Acne prone Skin: আয়নার সামনে দাঁড়ালে মন খারাপ হয়ে যায়? এই ৪ টিপস মানলে কমবে ব্রণ হওয়ার প্রবণতা – Bengali News | Follow these 4 Tips to take care of your acne prone skin

তৈলাক্ত ত্বকেই শুধু ব্রণ হয়—এই ধারণা কিন্তু ভুল। অয়েলি স্কিন ব্রণ হওয়ার প্রবণতা বেশি। তবে, সেনসিটিভ বা সংবেদনশীল ত্বকেও ব্রণ হয়। নরম্যাল ত্বকেও মাঝেমধ্যে ব্রণ দেখা দেয়। ত্বক যেমনই হোক, ব্রণ হলে বিশেষ যত্নের দরকার পড়ে। ব্রণ-প্রবণ ত্বকের খেয়াল না রাখলে ত্বকের সমস্যা বাড়বেই। সাধারণত ভাল করে ত্বক পরিষ্কার করলে, নিয়মিত ত্বক ময়েশ্চারাইজ করলেই ব্রণর সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। কিন্তু এরপরও বিশেষ যত্ন নিতে হয় ব্রণ প্রবণ ত্বকের।
সাধারণত ৫ থেকে ৭ দিনের মধ্যে ব্রণ মিলিয়ে যায়। আবার কারও আরও বেশি সময় নেয়। আপনার ত্বকে যদি ব্রণ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে, সেক্ষেত্রে আরও সাবধানতা অবলম্বন করা দরকার। যেমন তেল-মশলাদার খাবার, চিনির তৈরি এড়িয়ে চলা উচিত, তেমনই টি ট্রি অয়েল ও অ্যালোভেরার মতো প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করতে হবে। এছাড়া আর কী-কী বিষয় মেনে চললে দ্রুত ব্রণর হাত থেকে পরিত্রাণ মিলবে দেখে নিন।
স্যালিসিলিক অ্যাসিড যুক্ত ক্লিনজার: যে কোনও ত্বকের যত্ন নেওয়ার প্রথম ধাপই হল মুখ পরিষ্কার করা। ব্রণ উৎপাদনকারী ব্যাকটেরিয়া পরিষ্কার করার জন্য স্যালিসিলিক অ্যাসিড যুক্ত ক্লিনজার ব্যবহার করুন। মাত্র ৩ দিনের মধ্যে মসৃণ ত্বক পাবেন। এই ধরনের ক্লিনজার ব্রণর পাশাপাশি মৃত কোষের সমস্যাও দূর করে।
এই খবরটিও পড়ুন
টোনার: ব্রণ প্রবণ ত্বকেও টোনার ব্যবহার করা জরুরি। এমন টোনার ব্যবহার করুন, যার মধ্যে 4% PHA, ভিটামিন বি৩-এর মতো উপাদান রয়েছে। এই ধরনের টোনার ত্বককে এক্সফোলিয়েট করে, রোমকূপের মুখ বন্ধ করে এবং ত্বক থেকে অতিরিক্ত তেল পরিষ্কার করে এবং ত্বককে হাইড্রেটেড রাখে।
সিরাম: ত্বক পরিষ্কারের জন্য স্যালিসিলিক অ্যাসিড যুক্ত ক্লিনজার ব্যবহার করুন। পাশাপাশি স্যালিসিলিক অ্যাসিড যুক্ত সিরামও মাখুন। এতে সহজেই ব্রণর সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন। স্যালিসিলিক অ্যাসিড হল এমন একটি উপাদান, যা ব্রণর সঙ্গে লড়াই করতে সাহায্য করে। যদি ক্লিনজারে এই উপাদান না থাকে, তাহলে অবশ্যই সিরাম হিসেবে এটি ব্যবহার করুন। এই উপাদান ছাড়া ব্রণর সঙ্গে লড়াই করা কঠিন। আর এটি কম সময়ের মধ্যে ব্রণ তাড়াতে সহায়ক।
ময়েশ্চারাইজার: ত্বক শুষ্ক ও ডিহাইড্রেটেড হলে ব্রণর সমস্যা বেশি দেখা দেয়। যে কারণে ময়েশ্চারাইজার ছাড়া এক পা হাঁটা উচিত নয়। যে সব ময়েশ্চারাইজারে ভিটামিন বি৩ এবং ই রয়েছে, সেই ধরনের ফেস ক্রিম ব্যবহার করুন। প্রয়োজনে অয়েল-ফ্রি ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।