Manoranjan Byapari: তৃণমূল নেত্রীর ‘দুর্নীতি’ বুঝে নেব বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের কাছে: মনোরঞ্জন – Bengali News | TMC MLA Manoranjan Byapari talks about corruption within TMC

কলকাতা: দুর্নীতি ইস্যুতে এবার গুরুতর অভিযোগ সামনে আনলেন খোদ তৃণমূলের বিধায়ক। দুর্নীতির কথা জেনেও কেন মুখ খুলছে না দলের একাংশ? কেন কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না? এই প্রশ্ন তুলে সরব হলেন বলাগড়ের বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী। তাঁর দাবি, দিনের পর দিন তিনি এই ইস্যুতে মুখ খুললেও কেউ তাতে গুরুত্ব দেয়নি। তাঁর কথায়, ‘আগে সতর্ক হওয়া উচিত ছিল।’ এই প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নাম। তাঁর দাবি, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ই সব দুর্নীতি, অন্যায় সামনে এনেছেন। তাই সেই বিচারপতির দ্বারস্থ হওয়ার কথা বলেছেন বিধায়ক।
বুধবার সকালে সোশ্যাল মিডিয়ায় আচমকা একটি দীর্ঘ পোস্ট করেন বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী। দলেরই এক নেত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তোলেন তিনি। তাঁর দাবি, নিজে দুর্নীতি করার পরও বিধায়ককে হুমকি দিচ্ছেন ওই নেত্রী। বালি মাফিয়া বলে ওই নেত্রীকে কটাক্ষ করার পাশাপাশি, মনোরঞ্জন ব্যাপারীর অভিযোগ, দীর্ঘ চার-পাঁচ বছর একজন শিক্ষিকার পদে থেকে একদিনও কাজ না করে বেতন পেয়েছেন ওই নেত্রী। সেই নিয়োগ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বিধায়ক। এই প্রসঙ্গে বলেছেন, “কেমন করে মাইনে পেল, সেটাও অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের কাছে থেকে আমি জেনে নেবো।”
কেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নাম বললেন বিধায়ক? TV9 বাংলাকে উত্তরে তিনি বলেন, “অন্যায়ভাবে যাঁরা চাকরি পেয়েছেন তাঁদের জন্য বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় একজন ত্রাস।” বিধায়ক আরও বলেন, “বিচারপতির নাম প্রতীক হিসেবে ব্যবহার করেছি। কিছু চাকরি তো অন্যায়ভাবে হয়েছেই। আজ তো ফিরহাদ হাকিমও বলছেন সে কথা। তাহলে আমরা আগে কেন উদ্যোগ নিইনি?” তাঁর মতে, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধার্থ শঙ্কর রায় যেভাবে নিজের দলের নেতাদের বিরুদ্ধেই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন, তেমন ব্যবস্থাই নেওয়া উচিত ছিল তৃণমূলের।
এই খবরটিও পড়ুন
তবে দলের সর্বোচ্চ নেতৃত্ব অর্থাৎ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তাঁর কোনও অভিযোগ নেই। দলের একটা অংশ দুর্নীতিতে মদত দিচ্ছে বলেই অভিযোগ তুলেছেন বিধায়ক। প্রয়োজনে আগামী ৭ জানুয়ারি মানুষকে নিয়ে তিনি পথে নামবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, সেই রুনা খাতুন সবটাই অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, “ব্যক্তিগত কুরুচিকর আক্রমণ করতে উনি অভ্যস্ত। আড়াই বছরে বলাগড়ের মানুষ কি ওঁকে দেখতে পেয়েছে?”