প্রার্থী বাছাইয়ে নামল TMC, সব বিধানসভা কেন্দ্র থেকে তথ্য সংগ্রহ করছে দলের সহযোগী সংস্থা
সাংগঠনিক রদবদলের পর এবার আসন্ন বিধানসভা ভোটকে সামনে রেখে প্রার্থী বাছাইয়ের প্রক্রিয়া শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। ইতিমধ্যেই দলের সহযোগী সমীক্ষা সংস্থা ময়দানে নেমে প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্র ধরে তথ্য সংগ্রহ করছে। সূত্রের খবর, শুধু দলীয় নেতাকর্মী নয়, সাধারণ মানুষ, সমর্থক ও স্থানীয় প্রভাবশালী মহলের সঙ্গেও কথা বলা হচ্ছে। মূল লক্ষ্য, কার ভাবমূর্তি সবচেয়ে ইতিবাচক? কে বাস্তবে এলাকার উন্নয়নে ভূমিকা রেখেছেন? আর কে শুধুই পদে থেকেও নিষ্ক্রিয় থেকেছেন, তা যাচাই করা।
আরও পড়ুন: ত্রিপুরায় তৃণমূলের প্রতিনিধি দলকে আটকালো পুলিশ, কড়া হুঁশিয়ারি দিলেন মমতা
পূর্ব বর্ধমান জেলার ১৬টি বিধানসভা কেন্দ্রই বর্তমানে তৃণমূলের দখলে। এবার সেই কেন্দ্রগুলির প্রতিটি বিধায়কের কর্মদক্ষতা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বিস্তারিতভাবে। সহযোগী সংস্থার সদস্যরা স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে ফিডব্যাক নিচ্ছেন। বিধায়ক কতটা কাজ করেছেন, কতটা জনপ্রিয়, এলাকায় সংগঠন কেমন চলছে ইত্যাদি। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে বর্তমান বিধায়কের পাশাপাশি আরও দু’জন সম্ভাব্য প্রার্থীর নামও সংস্থা রাজ্য নেতৃত্বের কাছে জমা দেবে।
সম্প্রতি ব্লক ও শাখা স্তরে রদবদলের সময়ও একইভাবে সমীক্ষা চালানো হয়েছিল। ব্লক সভাপতির তালিকায় তিনজনের নাম পাঠিয়েছিল সংস্থা, পরে রাজ্য নেতৃত্ব বৈঠকে চূড়ান্ত করেছিল নির্বাচন। এবারও সেই একই নীতি অনুসরণ করা হচ্ছে বিধানসভা পর্যায়ে। তৃণমূলের দাবি, এই সাংগঠনিক রদবদলে কোথাও কোনও বিদ্রোহ দেখা যায়নি যা দলের শৃঙ্খলার বড় উদাহরণ বলে মনে করছে নেতৃত্ব। তবে সবই যে মসৃণ নয়, তা-ও স্বীকার করছেন অনেকেই। দলের অন্দরে খবর, জেলার কয়েকজন বিধায়কের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই আর্থিক অনিয়ম, দুর্ব্যবহার এবং নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ জমা পড়েছে। কেউ কেউ নিজের এলাকা থেকে বিচ্ছিন্ন, আবার কারও নাম জড়িয়েছে বেআইনি ব্যবসার সঙ্গে। এইসব কেন্দ্রেই নতুন মুখ আনার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি বলে ইঙ্গিত মিলেছে। প্রার্থী বাছাইয়ে সহযোগী সংস্থার রিপোর্টের পাশাপাশি দলের নিজস্ব গোয়েন্দা রিপোর্টও গুরুত্ব পাবে।