High Court on Divorce: ‘ফেসবুক-ইন্সটাগ্রাম থেকে স্ত্রী’কে বঞ্চিত করাও নিষ্ঠুরতার সামিল’, ডিভোর্সের মামলায় বলল হাইকোর্ট – Bengali News | Telengana High Court observes, it is cruelty to deprive spouse from doing facebook or insagram

তেলেঙ্গনা: ছোট থেকে বড় সবারই এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় অবাধ বিচরণ। শুধুমাত্র বিনোদন নয়, কাজের ক্ষেত্রে বা বিজ্ঞাপনের জন্যও বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ার প্রাসঙ্গিকতা বেড়েছে। তাই ‘ফেসবুক’ বা ‘ইন্সটাগ্রামে’র মতো সোশ্যাল প্লাটফর্ম ব্যবহার করার ক্ষেত্রে যদি কোনও কেউ তাঁর স্ত্রীকে বাধা দেয়, তাহলে তা নির্মমতা বলে গণ্য হবে। একটি মামলার রায়ে এমনটাই বলল তেলেঙ্গনা হাইকোর্ট। শুধুমাত্র সোশ্যাল মিডিয়া নয়, হাইকোর্টের রায়ে বলা হয়েছে, স্ত্রী’র সামাজিক মর্যাদা ক্ষুণ্ণ করা যাবে না বা তাঁর কাজের সুযোগে বাধা আসে, এমন কিছু করা যাবে না।
বিচ্ছেদের আবেদন করে এক ব্যক্তি মামলা করেছিলেন তেলেঙ্গনা হাইকোর্টে। নিম্ন আদালতের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে গিয়েছিলেন ওই ব্যক্তি। বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য ও বিচারপতি এমজি প্রিয়দর্শিনীর বেঞ্চে চলছিল সেই মামলা।
সেই মামলার পর্যবেক্ষণে ডিভিশন বেঞ্চ বলে, বিয়ে কারও ওপর চাপিয়ে দেওয়া যায় না। আদালতের তরফে আরও বলা হয়েছে, ‘আদালত কখনও বিয়ের ক্ষেত্রে ফাঁসুড়ের ভূমিকা নিতে পারে না, বা কাউকে স্বামী ও স্ত্রী হিসেবে জীবনযাপণ করতে বাধ্য করতে পারে না।’
২০১০ সালে আবেদনকারী ব্যক্তির বিয়ে হয়। এক বছরের মধ্যেই শুরু হয় অশান্তি। তাঁদের এক সন্তানেরও জন্ম হয়। ২০১২-তে বিচ্ছেদের আবেদন করেন স্বামী। ২০২১-এ ট্রায়াল কোর্ট স্বামীর আবেদন খারিজ করে দেয়। এরপরই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন স্বামী।
মামলার কথা শুনে ডিভিশন বেঞ্চ বলে, ‘বিয়ে শুধুমাত্র একটা অনুষ্ঠান নয়। একসঙ্গে ঘর বাঁধার ইচ্ছেতেই গড়ে ওঠে সম্পর্ক। কিন্তু যখন সেই সম্পর্ক শেষ পর্যায়ে পৌঁছে যায়, তখন ডিভোর্সের আবেদন খারিজ করা ঠিক নয়। বিয়ের ভিতটাই যখন নষ্ট হয়ে গিয়েছে, তখন দাম্পত্য জীবন ফেরার আর কোনও সম্ভাবনা থাকে না।’ এই যুক্তিতেই ডিভোর্সে সম্মতি দিয়েছে হাইকোর্ট।