Supreme Court: একের পর এক বন্দির মৃত্যু, থানায় অকেজো সিসিটিভি কেন? স্বপ্রণোদিত মামলা সুপ্রিম কোর্টের – Bengali News | Death of prisoners one after another, why CCTV in police station is not functional, Supreme Court takes suo motu PIL
সারা দেশ জুড়ে অসংখ্য পুলিশ থানায় এখনও নেই সিসিটিভি ক্যামেরা। কিংবা ক্যামেরা থাকলেও তা কাজ করে না ঠিক করে। এদিকে থানার মধ্যেই মৃত্যু ঘটছে কয়েদিদের। তদন্ত করতে গিয়ে দেখা যাচ্ছে থানাতেই সিসিটিভি ক্যামেরা অকেজ। এই বিষয়ে নড়েচড়ে বসল দেশের সর্বোচ্চ আদালত। সুপ্রিম কোর্ট বৃহস্পতিবার ৪ সেপ্টেম্বর স্বপ্রণোদিতভাবে জনস্বার্থ মামলা (PIL) শুরু করেছে। দেশের বিভিন্ন থানায় কার্যকর সিসিটিভি ক্যামেরা না থাকার বিষয়টি নিয়ে প্রকাশিত এক সংবাদপত্রের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এই মামলা শুরু করেছে সর্বোচ্চ আদালত। বিচারপতি বিক্রম নাথ এবং সন্দীপ মেহতার বেঞ্চ জনিয়েছেন, কেবলমাত্র রাজস্থানেই গত ৭–৮ মাসে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে পুলিশ হেফাজতে। এই পরিস্থিতি বিচারপতিদের তাৎক্ষণিক হস্তক্ষেপ করতে বাধ্য করেছে।
প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্ট এর আগেই, ২০২০ সালে, সারা দেশের সব থানায় নাইট ভিশন এবং অডিও সুবিধাযুক্ত সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো বাধ্যতামূলক ঘোষণা করেছিল। ঐতিহাসিক রায়ে বলা হয়েছিল, প্রতিটি রাজ্য সরকার ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে থানার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে—যেমন লক-আপ, জেরা কক্ষের মতো জায়গায় কার্যকর সিসিটিভি কভারেজ নিশ্চিত করতে হবে। আদালত আরও নির্দেশ দিয়েছিল, ক্যামেরার ফুটেজ অন্তত ১৮ মাস সংরক্ষণ করে রাখতে হবে। পুলিশ হেফাজতে নির্যাতন বা মৃত্যুর ঘটনায় তদন্তের সময় তা যাতে সহজে পাওয়া যায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও বহু থানায় এখনও কার্যকর সিসিটিভি ক্যামেরা নেই বা ফুটেজ পাওয়া যায় না। এর ফলে তদন্ত ও দায়বদ্ধতার ক্ষেত্রে বড় প্রতিবন্ধকতা তৈরি হচ্ছে। পুলিশ হেফাজতে ঘটে যাওয়া নির্যাতন বা মৃত্যুর ঘটনায় তদন্তে নেমেও পাওয়া যায় না কোনও ফুটেজ। ফে ব্যহত হয় মামলাগুলির বিচারপ্রক্রিয়া। সুপ্রিম কোর্টের এই স্বপ্রণোদিত পদক্ষেপ কার্যকর বাস্তবায়ন এবং নজরদারির ঘাটতিকে সামনে নিয়ে এসেছে বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের।
আদালত আরও স্মরণ করিয়ে দিয়েছে যে, সিসিটিভি ক্যামেরা কেনা, বসানো এবং রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় তদারকি কমিটি রয়েছে। আদালত এও বলেছে যে, গুরুতর আঘাত বা হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনায় ভুক্তভোগী বা তাঁর পরিবার মানবাধিকার কমিশন বা আদালতের দ্বারস্থ হতে পারবেন, যাঁদের ক্ষমতা রয়েছে তদন্তের স্বার্থে সিসিটিভি ফুটেজ তলব ও সংরক্ষণ করার।
এই স্বপ্রণোদিত PIL নিবন্ধনের মূল উদ্দেশ্য হল থানায় সিসিটিভি স্থাপনের আইন কঠোরভাবে কার্যকর করা। যাতে স্বচ্ছতা বাড়ে এবং পুলিশ হেফাজতে বেআইনি নির্যাতনকে প্রতিরোধ করা যায়। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে এই বিষয়ে অগ্রগতি বিশেষভাবে পর্যবেক্ষণ করবে তারা। রাজ্যগুলির কাছ থেকে অবিলম্বে সিসিটিভি ঘাটতি পূরণের কর্মপরিকল্পনা চাইবে বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের।