হকার উচ্ছেদের প্রতিবাদে রেলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ-অবরোধ করল বিজেপি, বাংলার মুখ

অবৈধ দখলদারির বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছে রেল। হাওড়া-বর্ধমান মেন লাইনের দেবীপুর স্টেশনেও বেশ কয়েকজন হকারকে কয়েক মাস আগে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তারই প্রতিবাদে এবার পথে নামলেন বিজেপি কর্মীরা। শনিবার দলীয় পতাকা নিয়ে দেবীপুর স্টেশনে রেল অবরোধ করেন কয়েকশো বিজেপি কর্মী সমর্থক। তাদের বক্তব্য, গরিব মানুষের স্বার্থে আঘাত লাগে এমন কাজকে তারা কখনও সমর্থন করবে না। তাদের সঙ্গে বিক্ষোভে যোগ দেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরাও। এর ফলে ট্রেন চলাচল সাময়িকভাবে ব্যাহত হয়।
আরও পড়ুন: হকার উচ্ছেদ অভিযানকে কেন্দ্র করে তুলকালাম কাণ্ড বিরাটি স্টেশনে, রেল অবরোধ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দেবীপুর স্টেশনের কাছে রেল গেট সংলগ্ন এলাকায় আগে ৮০টির মতো দোকান ছিল। তবে মাসখানেক আগে সেই দোকানগুলিকে সরিয়ে দেয় রেল। এতদিন সেই জায়গাটি ফাঁকা ছিল। ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছিল জায়গাটি। তবে সম্প্রতি সেখানে একটি টোটো স্ট্যান্ড হয়েছে। আর তাতেই ক্ষেপে ওঠেন ব্যবসায়ীরা। তাদের বক্তব্য, যদি রেলের জায়গায় টোটো দাঁড়াতে পারে তাহলে তারা কেন ব্যবসা করতে পারবেন না। সেই দাবিতেই এদিন রেল অবরোধ করা হয়।
স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের বক্তব্য, আরপিএফ এবং রেলের আধিকারিকরা তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। আধিকারিকদের কাছে ব্যবসায়ীরা নিজেদের দাবি-দাওয়া জানিয়েছেন। এ বিষয়ে আধিকারিকরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন। সেই আশ্বাস পাওয়ার পরেই অবরোধ তুলে নেওয়া হয়। জানা গিয়েছে, প্রায় আধ ঘণ্টা ধরে রেল অবরোধ চলে। এর ফলে দুটি বর্ধমান লোকাল লাইনে দাঁড়িয়ে পড়ে। দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা।
ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, এই জায়গায় কেউ ৪০ বছর ধরে আবার কেউ ২০ বছর ধরে ব্যবসা করছেন। এই ব্যবসা থেকেই তাদের সংসার চলে। কিন্তু, ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এখন তারা চরম সমস্যার মধ্যে পড়েছেন। তারা আরও জানান, এর জন্য তারা রেলকে টাকাও দিতেন। কিন্তু, এখন টোটো স্ট্যান্ড করা হয়েছে। কীভাবে তাদের পেট চলবে? তাই নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন ব্যবসায়ীরা। যদিও রেলের স্পষ্ট বার্তা কোনওভাবেই অবৈধ দখলদারি মেনে নেওয়া হবে না। এ বিষয়ে পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক দীপ্তিময় দত্ত জানিয়েছেন, রেলের জায়গায় অবৈধভাবে দখল করে ব্যবসা করা যাবে না। এ বিষয়ে আদালতের স্পষ্ট নির্দেশ রয়েছে। রেলের জায়গা দখল করে যারা দিনের পর দিন ব্যবসা করছেন নিজে থেকে সরে না গেলে তাদের সরিয়ে দেওয়া হবে এবং দখলমুক্ত করা হবে।