই চলেছে রহস্য়-জল্পনা। তবে আর বেশিক্ষণ অপেক্ষা নয়। আগামিকাল, রবিবারই খোলা হবে পুরীর রত্ন ভাণ্ডারের দরজা। যদি চাবি না পাওয়া যায়, তবে তালা ভাঙা হবে। পুরীর এই রত্ন ভাণ্ডারের ভিতরে কী কী আছে, জানেন?
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে, ২০১৮ সালে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের রত্ন ভাণ্ডার খোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। হাইকোর্ট নিযুক্ত কমিটি ও এএসআই-র স্থাপত্যবিদরা ঢুকেছিলেন মন্দিরের কুঠুরিতে। কিন্তু চাবি না থাকায়, দরজা খোলেনি। ভয়ে ভয়ে দরজার গোড়া থেকেই ফিরে আসেন তারা। রত্ন ভাণ্ডারের ভিতরে কী রয়েছে, তার রহস্য উদঘাটন হয়নি। আগামিকাল আবার সেই সুযোগ।
শোনা যায়, পুরী মন্দিরের রত্ন ভাণ্ডারে যে সম্পত্তি রয়েছে, তা নাকি দেশের কোনও মন্দিরে নেই। তিরুপতির বালাজি মন্দির বা দক্ষিণ ভারতের অন্যান্য মন্দিরগুলিও হার মানবে জগন্নাথদেবের সম্পত্তির কাছে। তবে সেই কুঠুরিতে ঢোকা যায় না কারণ জগন্নাথ দেবের সম্পত্তির পাহারায় নাকি রয়েছেন নাগরাজ। বিষধর সাপ কিলবিল করে রত্ন ভাণ্ডারে। কেউ মণি-মুক্তোয় হাত দিলেই ছোবল দেয় তারা।
চাবি হারানোর পরে রত্নভান্ডার আর খোলা হয়নি। ১৯৭৮ সালের ১৩ মে থেকে ২৩ জুলাই শেষ বার রত্নভান্ডারের সম্পদের খতিয়ান নেওয়া হয়েছিল। সেই সময় প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, জগন্নাথ দেবের রত্ন ভাণ্ডারে মোট ৪৫৪টি সোনার গহনা, যার ওজন আনুমানিক ১২৮৩৮ ভরি এবং২৯৩টি রুপোর গহনা রয়েছে, যার ওজন ২২১৫৩ ভরি।
এরমধ্যে রত্ন ভাণ্ডারের বাইরের যে অংশ রয়েছে, তাতে রাখা আছে জগন্নাথদেবের মণি-মুক্তো জড়ানো সাজসজ্জা। ৭৯টি সোনার গহনা, ৩৯টি রুপোর গহনা আছে। সঙ্গে রয়েছে নিত্য ব্যবহারের আরও সোনাদানা। ব্রক্ষ্মজ্যোতি হিরে, বলরামের নীলা, সুভদ্রার মণিমুক্তোও রয়েছে। ভিতরের ভাণ্ডারে কী কী রয়েছে, তার সঠিক পরিসংখ্যান নেই। তবে ৩৫০-রও বেশি সোনার গহনা ও ২৩০টিরও বেশি রুপোর গহনা আছে বলে জানা যায়।
এই সব সম্পত্তির খতিয়ান ১৯৭৮-র রেকর্ড অব রাইটস-র ভিত্তিতে। এই সোনাদানার মধ্যে ১৯৮২ ও ১৯৮৫ সালে দু’বার গর্ভগৃহের দরজা ও বলভদ্রের মুকুট সারাতে ব্যবহার করা হয়েছিল কিছু সম্পত্তি। আগামিকাল রত্ন ভাণ্ডারের দরজা যদি খোলা হয়, তবেই জানা যাবে, জগন্নাথ-বলরাম ও সুভদ্রার আসল সম্পত্তি কত!