Kashmir: কাশ্মীরে চলছে কয়েক হাজার কোটির প্রজেক্ট, রাহুল গান্ধীর মন্তব্যে পাল্টা তথ্য দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী – Bengali News | Rahul Gandhi has no idea about power situation of Jammu and Kashmir, says minister g kishan reddy
কাশ্মীর: রাহুল গান্ধী জম্মু ও কাশ্মীরের পরিস্থিতি নিয়ে যে দাবি করেছেন, তা অস্বীকার করে পাল্টা তথ্য দিলেন কেন্দ্রীয় কয়লামন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডি। তাঁর পাল্টা প্রশ্ন, শুধু রাহুল গান্ধী নন, পূর্বের তিন প্রধানমন্ত্রীও জানতেন জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ১৮,০০০ মেগাওয়াট হাইড্রোপাওয়ার উৎপন্ন করা সম্ভব। কিন্তু কেন এতদিনেও তা করা হল না? তাঁর দাবি, স্বাধীনতার পর থেকে মাত্র ১,১৯৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপন্ন করেছিল জম্মু ও কাশ্মীরের সরকার। আর মোদী সরকার ২০২৫-২৬-এর মধ্যে ৩,১০৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপন্ন করার পরিকল্পনা করেছেন।
২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে জম্মু ও কাশ্মীরের সরকার বিদ্যুৎ কেনার জন্য মোট ৯৫০০ কোটি টাকা খরচ করেছিল। জম্মু ও কাশ্মীর পাওয়ার কর্পোরেশন লিমিটেডের মাধ্যমে সেই বিদ্যুৎ কেনা হয়েছিল। জম্মু ও কাশ্মীরে বিদ্যুতের ঘাটতি অনেকটাই কমে গিয়েছে বলেও জানিয়েছেন মন্ত্রী। ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে যে ঘাটতি ছিল ১৭.৮ শতাংশ, ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে সেই ঘাটতি কমে হয় ৭.৫ শতাংশ।
মন্ত্রী বলেছেন, “রাহুল গান্ধী নির্বাচনের সময় সফর করেন কেবলমাত্র। তথ্য যাচাই না করেই কথা বলেন তিনি। রাহুল গান্ধী যেহেতু বারবার ভোটে হেরে যাচ্ছেন, তাই তাঁর মিথ্যা কথার বহর আরও বাড়ছে।”
কিষেণ রেড্ডি আরও বলেন, “সম্প্রতি আমেরিকা সফরে গিয়ে রাহুল গান্ধী আবারও ভারতের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছেন। দেশ সম্পর্কে নেতিবাচক ভাবমূর্তি তৈরি করেছেন, ভিত্তিহীন দাবি করেছেন। এইভাবে তথ্য বিকৃত করে দেশের উন্নয়নে আঘাত করা হয়েছে বলেও দাবি করেছেন তিনি।”
একইসঙ্গে কাশ্মীর সফরে গিয়ে বিদ্যুৎ নিয়ে যে তথ্য দিয়েছেন রাহুল গান্ধী, তা ভুল বলেও দাবি মন্ত্রীর। উপত্যকায় গিয়ে তিনি দাবি করেছেন, কাশ্মীর থেকে বিদ্যুৎ দেশের বিভিন্ন জায়গায় গেলেও কাশ্মীরের মানুষকে বিদ্যুতের জন্য অনেক বেশি দাম দিতে হচ্ছে। এটা পুরোপুরি ভুল বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী। তাঁর দাবি, কংগ্রেস সরকারের আমলে বারবার কাশ্মীর বিদ্যুৎ উৎপাদনের বিষয়টিকে অবজ্ঞা করা হয়েছে।
মন্ত্রী জানিয়েছেন, ২০২৬ সালে ১০,৬১৪ মিলিয়ন ইউনিট এনার্জি উৎপাদন করা হবে কাশ্মীরে। তার জন্য নতুন প্রজেক্টও চলছে। এর মধ্য়ে রয়েছে ৮,১১২ কোটি টাকার পাকালদুল প্রজেক্ট, ৫,২৮২ কোটির রাতলে প্রজেক্ট, ৪,২৮৭ কোটির কিরু প্রজেক্ট, ৪,৫২৬ কোটির কুয়ার প্রজেক্ট।