Bangladesh Turmoil: হাসিনার মতো পরিণতি হবে রাষ্ট্রপতিরও? রাতভর বিক্ষোভ-পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ, ফের উত্তপ্ত ঢাকা – Bengali News | Will Bangladesh’s President Mohammed Shahabuddin Chuppu’s Fate be Same like Sheikh Hasina? Protest Erupted over Demands of His Resignation, Cancellation of Constitution
আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ।Image Credit source: X
ঢাকা: শেখ হাসিনার মতোই পরিণতি হবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মহম্মদ সাহাবুদ্দিন চুপ্পুরও? প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে হাসিনার ইস্তফা নিয়ে বিতর্ক উসকে দিতেই রাষ্ট্রপতির উপরে ক্ষাপ্পা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। এবার রাষ্ট্রপতির বাসভবনেই চড়াও হল আন্দোলনকারীরা। তাদের দাবি, বাতিল করতে হবে সংবিধান। ইস্তফা দিতে হবে রাষ্ট্রপতিকে। মোট ৫ দফা দাবি জানিয়েছে আন্দোলনকারীরা। সময় দেওয়া হয়েছে ৭ দিন।
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সন্ধ্য়া থেকেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ঢাকা। রাষ্ট্রপতির বাসভবনের বাইরে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু হয়। রাত গড়াতেই শয়ে শয়ে বিক্ষোভকারীরা বঙ্গভবনের ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করে। তাদের আটকাতে নামে পুলিশ ও সেনাবাহিনী। দুই পক্ষের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ বাধে। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, পুলিশ লাঠিচার্জ ও গ্রেনেড ছুড়েছে। বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন সংঘর্ষে।
Violence has erupted once again in Bangladesh, this time with students and protesters demanding the resignation of the President. #Bangladesh
Violent protests continue at Bangabhaban in Dhaka.
Scuffles between police and security personnel.
Protesters blocked Gulistan Road… pic.twitter.com/QISEV9BNnN
— Ashoke Raj (@Ashoke_Raj) October 22, 2024
পরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা হাসনাত আবদুল্লা ও সারজিস আলম এসে পরিস্থিতি সামাল দেন। জানান, সংবিধান বাতিল, রাষ্ট্রপতির ইস্তফা, আওয়ামি লীগের ছাত্র সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা সহ ৫ দফা দাবি রয়েছে তাদের। রাষ্ট্রপতি পদ থেকে অবিলম্বে ইস্তফা দিতে হবে চুপ্পুকে। আগামী ৩ দিনের মধ্য়েই নতুন রাষ্ট্রপতি বাছাই করা হবে এবং ৭ দিনের মধ্যে তাঁকে পদে বসানো হবে।
অন্তর্বর্তী সরকার সূত্রে খবর, আপাতত দেশের বাইরে রয়েছেন সেনাপ্রধান। আগামী ২৫ অক্টোবর তিনি বাংলাদেশে ফিরবেন। তারপরই এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, চলতি সপ্তাহেই বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন চুপ্পু বলেছিলেন যে শেখ হাসিনার প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার কোনও নথিভুক্ত প্রমাণ বা প্রামাণ্য দলিল নেই। এরপরই জল্পনা, বিতর্ক শুরু হয়। তারপর থেকেই রাষ্ট্রপতির ইস্তফার দাবিতে সরব হয়েছে ছাত্র আন্দোলনকারীরা।