‘আলাদিন’-কে বোতলবন্দি করে সিংহগর্জন ইস্টবেঙ্গলের, দুরন্ত গোল দিয়ামান্তাকোসের
Last Updated:
লড়াইটা ছিল নিজেদের সঙ্গেই, পিছিয়ে পড়া মানসিকতা ঝেড়ে ফেলে জয়ের পথ খুঁজে বেড়াচ্ছিল লাল-হলুদ শিবির। অবশেষে শাপমোচন ঘটল, ফের জ্বলে উঠল মশাল। কুড়ি দিনের বিরতি শেষে জয় ছিনিয়ে নিতে চেষ্টার কোনও খামতি রাখেননি ইস্টবেঙ্গল কোচ অস্কার ব্রুজো।
ম্যাচের ফলাফল-
ইস্টবেঙ্গল-১ নর্থইস্ট- ০
কলকাতা: লড়াইটা ছিল নিজেদের সঙ্গেই, পিছিয়ে পড়া মানসিকতা ঝেড়ে ফেলে জয়ের পথ খুঁজে বেড়াচ্ছিল লাল-হলুদ শিবির। অবশেষে শাপমোচন ঘটল, ফের জ্বলে উঠল মশাল। কুড়ি দিনের বিরতি শেষে জয় ছিনিয়ে নিতে চেষ্টার কোনও খামতি রাখেননি ইস্টবেঙ্গল কোচ অস্কার ব্রুজো। ফুটবলাররাও যোগ্য সঙ্গত দিয়েছেন। বৃহস্পতিবারের সাংবাদিক বৈঠকে ব্রুজোঁ জানিয়েই দিয়েছিলেন যে নর্থ-ইস্টের বিরুদ্ধে তিনি শুরু থেকেই আক্রমণ করবেন। তারই ঝলক দেখা গেল যুবভারতীর সন্ধ্যায়। একের পর এক আক্রমণে নর্থইস্টের বিরুদ্ধে ১-০ গোলে জয় ছিনিয়ে নিল লাল-হলুদ শিবির। ম্যাচের প্রথমার্ধের ২৩ মিনিটের মাথায় দিমিত্রিয়স দিয়ামান্তাকোসের দুরন্ত হেডে ১ গোলে এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল৷ মাদি তালালের বাড়ানো ক্রস থেকে নিখুঁত হেডে দলকে এগিয়ে দেন তিনি।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির বৈঠকে বাংলাদেশ ইস্যু? বড় সিদ্ধান্ত পাক বোর্ডের
বিপক্ষে আলাদিনের আজরাইয়ের মতন তুখোড় ফুটবলার থাকলেও এই ম্যাচে বারবার নজর কেড়েছেন লাল-হলুদ ফুটবলাররাই। বিশেষ করে পিভি বিষ্ণু এই ম্য়াচে বারবার নজর কাড়লেন। এই ম্যাচে কোনও গোল করতে না পারলেও বেশ কয়েকটা সুযোগ তৈরি করেছিলেন তিনি। বিশেষ করে ম্য়াচের ৪০ মিনিটে বক্সের মধ্যে ওরামের সঙ্গে একটা বল দখলের লড়াইয়ে নেমেছিলেন বিষ্ণু। শেষ পর্যন্ত অবশ্য বলটা কাড়তে পারেননি তিনি। কিন্তু, তাঁর লড়াকু মানসিকতা সকলের নজর কাড়ল।
আরও পড়ুন: বাড়িতে রয়েছে ৩ মেয়ে, ক্রিকেট খেলতে এসে বাবা-র আর বাড়ি ফেরা হল না, কী হল মাঠে
পাশাপাশি নর্থ-ইস্ট ইউনাইটেডের বিরুদ্ধেও এই ম্যাচে নিজের প্রতিভার প্রতি সুবিচার করলেন লাল-হলুদ গোলরক্ষক প্রভসুখন গিল। নর্থ-ইস্টের ফুটবলার আলাদিন আজরাইয়ের বেশ কয়েকটা সুযোগ তৈরি করার চেষ্টা করলেও, প্রতিবারই তিনি লাল হলুদের রক্ষণের শেষ অতন্দ্র প্রহরীর মতন ছিলেন। ফলে, গোলমুখ খুলতে পারেনি নর্থইস্ট।
যদিও এই ম্যাচে আক্রমণ শানিয়েছে নর্থইস্টও। আলাদিনের কাছেও সুযোগ আসে। কিন্তু তাঁর একটি হেড বারে লেগে প্রতিহত হয়। ফিরতি বলটিকেও কাজে লাগাতে পারেননি তিনি। অন্যদিকে, ইস্টবেঙ্গলের রক্ষণভাগ আগের থেকে মজবুত হলেও ফাঁকফোকর নিয়ে চিন্তা রয়েই গেল। হেক্ট ইউয়েস্তে চোট সারিয়ে ফিরলেও রক্ষণ ভাগ নিয়ে চিন্তা থাকবে। বিশেষ করে জিতিন এম এসের দৌড় একটা সময়ে বিপদে ফেলছিল ইস্টবেঙ্গলকে। তবে সেক্ষেত্রে ত্রাতা হয়ে ওঠেন লাল হলুদের শেষ প্রহরী গিল।
ম্যাচের শেষদিকে ইস্টবেঙ্গলের কাজ আরও সহজ হয়ে যায় যখন নর্থইস্টের বেমাম্ম ৭২ মিনিটে লাল কার্ড দেখেন। কিন্তু, সেই আনন্দ বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। ৮৭ মিনিটে লাল কার্ড দেখেন ইস্টবেঙ্গলের চুংনুঙ্গাও। শেষ ১০ মিনিটে দশজনে খেলে দুদলই। তখন আবার চাপ বাড়ায় নর্থইস্ট। একের পর এক ক্রস আছড়ে পড়ে লাল-হলুদের পেনাল্টি বক্সে। কিন্তু কাজের কাজটি করতে পারেনি নর্থইস্ট। দিয়ামান্তোকোসের গোলই শেষ পর্যন্ত ব্যবধান গড়ে দেয়। এই জয়ের ফলে ৮ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট হল ইস্টবেঙ্গলের। তবে লিগ টেবিলের শেষ অবস্থানটা বদলায়নি। তবে, অনেক ফুটবলপ্রেমীদের কাছে এটাই ইস্টবেঙ্গলের ‘টার্নিং পয়েন্ট’।
Kolkata [Calcutta],Kolkata,West Bengal
November 29, 2024, 9:57 PM IST