মধুর ভান্ডারকরের চোখরাঙানি, তবে কি বন্ধ হয়ে যাবে ‘চাঁদনী বার রিটার্নস’-এর শুট? – Bengali News | Madhur Bhandarkar objects to Chandni Bar Returns
২০০১ সালের জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র ‘চাঁদনী বার’-এর কথা কার না মনে আছে। তবে সেই ছবি দীর্ঘ ২৪ বছর পর আবার কেন চর্চায়? কারণ ছবির সিক্যুয়েল। তৈরি হচ্ছে ‘চাঁদনী বার রিটার্নস’ (Chandni Bar Returns)। আর এই নিয়েই বলিউডের অন্দরে এবার শুরু তীব্র আইনি দ্বন্দ্ব। মূল ছবির পরিচালক মধুর ভান্ডারকর দাবি করেছেন, ‘চাঁদনী বার’ শিরোনামটি তাঁর মস্তিষ্কপ্রসূত। ফলে তাঁর অনুমতি ছাড়া এই নামে কোনও নতুন ছবি বানানো আইনত বেআইনি। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে ইন্ডিয়ান মোশন পিকচার প্রডিউসারস অ্যাসোসিয়েশন (IMPPA) প্রাথমিকভাবে ছবির কাজ থামাতে ইতিমধ্যেই নির্দেশ দিয়েছে।
‘চাঁদনী বার রিটার্নস’ প্রযোজকদের কী বক্তব্য?
এই অভিযোগের পাল্টা জবাব দিয়েছেন ‘চাঁদনী বার রিটার্নস’-এর প্রযোজক সন্দীপ সিং এবং তাঁর প্রোডাকশন হাউস লেজেন্ড স্টুডিওস। তাঁদের দাবি, ছবির নাম ব্যবহার করার সমস্ত আইনগত অধিকার তাঁদের আছে। স্টুডিয়ো জানিয়েছে, প্রয়াত প্রযোজক আর. মোহনের স্ত্রী লতা মোহন আইয়ারের কাছ থেকে তাঁরা এই টাইটেলের স্বত্ত্ব অধিগ্রহণ করেছেন। এমনকি ভারত সরকারের ট্রেডমার্ক রেজিস্ট্রিতেও লতা মোহন আইয়ারকেই এই শিরোনামের মালিক হিসেবে দেখানো হয়েছে।
সহ-প্রযোজক বিশাল গুন্নানি বলেন, “ছবির মূল প্রযোজকদের কাছ থেকে আমরা আইনি অনুমতি পেয়েছি। আমাদের আইনজীবীরা ইতিমধ্যেই ট্রেড অ্যাসোসিয়েশনগুলিকে জবাব দিচ্ছেন।”
মুক্তির পথে ‘চাঁদনী বার রিটার্নস’?
এই আইনি বিতর্কের মাঝেও প্রযোজকেরা জানিয়ে দিয়েছেন, ‘চাঁদনী বার রিটার্নস’ শুটিং থেমে থাকছে না। অজয় বাহল পরিচালিত এই সিক্যুয়েল মুক্তি পাবে ৩ ডিসেম্বর, ২০২৬ সালে। এখানে মূল গল্পের আবেগকে বিন্দুমাত্র নষ্ট না করেই নতুন ছাঁচে-নতুন ধাঁচে চিত্রনাট্য লেখা হয়েছে। লেজেন্ড স্টুডিওসের দাবি, তাঁরা ২০০১ সালের এই ক্লাসিক ছবির প্রতি সম্মান জানিয়ে এবং সম্পূর্ণ সৎপথেই এই ছবি তৈরি করছেন। এখন দেখার, আদালত বা সংশ্লিষ্ট সংস্থা কী সিদ্ধান্ত নেয়, এবং কবে আবার এই ছবির কাজ শুরু হয়।