Averts potential train accident: রেললাইন উধাও, এগিয়ে আসছে ট্রেন, বিপদ বুঝে ঝাঁপিয়ে পড়লেন জওয়ানরা


ইম্ফল: মঙ্গলবার ঝাড়খণ্ডের চক্রধরপুরের কাছে লাইনচ্যুত হয়েছে হাওড়া থেকে মুম্বইগামী সিএসএমটি মেল। মৃত্যু হয়েছে ২ জনের। এদিন আরও একটি ট্রেন দুর্ঘটনার মুখে পড়ত পারত। সেনা জওয়ানদের তৎপরতা এড়ানো গেল সম্ভাব্য সেই ট্রেন দুর্ঘটনা। ঘটনাটি ঘটেছে মণিপুরের নুনিতে। ভারতীয় সেনা জওয়ানদের তৎপরতা দুর্ঘটনা থেকে বাঁচল একটি পণ্যবাহী ট্রেন এবং তাতে থাকা কর্মীরা।
উত্তর-পূর্ব ভারতের মণিপুর এবং সংলগ্ন এলাকায় গত কয়েক দিন ধরে লাগাতার বৃষ্টি হচ্ছে। তাতেই বহু গ্রাম এবং এলাকা জলমগ্ন। প্রবল বৃষ্টিপাতে রেল লাইনের প্রায় ৩০০ মিটার অংশ সম্পূর্ণ ভেসে চলে যায়। অর্থাৎ, ট্র্যাক বলতে কিছুই ছিল না। অথচ, স্থানীয় রেল প্রশাসনের আধিকারিকদের কাছে সেই খবরই ছিল না। এদিকে নির্ধারিত সময় অনুযায়ী খোঙ্গসাংয়ের দিকে একটি মালগাড়ি আসছিল। যার গতি ঘণ্টায় ৪৫ কিমি ছিল। ওই পণ্যবাহী রেকটিতে মোট ২১টি ওয়াগন ছিল। তাতে উত্তর-পূর্ব ভারতের মানুষের জন্য বিপুল পরিমাণ চাল যাচ্ছিল। এছাড়াও, মাল গাড়িতে একাধিক মানুষজন ছিলেন। মূলত, চাল চুরি আটকাতে এই ধরনের রেকগুলিতে রেলের কর্মী এবং অন্যদের তোলা হয়। তাঁদের কাছেও খবর ছিল না যে গোটা ট্র্যাক লাইন ভ্যানিশ হয়ে গিয়েছে। নিজের গতিতেই মালগাড়িটি এগিয়ে আসছিল। এদিকে, উপদ্রুত এলাকা হওয়ায় ওই অংশে ভারতীয় সেনার জওয়ানরা টহল দিচ্ছিলেন। তাঁদের নজরে আসে পি২/টি১৪ এবং পি১/টি১৫ এর মাঝে একটি সুড়ঙ্গ রয়েছে পাহাড়ের মধ্যে থেকে। সেখানে লোহার ট্র্যাক বা লাইন সম্পূর্ণ উধাও। সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় ৩২০ মিটার অংশ এই অবস্থা হয়েছিল। সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা স্থানীয় রেল প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেন। কিন্তু বিপর্যয়ের কারণে সেই যোগাযোগ তাঁরা করতে পারেননি। এরপরই খোঙ্গসাং থেকে জিরিবাম পর্যন্ত ভারতীয় সেনারা মোতায়েন হয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে কিছু দূরে কাম্বিরন বলে একটি জায়গায় দ্রুত সেনা পৌঁছে ওই মালগাড়িটিকে আটকায়। এরপর রেল প্রশাসনের কাছে খবর যায়।
ইতিমধ্যেই ওই লাইন অংশ সম্পূর্ণ ঘিরে দেওয়া হয়। খবর পাঠানো হয় ওই লাইন দিয়ে সম্পূর্ণ ট্রেন বন্ধ রাখার জন্য। এরপর রেলের আধিকারিক থেকে কর্মীরা গিয়ে মেরামতের কাজ শুরু করেন। এই ঘটনায় রেলের তরফে ভারতীয় সেনাদের ধন্যবাদ জানানো হয়। চক্রধরপুরের থেকেও এই ঘটনা আরও বড় হতে পারত বলেই রেল মন্ত্রকের কর্তারা মনে করছেন। কারণ লাইন না থাকায় গোটা ট্রেনটি পাহাড়ের উপর থেকে নিচে পড়ে যেত। তাতে বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটত বলে মনে করছেন রেল মন্ত্রকের কর্তারা।