Purulia: ‘তৃণমূলের নেতা মন্ত্রী কিছু করলেই চোর, আর…’, ধান কেনা নিয়ে ধুন্ধুমার পুরুলিয়ায় – Bengali News | Clash in village during paddy procurement at purulia
ধান কেনার সময় তুমুল ঝামেলা। Image Credit source: TV9 Bangla
পুরুলিয়া: ন্যায্য মূল্যে ধান কেনাকে কেন্দ্র করে গভীর রাতে তুমুল উত্তেজনা ছড়াল পুরুলিয়ার ঘোঙা গ্রামপঞ্চায়েত এলাকায়। অভিযোগ, সরকারের ঠিক করে দেওয়া মূল্যে চাষিদের কাছ থেকে ধান কেনা হবে। অথচ সেখানে নাক গলাচ্ছে ফড়েরা। এরই প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার রাতে সরব হন স্থানীয় তৃণমূল নেতারা। পুরুলিয়া-২ ব্লকের চরগালির ঘোঙা গ্রামপঞ্চায়েত এলাকায় ওই ধানক্রয় কেন্দ্রে ফড়েদের সুবিধা করে দেওয়ার অভিযোগ তোলেন তাঁরা। শুরু হয় হাতাহাতি। যদিও ধানক্রয় কেন্দ্রের তরফে এই সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করা হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুরুলিয়া মফস্বল থানার পুলিশ।
রাজ্যজুড়ে ধান কেনা শুরু হয়েছে। চাষিদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে বহু জায়গায় গ্রামে গ্রামে ঘুরে ধান কেনা চলছে। অনেকে আবার কিষাণ মান্ডিতে গিয়েও ধান বিক্রি করছেন। ধান কেনার জন্য বৃহস্পতিবার চরগালি গ্রামে সরকারিভাবে ভ্রাম্যমাণ শিবির করা হয়। সেখানে ধান বিক্রির জন্য উপস্থিত হয়েছিলেন স্থানীয় চাষিরা।
স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের অভিযোগ, চাষিদের কাছ থেকে ধান ক্রয় না করে ফড়েদের কাছ থেকে ধান কেনা হচ্ছে। আর তাতে বিপাকে পড়তে হচ্ছে গরিব চাষিদের। ধান কিনতে আসা আধিকারিকের সুরজিৎ পাত্র বলেন, “গ্রামের কয়েকজন এসে বলতে থাকেন কীভাবে ধান বিক্রি করা হচ্ছে তাঁরা বুঝতে পারছেন না। তাই ধান বিক্রি বন্ধ হয়ে যায়। পরে এডিও এসে বলেন চাষিদের অসুবিধা হচ্ছে। ওনাদের ধান নিয়ে নিন। সেটা নিতে গেলেই কয়েকজন এসে হইচই করতে থাকেন। বলেন, ‘এই রাতে কে ধান কেনে? আপনারা ঘুষখোর’। মারামারিও করে। আমার ফোনের স্ক্রিনটাও ভেঙে গিয়েছে। পুলিশকে জানানো হয়েছে।”
এই খবরটিও পড়ুন
স্থানীয় তৃণমূল নেতা তথা জেলা পরিষদের প্রাক্তন কর্মাধ্যক্ষ হলধর মাহাতো বলেন, “সকাল থেকে দেখছি ১৮-২০টা ধানের গাড়ি দাঁড়িয়ে আছে। বড় বড় লরিও এসেছে। অথচ চাষিরা এসে বলছেন, ‘এই ধান ওরা কার কাছ থেকে নিচ্ছে? আমরা তো ধান বিক্রিই করতে পারছি না’। এরপরই আমি বলি তোমরা পঞ্চায়েতকে না জানিয়ে এখানে দাঁড়িয়ে ফড়েদের ধান কিনছ? বলছে চাষিদের থেকে নাকি কিনছে।”
তৃণমূলের দাবি, ন্যায্য মূল্যে চাষিরা ধান বিক্রি করে মকর পরবের আগে যাতে দু’টো পয়সার মুখ দেখতে পারে সেটাই চাইছে সরকার। তাই ভ্রাম্যমাণ ক্যাম্প হচ্ছে। অথচ সেখানে ফড়েদের মাল কিনে নিয়ে যাচ্ছে। হলধর মাহাতোর বক্তব্য, “তৃণমূলের কোনও নেতা মন্ত্রী কিছু করলেই চোর হয়ে যায়। আধিকারিকরা তো ডাকাতি করছে। আমাদের দলকে বদনাম করতে কিছু কিছু আধিকারিক এই কাজ করছেন।” যদিও এ নিয়ে প্রশাসনিক স্তরে কারও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। পেলে তা যুক্ত করা হবে এই প্রতিবেদনে।