‘‌২১৫-র বেশি আসন…’‌, বিধানসভা নির্বাচনের লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিলেন অভিষেক, মিলবে?, বাংলার মুখ - 24 Ghanta Bangla News
Home

‘‌২১৫-র বেশি আসন…’‌, বিধানসভা নির্বাচনের লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিলেন অভিষেক, মিলবে?, বাংলার মুখ

আজ, বৃহস্পতিবার তৃণমূল কংগ্রেসের বিরাট সভা নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে। আর তার জেরে সকাল থেকেই দলে দলে কর্মী–সমর্থকরা ভিড় করেছেন। আর এখান থেকে একদিকে বিজেপিকে হারানোর সংকল্প অপরদিকে ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এবার লক্ষ্য স্থির করে দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কদিন আগে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, বিধানসভা নির্বাচনে দুই–তৃতীয়াংশ ভোটে জিতে ক্ষমতায় আসবে তৃণমূল কংগ্রেস। এবার সেটা ছাড়িয়ে লক্ষ্যমাত্রা স্থির করে দিলেন অভিষেক।

এদিকে আজ নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম কানায় কানায় ভরে গিয়েছে। আর তার মধ্যেই দলের নেতা–কর্মীদের কাছে লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ভরা মঞ্চ থেকে ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ বলেন, ‘‌বিজেপি অনেক চক্রান্ত আগে করেছে। আর সন্দেশখালি থেকে শুরু করে আরজি কর হাসপাতালের ঘটনা নিয়ে বাংলাকে কুলষিত করতে চেয়েছে। এবার আবার চক্রান্ত শুরু করেছে। বাংলার মানুষ আগেও জবাব দিয়েছে। এবারও দেবে। ওদের এত কিছুতেও কোনও শিক্ষা হয়নি। তাই এবার এলাকায় ফিরে গিয়ে এখন থেকেই কাজে নেমে পড়ুন। মনে রাখতে হবে আগের থেকে অনেক বেশি আসনে বিজেপিকে হারাতে হবে।’‌

আরও পড়ুন:‌ ‘‌ভবিষ্যতে কলকাতা লন্ডনের থেকেও উন্নত হবে’‌, বাজেট অধিবেশনের শেষ দাবি মেয়রের

অন্যদিকে একশো দিনের কাজ, আবাস যোজনার টাকা কেন্দ্রীয় সরকার দেয়নি। কিন্তু রাজ্য সরকার সেই টাকা দেওয়ার কথা দিয়েছিল এবং দিয়েছে। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার থেকে শুরু করে পথশ্রী প্রকল্পে বিপুল টাকা খরচ করেছে রাজ্য সরকার বলে দাবি করেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। তাই তাঁর বক্তব্য, ‘‌কদিন আগে বিধানসভা থেকে আমাদের মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন ২০২৬ সালের নির্বাচনে দুই তৃতীয়াংশ আসন নিয়ে ক্ষমতায় আসবে তৃণমূল কংগ্রেস। তার মানে ১৯৫ থেকে ২০০ আসন। কিন্তু আমি বলছি, সেটা ছাপিয়ে ২১৫ আসনের বেশি আসন নিয়ে আসতে হবে। তার জন্য এখন থেকেই কাজ করতে হবে।’‌

এছাড়া দলের নেতা–কর্মীদের সতর্ক করেছেন অভিষেক। একইসঙ্গে বিজেপি নেতাদের তোপ দেগেছেন তিনি। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, ‘‌বারবার এদের ল্যাজেগোবরে করে ছেড়েছি। এবারও তা করতে হবে। দলের কোনও টাউন চেয়ারম্যান, বিধায়ক বা সাংসদ যাঁরা দলবিরোধী কথা বলছেন তাঁরা আসলে দলকেই নীচু করছেন। তাঁদের চিহ্নিত করা হচ্ছে। যেমন মুকুল রায়, শুভেন্দু অধিকারীদের আমি চিহ্নিত করেছিলাম। আমি দলের অন্দরে থাকা বিশ্বাসঘাতকদের চিহ্নিত করার দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিলাম। কেউ ছাড় পাবেন না। দলের বিরুদ্ধে কথা বলায় এবং নিজের ক্ষমতা প্রদর্শন করার ক্ষেত্রে তাঁদের চিহ্নিত করা আরও সহজ হয়েছে।’‌

Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *